ঢাকা , শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫ , ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
ঈদের দীর্ঘ ছুটিতে অর্থনীতি স্থবির হবে না-অর্থ উপদেষ্টা কমলাপুর রেলস্টেশনে যাত্রীদের ভিড় ঘরমুখো মানুষের ঢল শেরপুরে পাটচাষি সমাবেশ অনুষ্ঠিত বিরলে মতিউর রহমানের মডেল কৃষি বাড়ি দেখতে আসছেন অনেকে কলারোয়ায় তিন ‘স’ মিলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা কুড়িগ্রামে কেজিতে বিক্রি হচ্ছে জীবন্ত গরু-ছাগল সিরাজগঞ্জে সেপটিক ট্যাংক থেকে শিশুর হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার নেত্রকোনা সীমান্ত দিয়ে ৩২ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ ঈদ উৎসবে জমজমাট ওয়ালটন ফ্রিজের বিক্রি ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৬০৫২১ জন ক্রিমিয়া রেলসেতুতে ১১০০ কেজি বিস্ফোরক দিয়ে হামলা যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু চুক্তির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান ইরানের সুদানে গৃহযুদ্ধের কারণে দেশ ছেড়েছেন ৪০ লাখ মানুষ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ৩৬ জনের মৃত্যু মার্কিন অভিনেতা জোনাথন জসকে গুলি করে হত্যা রোমান্টিক সময় কাটাচ্ছেন তাহসান-রোজা দম্পতি কাঁধে কাঁধ মেলালেন শাকিব-নিশো চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড থেকে ছাড়পত্র পেলো তাণ্ডব ‘অপারেশন সিঁদুর’ কল্যাণ জয় পেয়েছে বেঙ্গালুরুর!

বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা স্থাপনে ইউজিসির নতুন নীতিমালা

  • আপলোড সময় : ০৮-০৫-২০২৫ ০৭:২৮:২৬ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৮-০৫-২০২৫ ০৭:২৮:২৬ অপরাহ্ন
বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা স্থাপনে ইউজিসির নতুন নীতিমালা
বাংলাদেশে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শাখা ক্যাম্পাস স্থাপনের অনুমতির জন্য নতুন ও কঠোর নীতিমালা তৈরি করছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। বর্তমানে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি এই গাইডলাইন তৈরির কাজ করছে।
গতকাল বুধবার গণমাধ্যমকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বে থাকা ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, এই বিষয়ে একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গাইডলাইন পলিসি প্রণয়নের কাজ করছে। নীতিমালা চূড়ান্ত হওয়ার পরই বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস স্থাপনের অনুমোদন সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া বা মতামত প্রদান করা সম্ভব হবে।
জানা গেছে, ২০১৪ সালের ‘বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা বা স্টাডি সেন্টার পরিচালনা বিধিমালা’ সংশোধন করে শুধুমাত্র শাখা ক্যাম্পাস স্থাপনের অনুমতি প্রদানের প্রস্তাব রাখা হচ্ছে। স্টাডি সেন্টার অনুমোদনের ব্যবস্থা থাকছে না নতুন খসড়ায়।
প্রস্তাবিত নীতিমালায় কিছু শর্তাবলী নির্ধারণ করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে, কমপক্ষে ২৫ হাজার বর্গফুট জায়গা, পূর্ণকালীন শিক্ষক নিয়োগ, ৫ কোটি টাকা ফিক্সড ডিপোজিট এবং আবেদন ফি হিসেবে ১০ লাখ টাকা। এসব শর্ত পূরণ করে আবেদন করলে মানসম্পন্ন ও স্বীকৃত বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শাখা ক্যাম্পাস অনুমোদনের বিষয়ে বিবেচনা করা হবে। এই নীতিমালার মূল উদ্দেশ্য হলো দেশের উচ্চশিক্ষার মান রক্ষা করা এবং বাণিজ্যিকীকরণের প্রবণতা রোধ করা।
আনোয়ার হোসেন বলেন, বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস বাংলাদেশে স্থাপনে দেশের কী ধরনের লাভ-ক্ষতি হতে পারে, তা খতিয়ে দেখতে একটি হাই-পাওয়ার কমিটি কাজ করছে। কমিটির প্রধান বুয়েটের ভিসি, সদস্য হিসেবে রয়েছেন ঢাবি, বুয়েট, নর্থ সাউথ ও জাহাঙ্গীরনগরের প্রফেসররা। এই কমিটির ওপর ভিত্তি করে মূল কমিটিও রয়েছে, যার নেতৃত্বে আছেন ইউজিসির একজন সদস্য। তিনি জানান, বিদেশি ক্যাম্পাসের অনুমোদনের বিষয়ে সরকার ইতিবাচক। তবে শিক্ষার্থীদের সম্ভাব্য অসুবিধা, পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর চাপ এবং শিক্ষক সংকটের আশঙ্কাও বিবেচনায় রাখা হচ্ছে। বিশেষ করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের জীবনমান, বেতন, সুযোগ-সুবিধা ও গবেষণার অবস্থা সন্তোষজনক নয়। সবদিক বিশ্লেষণ করে নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে, যা দেশের জন্য লাভজনক কিনা, সেটাও গুরুত্ব পাবে।
উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে মালয়েশিয়ার ইউসিএসসি ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে প্রথম বিদেশি শাখা ক্যাম্পাস খোলার অনুমোদন পেয়েছে এবং ঢাকায় কার্যক্রম শুরু করেছে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স