ঢাকা , মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫ , ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
আমতলীতে বিএনপি'র ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি গঠন আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও রাজস্ব আহরণে ধস জুলাই আহতরা এখনো হাসপাতালে মানসিকভাবে বিপর্যয়ে ৬৭ শতাংশ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৪২৯ ‘ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা’ শনাক্তে ডিসি-ইউএনও অফিসে টাঙানো হচ্ছে তালিকা তৃতীয় ধাপে এনসিপিসহ ৮২ দলকে চিঠি দিচ্ছে ইসি দেশের ইতিহাসে প্রথমবার ‘নন ডিসক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্ট’ -দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য উচ্চকক্ষ নিয়ে দুদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত-আলী রীয়াজ দলের প্রধান হলে প্রধানমন্ত্রী হওয়া যাবে না- এটা গণতন্ত্রবিরোধী-সালাহউদ্দিন শেখ হাসিনা মানবজাতির কলঙ্ক, মানুষ তাকে ক্ষমা করবে না-মির্জা ফখরুল ১১০৫ কোটি টাকা ভূমি উন্নয়ন কর আদায়-আলী ইমাম মজুমদার পরিস্থিতির কারণে গোপালগঞ্জে গুলি করেছে সেনাবাহিনী-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অস্ত্রসহ কিশোর গ্যাংয়ের ৪ সদস্য গ্রেফতার পার্বত্য অঞ্চল নিয়ে দেয়া বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করলেন সারজিস দুর্গাপুরে দম্পতির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার সৎ মা-মেয়ে হত্যায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড চট্টগ্রাম বন্দরের সার্ভিস চার্জের ভাগ চায় চসিক বিএনপি হলো ছ্যাঁচড়া চাঁদাবাজ- ফয়জুল করীম ৪০ বছরের ব্যবসায় এমন সংকট দেখিনি : এ কে আজাদ স্ত্রী-সন্তান-শিক্ষার্থীদের দিয়ে খাতা দেখালে ২ বছর জেল

সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনে ফুটপাতে বছরের পর বছর দিন কাটে যাদের

  • আপলোড সময় : ০২-০৫-২০২৫ ০৭:৪০:৫৪ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০২-০৫-২০২৫ ০৭:৪০:৫৪ অপরাহ্ন
সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনে ফুটপাতে বছরের পর বছর দিন কাটে যাদের
সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি
কাকডাকা ভোরে ঘুম ভাঙে তাদের। কখনও একবেলা কখনও বা না খেয়ে দিন কাটায় এরা। কনকনে ঠান্ডা, ঘন কুয়াশা আর ঝড়ের সঙ্গে যুদ্ধ করে এরা প্রতিনিয়ত। নরম বিছানা আর লেপ তোষক মুড়ি দিয়ে ঘুমানো এদের কাছে আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়ার মতোই। যা বাস্তবে ওদের কাছে কল্পনা মাত্র। সৈয়দপুর শহরের রেলওয়ে স্টেশনের প্লাট ফরমের পরিত্যক্ত ভাঙ্গা ঘরের খোলা আকাশের নীচে কিছু ভাসমান পরিবারের অবস্থা।
রেললাইন ফুটপাত, স্টেশনের ভাঙা পরিত্যক্ত ঘর এবং লাইনে পড়ে থাকা রেলের বগিতে দেখা মেলে এদের। এরা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে চলে এসেছে সৈয়দপুর শহরে। এরা সবাই নিঃস্ব ভুমিহীন। কারো কারো ঘরবাড়ী এবং বংশ পরিচয়ও নেই। গত মঙ্গলবার সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনের প্লাট ফরমের ভাঙ্গা চূড়া ঘরে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করতে দেখা যায় জামাল শাহের পরিবার। বাড়ী কুড়িগ্রাম জেলার নদীর চর এলাকায়। বন্যায় ভেসে গেছে তার জীবন চিত্র। বয়স ৫৪ বছর। স্ত্রী অনেক আগেই পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন। সন্তান থেকেও নেই তার। বছরের পর বছর এভাবে বসবাস করছে খোলা আকাশে। সারা দিন ভিক্ষে করে শহরে। রাতে থাকে স্টেশনের ফুটপাতে। কখনও খায় কখনও বা না খেয়ে দিন কাটে তার।
বর্তমানে রেলওয়ে ষ্টেশনেই তার স্থায়ী ঠিকানা। জামাল শাহের মত ফুটপাতে দেখা মেলে জরিনা বেগম, কাল্টি বেগম, নছিমন বিবি, সাবানাসহ অনেকের। এদের বয়স ৩০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে গড়াবে। এদের বাড়ি, ডিমলা, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম চর এলাকায়। যশোর থেকে এসেছেন আকলিমা বেগম। বয়স প্রায় ৬০ বছর হবে জানালেন। বাড়ীতে তার সবেই আছে। তবে কেউ তাকে দেখতে পারে না। ৪ বছর থেকে আছেন সৈয়দপুর রেল স্টেশনের প্লাট ফরমে। বাড়ীর কেউ তার খবর নেয় না। তিনি বলেন, আমি এখানে খুব ভাল আছি। নিঃস্ব হয়ে সর্বস্ব হারিয়ে আজ এরা ভাসমান মানুষ। এদের নির্দিষ্ট কোন কাজকর্ম নেই। যখন যে কাজ পায় তখন তাই করে। তবে চুরি, ছিনতাইয়ের মত জঘন্য কাজের সাথে তারা জড়িত নয় বলে জানায়। স্টেশনের সাথে এদের বসবাস। রান্না, গোসল সবই সারতে হয় খোলা আকাশে।
কিন্তু তার পরেও এরা হাসিখুশী, এদের জীবনে হাজার দুঃখ কষ্ট লুকিয়ে থাকলেও এরা যেন দুঃখহীন। এদের একেক জনের জীবন এক একটি ইতিহাস। শীত নিবারণে এরা কাগজের টুকরা জ্বালিয়ে আগুনের তাপ নেয়। এদের পাশে যেন দাঁড়াবার কেউ নেই। সরকারের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে এরা বঞ্চিত। অথচ সরকারী সুযোগ সুবিধা এদেরই পাওয়ার কথা। তাই এদের দিকে নজর দেয়া প্রয়োজন আমাদের সকলের।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য

সর্বশেষ সংবাদ