ঢাকা , শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ২১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ চান সাধারণ শিক্ষার্থীরা তারেক রহমান-বাবর খালাস আস্থার সংকটে প্রশাসন ও অর্থনীতি অন্তর্বর্তী সরকারের দায়হীন কর্মকাণ্ডে বিপন্ন মানবাধিকার ক্ষমতা বদলের জন্য জুলাই বিপ্লব হয়নি- জামায়াত গাইবান্ধায় কষ্টিপাথরের মূর্তি উদ্ধার, আটক ৩ ধূমপান নিয়ে তর্ক, পরিবহন কাউন্টারে হামলা-ভাঙচুর দুদকের মামলায় খালাস মীর নাসির ও মীর হেলাল রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আসিয়ানকে এগিয়ে আসার আহ্বান স্বর্ণ ব্যবসায়ীরাই টার্গেট ডাকাতদের গ্রেফতার ৭ আদাবরে পুলিশের ওপর হামলা কারাগারে ১১ আসামি নির্বাচন না হলে অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি তৈরি হবে- সাইফুল হক প্রধান শিক্ষকের ২১৬৯ পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বাতিল দাবি ডিবি পরিচয়ে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গ্রেফতার ৭ সিদ্ধান্তহীনতায় আটকে আছে পরিবহন চালকদের বিশ্রামাগার তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করার কোনো বিকল্প নেই ভেজাল ওষুধ সেবনে বাড়ছে মৃত্যুর হার পোরশায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সদস্য ও কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত পোরশায় বিএনপি'র উৎসবমুখর পরিবেশে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত রাজধানীতে বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ
৫৫৩ কোটি টাকা ঋণ

এস আলমসহ ৩১ জনের বিরুদ্ধে মামলা অনুমোদন

  • আপলোড সময় : ১৯-০৫-২০২৫ ১১:৩৯:১০ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৯-০৫-২০২৫ ১১:৩৯:১০ অপরাহ্ন
এস আলমসহ ৩১ জনের বিরুদ্ধে মামলা অনুমোদন
নামসর্বস্ব ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে ৫৫৩ কোটি টাকার ঋণ অনুমোদন ও আত্মসাতের অভিযোগে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলমসহ (এস আলম) ৩১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। জানা যায়, আসামি মোহাম্মদ সাইফুল আলম ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এবং মেসার্স হুদা এন্টারপ্রাইজ নামক নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের মালিকের সঙ্গে যোগসাজশ করে জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। এ প্রক্রিয়ায় ২০১৬ সালের ৯ নভেম্বর ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের আন্দরকিল্লা শাখা থেকে প্রথমে ৫০ কোটি টাকার বাই মুরাবাহা (হাইপো) বিনিয়োগ এবং ৫৫ কোটি টাকার এলসি সুবিধা অনুমোদন করা হয় মেসার্স হুদা এন্টারপ্রাইজ-এর নামে। ঋণ অনুমোদনের সময় গ্রাহকের সিআইবি রিপোর্ট, ঠিকানা যাচাই, হালনাগাদ বীমা পলিসি ও ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ না করা, আইনজীবীর প্রত্যয়নপত্র না নেয়া, ঘঊঈ না নেওয়া, অতিমূল্যায়িত জামানত গ্রহণসহ নানাবিধ অনিয়ম করা হয়। ঋণের অর্থ ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের আন্দরকিল্লা শাখা থেকে বিভিন্ন নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান যেমন-ভেনাস ট্রেডিংস লি., রিজেনেবল ট্রেডার্স লি., আব্দুল আওয়াল অ্যান্ড সন্স লি., ইউনিয়ন প্যাসিফিক সোর্স অ্যান্ড ট্রেড-এর নামে ইউনিয়ন ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় স্থানান্তর করা হয়। এরপর এসব প্রতিষ্ঠান থেকে এস আলম গ্রুপের সংশ্লিষ্ট দুটি প্রতিষ্ঠানে মোট ১৩০ কোটি টাকা স্থানান্তরের মাধ্যমে মানিলন্ডারিং সংঘটিত হয়েছে। ২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত গ্রাহকের আবেদনের ভিত্তিতে ও শাখা ও আঞ্চলিক কার্যালয়ের সুপারিশে বিনিয়োগ হিসাব নিয়মিত রাখার জন্য বছর বছর নবায়ন করা হয়। অনুমোদিত ঋণসীমা ৪৫ কোটি টাকা হলেও নিয়ম বহির্ভূতভাবে অতিরিক্ত অর্থ ছাড় করে মোট ৫৫৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যানসহ আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে দণ্ডবিধি ১৮৬০-এর ৪০৯/১০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অপরাধ করেছেন বলে দুদক অভিযোগ করেছে। মোট ৩১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স