ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫ , ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
পোরশায় কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রেস্ট ও সম্মানানা পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান আমতলীতে মাসিক আইন শৃঙ্খলা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে আমতলীতে খোলা বাজারে পেট্রোল ও ডিজেল বিক্রি করার মহোৎসব ইশরাক-কায়কোবাদের বিরুদ্ধে প্রোপাগাণ্ডা ছড়ানোর অভিযোগ করেছে আসিফ প্রতীকী মূল্যে সরকারি সম্পত্তি কাউকে দেওয়া হবে না-অর্থ উপদেষ্টা আমরা সংস্কারকে ভয় পাই না স্বাগত জানাই-মির্জা ফখরুল মবতন্ত্র দেশকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিচ্ছে-গণসংহতি প্রেস কাউন্সিলে নতুন কমিটি, ১২ জনকে অন্তর্ভুক্ত বাস-ট্রাক চালকদের ভালো স্বাস্থ্য আমাদের সবার জন্য জরুরি ডানপন্থী রাজনীতিতে বেড়েছে দৃশ্যমানতা জুলাই শুধু স্বৈরাচার মুক্তির মাস নয়, এটা পুনর্জন্মের মাস : প্রধান উপদেষ্টা পুঁজিবাজারে কোটি টাকা হিসাবধারীর সংখ্যা বেড়েছে জলবায়ু পরিবর্তন-খাদ্য সংকটে হুমকিতে সুন্দরবনের বাঘ জুলাই সনদের খসড়ায় আপত্তি জানিয়েছে এনসিপি-জামায়াত বিচার নিয়ে আমাদের আন্তরিকতায় সন্দেহ রাখবেন না -আইন উপদেষ্টা নৈরাজ্যের শঙ্কা দেশজুড়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি ১৬০ দিন পর কুয়েটে ক্লাস শুরু বাড়ছে কাপ্তাই হ্রদের পানি, ডুবছে ঝুলন্ত সেতু ৯ জন উদ্ধার হলেও এখনও নিখোঁজ ৬ ‘খোলা জানালা’ সেবা চালু করেছে ‘ডিআরইউ’

আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে রেললাইনে মৃত্যু

  • আপলোড সময় : ২৮-০৪-২০২৫ ০৭:৪১:১০ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৮-০৪-২০২৫ ০৭:৪১:১০ অপরাহ্ন
আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে রেললাইনে মৃত্যু
আশঙ্কাজনক হারে দেশের রেললাইনে মৃত্যুর ঘটনা বাড়ছে। রেললাইন থেকে প্রতি মাসে গড়ে ৮৫টি লাশ মিলছে। ২০২৪ সালে সারা দেশে রেললাইন থেকে এক হাজার ১৭টি লাশ রেলওয়ে পুলিশ উদ্ধার করেছে। তার  মধ্যে ৭৯৪ জন পুরুষ এবং ২২৩ জন নারী। আর সব লাশ উদ্ধারের ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে ৯৯৮টি। তবে তা থেকে তদন্ত শেষে ৬টি মামলা খুনের মামলায় রূপান্তরিত হয়। রেলওয়ে পুলিশ সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, রেললাইনে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৫০ শতাংশের মৃত্যু হয়েছে রেললাইনে বসে থাকা ও চলতে থাকা অবস্থায় চলন্ত ট্রেনে কাটা পড়ে। এর সংখ্যা ৫০৪ জন। আর অসতর্কভাবে লেভেলক্রসিং পার হওয়ার সময় ২৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে। রেলপথের অনেক লেভেলক্রসিংই অরক্ষিত থাকাও রেললাইনে মৃত্যুর অন্যতম কারণ। তাছাড়া গত বছর ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে ২৩ জন, ইয়ারফোন লাগিয়ে রেললাইনে চলাচল করতে থাকা অবস্থায় ও অন্যান্য কারণে ট্রেনের শব্দ শুনতে না পাওয়ায় ৭৬ জন এবং স্বাভাবিক, অসুস্থতাজনিত, বার্ধক্যজনিত, আত্মহত্যা ও মানসিক প্রতিবন্ধিতার কারণে ১৪২ জনের মৃত্যু হয়। আর চলতি বছরের প্রথম দুই মাসেও (জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি) রেললাইন থেকে ১৬৮টি লাশ উদ্ধার করা হয়।
সূত্র জানায়, রেললাইনে মৃত্যুর কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ, সেলফি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কা লাগা বা কাটা পড়া, চলন্ত ট্রেনে ওঠানামা করতে গিয়ে ভারসাম্য হারানো, কানে হেডফোন বা ইয়ারফোন লাগিয়ে রেললাইন দিয়ে হাঁটা, ট্রেনের দরজার হাতলে ঝুলে যাতায়াত, রেললাইনে বসে থাকা, অসতর্কভাবে রেললাইন পার হওয়া এবং দুই বগির সংযোগস্থল বাফারে বসা। তাছাড়া প্রকৃত ঘটনা আড়াল করতে অনেক সময় সুযোগ বুঝে অপরাধীরাও রেললাইনে লাশ ফেলে যায়। অনেক ক্ষেত্রে ওসব লাশ দেখে দুর্ঘটনা না হত্যা বোঝা যায় না। ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু বলে ধরে নিলে দুর্ঘটনার তদন্ত হবে, হত্যাকাণ্ডের নয়। তাতে অপরাধী পার পেয়ে যাবে। তবে হত্যাকাণ্ড বলে সন্দেহ হলে তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। ২০১৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ছয় বছরে রেললাইন থেকে পাঁচ হাজার ৩৬২ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। তার মধ্যে ৮১ জন হত্যাকাণ্ডের শিকার বলে তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। পরে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হয়।
সূত্র আরো জানায়, সারা দেশে রেলপথের অরক্ষিত ও অননুমোদিত অনেক লেভেলক্রসিং রয়েছে। তার মধ্যে কোনোটিতে নেই গেটম্যান ও সিগন্যাল বার। প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছে মানুষ। যদিও রেললাইন দিয়ে কেউ রাস্তা বানালে সেটা যে প্রতিষ্ঠানই হোক, তাদের দায়িত্ব রেল বিভাগ থেকে অনুমতি নেয়া। সেভাবে রেল বিভাগ লোকবলসহ অন্যান্য বিষয় দেখে অনুমোদন করাবে। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে রেলওয়ের লেভেলক্রসিং অরক্ষিত। এখানে নিরাপত্তার কথা ভাবা হয়নি।
এসব বিষয়ে রেলওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক তোফায়েল আহমেদ মিয়া জানান, রেললাইন থেকে লাশ উদ্ধারের পর প্রথমে আলামত বিশ্লেষণ করে কী কারণে মৃত্যু হয়েছে, সেটা জানার চেষ্টা করা হয়। একই সঙ্গে পর্যায়ক্রমে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। রেলওয়ে পুলিশ সমপ্রতি মাদকদ্রব্য উদ্ধারেও সাফল্য অর্জন করছে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ