ঢাকা , শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫ , ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
২৫ জুলাইয়ের মধ্যে প্রকাশ হতে পারে এসএসসির ফল শিগগিরই শুরু হচ্ছে সাত কলেজে ভর্তির আবেদন, থাকছে ‘সেকেন্ড টাইম’ তারেক রহমানের দেশে ফেরায় বাধা নেই-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা করোনার ওমিক্রন প্রতিরোধে প্রয়োজন নতুন টিকা ১৮ আইসিইউ শয্যার মধ্যে ভেন্টিলেটর সচল একটিতে স্বর্ণ চোরাচালানের সিন্ডিকেট সক্রিয় ভারতে বড় ধরনের বিমান দুর্ঘটনার ইতিহাস ভারতে বিমান বিধ্বস্ত আরোহীর সবাই নিহত হবার আশঙ্কা শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ভারতে যুদ্ধে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা এক দশকে সর্বোচ্চ-ইউএনএইচসিআর কারও নিন্দা করার আগে একটু জেনে নিন-আসিফ নজরুল ব্রিটিশ রাজার সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার একান্ত বৈঠক ভারতে বিমান দুর্ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার শোক, পাশে থাকার আশ্বাস ১ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তাব নাগরিক কোয়ালিশনের ইউনূসকে সাক্ষাৎ দিচ্ছেন না স্টারমার পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে চ্যালেঞ্জের মুখে সরকার টিউলিপ সিদ্দিকের চিঠি পেয়েছি-প্রেস সচিব মামলার জটে নাকাল বিচার বিভাগ ঈদ শেষে ঢাকায় ফিরছে মানুষ সংকট কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে পুলিশ

করোনার নতুন ধরনে বাড়ছে উদ্বেগ

  • আপলোড সময় : ১২-০৬-২০২৫ ০১:৩৫:৩৭ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১২-০৬-২০২৫ ০১:৩৫:৩৭ অপরাহ্ন
করোনার নতুন ধরনে বাড়ছে উদ্বেগ

* করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ১১ নির্দেশনা
স্টাফ রিপোর্টার
পাঁচ বছর আগে বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে ভয়াবহ রূপ নেয়া করোনাভাইরাস ফের নতুন রূপে ফিরে আসছে। দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে প্রত্যেকটি  চেকপোস্ট ও বিমানবন্দরে বাড়তি সতর্কতা জোরদার করা হয়েছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশে আবারও নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। করোনাভাইরাসের নতুন একটি ধরন শনাক্ত হওয়ায় এবং করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার ফলে জনমনে উদ্বেগ বাড়ছে। রাজধানীসহ সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আরও ১৩ জন আক্রান্ত হয়েছে। এ যাবত দেশে মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২০ লাখ ৫১ হাজার ৭৬০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দুই করোনারোগী সুস্থ হয়েছে। এ যাবত মোট সুস্থ হয়েছে ২০ লাখ ১৯ হাজার ৩৭৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ১০১ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এযাবৎ ১ কোটি ৫৭ লাখ ২৬ হাজাত ৩৭৯ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ। এ যাবৎ শনাক্তের হার মোট ১৩ দশমিক শূন্য পাঁচ। সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৪২ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৪ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক এক বিশেষ বার্তায় বলা হয়, বিশ্বের বেশ কিছু দেশে কোভিড-১৯ এর নতুন ভ্যারিয়েন্ট জেএন.১ এর সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এমতাবস্থায় উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে যেমন হাসপাতাল/চিকিৎসা কেন্দ্র এবং উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের সতর্ক হিসেবে মাস্ক ব্যবহার করার পরামর্শ দেয়া হলো। চ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের চতুর্থ ডোজ ভ্যাকসিন নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সার্জারি অথবা অন্য কোন রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে কেবল মাত্র কোভিড-১৯ লক্ষণ/উপসর্গ থাকলে কেভিড-১৯ পরীক্ষা করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
চিকিৎসক এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার নতুন একটি ধরন সংক্রমণ বাড়াচ্ছে। নতুন এই ধরনটির সংক্রামিত করার ক্ষমতা অনেক বেশি হলেও রোগেও তীব্রতা কম। তবে অসাবধানতা এবং অচেতনতায় ধরনটি যে কোনো সময় শক্তিশালীও হয়ে উঠতে পারে। তাই সবাইকেই যথেষ্ট সাবধান এবং সচেতন থাকতে হবে।
এদিকে সারাবিশ্বে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশেও নতুন একটি উপধরনে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। এ পরিস্থিতিতে করোনা প্রতিরোধে ১১ দফা করণীয় নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। গতকাল বুধবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর এক সংবাদ সম্মেলনে এ নির্দেশনাগুলো তুলে ধরেন। লিখিত বক্তব্যে মো. আবু জাফর বলেন, ভাইরাসজনিত সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। করোনাভাইরাসের কয়েকটি নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট এরই মধ্যে চিহ্নিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের বিস্তার প্রতিরোধে দেশের সব স্থল, নৌ ও বিমানবন্দরের আইএইচআর ডেস্কগুলোয় নজরদারি ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়গুলো জোরদার করার বিষয়ে এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ সময় স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে স্বাস্থ্য অধিদফতর করণীয় নির্দেশ দিয়েছে। জনসাধারণের জন্য করণীয় : ১. জনসমাগম এড়িয়ে চলা এবং বাধ্যতামূলক মাস্ক ব্যবহার। ২. শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ প্রতিরোধে নিয়মিত মাস্ক পরা। ৩. হাঁচি-কাশির সময় মুখ ঢেকে রাখা। ৪. ব্যবহৃত টিস্যু নিরাপদভাবে ফেলা। ৫. নিয়মিত ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান-পানি বা স্যানিটাইজারে হাত ধোয়া। ৬. অপরিষ্কার হাতে চোখ-নাক-মুখ স্পর্শ না করা। ৭. আক্রান্তদের থেকে কমপক্ষে ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখা। সন্দেহভাজন রোগীদের জন্য পরামর্শ : ১. উপসর্গ থাকলে বাড়িতে বিশ্রামে থাকা। ২. রোগীকে মাস্ক পরতে উৎসাহ দেয়া। ৩. সেবাদানকারীদের মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করা। ৪. প্রয়োজনে আইইডিসিআর (০১৪০১-১৯৬২৯৩) বা স্বাস্থ্য বাতায়ন (১৬২৬৩)-এ যোগাযোগ।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক জানান, সংক্রমণ মোকাবিলায় সরকার ইতোমধ্যে বিভিন্ন প্রস্তুতি নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আরটি-পিসিআর ও র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা, টিকা সরবরাহ, চিকিৎসা নির্দেশিকা, প্রয়োজনীয় ওষুধ ও অক্সিজেন, আইসিইউ সুবিধাসহ বিশেষায়িত কোভিড হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা। স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষায় পিপিই, কেএন৯৫ মাস্ক, ফেস শিল্ডসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জামও মজুত রাখা হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার সমন্বয়ে এসব প্রস্তুতি অব্যাহত রয়েছে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স