
চাঁদাবাজি ও এক হাটের পশু অন্য হাটে নিলে কঠোর ব্যবস্থা- র্যাব
- আপলোড সময় : ০৪-০৬-২০২৫ ১১:০৭:১০ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ০৪-০৬-২০২৫ ১১:০৭:১০ পূর্বাহ্ন


ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে এক হাটের পশু জোর করে অন্য হাটে নামিয়ে নেয়ার প্রবণতা দেখা যায়। এক হাটের পশু অন্য হাটে নিলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে র?্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এছাড়া হাটে ও বাস টার্মিনালে চাঁদাবাজির বিষয়েও কাজ করছে র্যাব।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর গাবতলী পশুর হাটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংক্রান্ত আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন র্যাব-৪ এর অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাহবুব আলম। তিনি বলেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশের সর্ববৃহৎ পশুর হাট গাবতলীসহ অন্যান্য পশুর হাটের নিরাপত্তা জোরদার ও ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সর্বোচ্চ সতর্কতা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। র্যাব-৪ তার দায়িত্বপূর্ণ হাটে ওয়াচ টাওয়ার ও অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপনসহ মিরপুর বেনারসি পল্লী এলাকা এবং পাটুরিয়া ফেরিঘাট গরুর হাটে অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও হাটে আভিযানিক দল নিয়োগ গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো ও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে, যাতে জনসাধারণ অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতির স্বীকার ছাড়াই নির্বিঘ্নে কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয় করতে পারে। তিনি আরও বলেন, পশু পরিবহনে যেকোনো ধরনের চাঁদাবাজি বা এক হাটের পশু অন্য হাটে জোর করে নেয়া বা মহাসড়কে পশুহাটসহ যেকোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হলে বা এ ধরনের কোনো অভিযোগ পেলে দ্রুত সর্বোচ্চ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহবুব আলম বলেন, ঘরমুখো মানুষ যেন ছিনতাই, মলম পার্টি, অজ্ঞান পার্টিসহ কোনো অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতিতে না পড়ে সেজন্য গুরুত্বপূর্ণ এলাকা বিশেষ করে গাবতলী বাসস্ট্যান্ড, নবীনগর, বাইপাইল এলাকায় এবং ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক, পাটুরিয়া ও আরিচা ফেরিঘাট এলাকায় নিয়মিত টহল মোতায়েন রয়েছে। বাসের টিকিট সিন্ডিকেট, কালোবাজারি কিংবা বিআরটিএ কর্তৃক নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের মতো অপরাধ প্রতিরোধে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। গত সোমবার গাবতলী বাস কাউন্টারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকা মহানগরীসহ দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় অবস্থিত শপিং কমপ্লেক্সগুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে সাদা পোশাকে র্যাব সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় এবং যেকোনো ধরনের অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি এড়াতে অত্র ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ এলাকার বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত চেকপোস্ট পরিচালনা ও সার্বক্ষণিক টহল করা হচ্ছে। মাহবুব আলম বলেন, পশু ক্রয় বিক্রয়কারী কর্তৃক জাল টাকা আদান-প্রদান বন্ধে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোসহ জাল টাকা শনাক্তকারী মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। যাতে কোনো অসাধু চক্র অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটাতে না পারে। অজ্ঞান পার্টি এবং মলম পার্টি ছাড়াও বিভিন্ন অপরাধী চক্রকে প্রতিহত করতে বিশেষ নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। গত ১ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ১৭ ছিনতাইকারী গ্রেফতার করা হয়েছে। ঈদ জামাতকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের নাশকতা-হামলা, যেকোনো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিঘ্নকারী তথ্য ও গুজব প্রতিরোধ করতে র্যাব প্রস্তুত রয়েছে। ঈদুল আজহা উদযাপন ও পরিবার পরিজনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে রাজধানী ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে যাবেন। ঈদ পূর্ববর্তী ও ঈদ পরবর্তী র্যাব-৪ এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকার বিভিন্ন সড়ক ও মহল্লায় ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি, দস্যুতা ও যে কোনো ধরনের অনাকাক্সিক্ষত অপরাধ প্রতিরোধেও বিশেষ টহল ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে। এছাড়াও যেকোনো উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় র্যাব-৪ এর পর্যাপ্ত স্ট্রাইকিং রিজার্ভ ফোর্স প্রস্তুত থাকবে বলেও জানিয়েছেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহবুব আলম।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ