ঢাকা , মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫ , ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
আমতলীতে বিএনপি'র ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি গঠন আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও রাজস্ব আহরণে ধস জুলাই আহতরা এখনো হাসপাতালে মানসিকভাবে বিপর্যয়ে ৬৭ শতাংশ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৪২৯ ‘ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা’ শনাক্তে ডিসি-ইউএনও অফিসে টাঙানো হচ্ছে তালিকা তৃতীয় ধাপে এনসিপিসহ ৮২ দলকে চিঠি দিচ্ছে ইসি দেশের ইতিহাসে প্রথমবার ‘নন ডিসক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্ট’ -দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য উচ্চকক্ষ নিয়ে দুদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত-আলী রীয়াজ দলের প্রধান হলে প্রধানমন্ত্রী হওয়া যাবে না- এটা গণতন্ত্রবিরোধী-সালাহউদ্দিন শেখ হাসিনা মানবজাতির কলঙ্ক, মানুষ তাকে ক্ষমা করবে না-মির্জা ফখরুল ১১০৫ কোটি টাকা ভূমি উন্নয়ন কর আদায়-আলী ইমাম মজুমদার পরিস্থিতির কারণে গোপালগঞ্জে গুলি করেছে সেনাবাহিনী-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অস্ত্রসহ কিশোর গ্যাংয়ের ৪ সদস্য গ্রেফতার পার্বত্য অঞ্চল নিয়ে দেয়া বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করলেন সারজিস দুর্গাপুরে দম্পতির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার সৎ মা-মেয়ে হত্যায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড চট্টগ্রাম বন্দরের সার্ভিস চার্জের ভাগ চায় চসিক বিএনপি হলো ছ্যাঁচড়া চাঁদাবাজ- ফয়জুল করীম ৪০ বছরের ব্যবসায় এমন সংকট দেখিনি : এ কে আজাদ স্ত্রী-সন্তান-শিক্ষার্থীদের দিয়ে খাতা দেখালে ২ বছর জেল

সৈয়দপুর ঢেলাপীর আবাসনের হাজারো মানুষের দুর্ভোগ

  • আপলোড সময় : ২৩-০৫-২০২৫ ০৯:১৭:০৩ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৩-০৫-২০২৫ ০৯:১৭:০৩ অপরাহ্ন
সৈয়দপুর ঢেলাপীর আবাসনের হাজারো মানুষের দুর্ভোগ
নীলফামারী প্রতিনিধি
নীলফামারীর সৈয়দপুর ঢেলাপীর আবাসন যেন এক চরম দুর্ভোগের নাম। এখানে হাজারো মানুষের বসবাস যেন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। ঘর থেকে বের হবে নেই কোন ভাল রাস্তা। ড্রেন ব্যবস্থা তেমন না থাকায় আজ অল্প বৃষ্টিতে আবাসনে জমে হাঁটু পানি। দেখে মনে হয় যেন এটি একটি বিশাল পুকুর। অথচ এটি কোন পুকুর নয়। আবাসনের এটি একটি মাঠ। ঈদের নামাজ আদায় করা হয় এ মাঠে। আবাসনের পাশের বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম জানান, গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ডুবে গেছে আবাসনের ঈদগাহ মাঠ। বর্তমানে পানি নিস্কাশনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় আবাসন মাঠ যেন বড় পুকুরে পরিনত হয়েছে। সামনে ঈদ উল আযহা। এ মাঠে কেমন করে নামাজ আদায় হবে তা নিয়ে চিন্তিত আবাসনবাসী। আবাসনের বাসিন্দা রহিম মন্ডল জানান, ড্রেন না থাকায় কয়েকদিন থেকে মাঠে হাঁটু পানি জমে আছে। ছেলেরা ওই পানিতে কাগজের নৌকা ভাসিয়ে খেলা করছে। তাছাড়া আবাসনের ছোট ছোট রাস্তাগুলোর অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। আবাসন নির্মাণকালে রাস্তাগুলো করা হয়। সে সময় থেকে আর কোন সংস্কার না হওয়ায় বর্তমানে সকল রাস্তা ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেছে। রাস্তার মধ্যখানে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। আবাসনে যেন কাঁদা পানি একাকার হয়ে গেছে। এ দুর্ভোগ থেকে রক্ষা করতে জেলা প্রশাসকের সুদৃষ্টি কামনা করা হয়েছে। উল্লেখ্য, সৈয়দপুর ঢেলাপীর আবাসন প্রকল্প নির্মিত হয় বিগত বিএনপি সরকারের আমলে। সেনাবাহিনীর তত্বাবধায়নে নির্মিত হয় ৯শ ৯৯টি ঘর। বরাদ্দ দেয়া হয় গরীব ও অসহায় ভুমিহীনদের। তবে সে সময় দায়িত্বে থাকা সহকারি কমিশনার ভুমি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের তদন্তে গাফলতি থাকায় ভুমিহীনের পাশাপাশি ঘর বরাদ্দ পায় সবলরাও। যাদের সৈয়দপুর শহরে পাকা ঘর রয়েছে তারাও সরকারি এ আবাসনে ঘর পায়। যার ফলে রাতের বেলা দেখা যায় আবাসনের অনেক ঘর তালাবদ্ধ থাকে। অনেকে আবার লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তাদের বরাদ্দকৃত ঘর অন্যের কাছে বিক্রি করে চলে গেছে। তবে এ বিষয়টি নিয়ে আবাসনে বেশ কয়েক বার উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চালানো হয় অভিযান। ওই অভিযানে অনেকের ঘর সিলগালা করা হয়। যারা সরকারি ঘর বরাদ্দ পেয়ে বিক্রি করে চলে গেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে তা কেন যেন থেমে যায়। আবাসনের বাসিন্দা অন্তরা জানান, এখানের রাস্তাগুলো ভাঙ্গা চূড়া। কাঁদায় রাস্তা যেন ভরপুর। মাঠ ভরে গেছে পানিতে। রাতে ঘর থেকে বের হতে পারি না। ঘরের মধ্যে পোকামাকড় চলে আসে। শিশু বাচ্চারা এতে ভয় পায়। অপর বাসিন্দা কৃষ্ণ রায় জানান, আবাসনে ছোট ছোট ড্রেন আছে। সেগুলো পরিস্কার করার কথা পৌরসভার কিন্তু পৌরসভা বছরেও একবার পরিস্কার করতে আসে না। অনেক সময় ড্রেনের পানি ঘরে উঠে আসে। তখন আমরা নিজেরাই ড্রেন পরিস্কার করে দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পাই।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য

সর্বশেষ সংবাদ