ঢাকা , শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫ , ১৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
সিরাজগঞ্জে দ্রুত বাড়ছে যমুনার পানি জ্বর আতঙ্কে জনজীবন এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায়ও অনুপস্থিত বেশি বিচার বিভাগের সচিবালয় প্রতিষ্ঠায় অর্থায়নে রাজি ইইউ-আমির খসরু ৩ নির্বাচনের অভিযোগ তদন্ত এবং সুপারিশ প্রণয়নে কমিটি গঠন অন্যায় তদবিরে পাত্তা না দিলেই বানানো হয় ভারতের দালাল-আসিফ নজরুল পুনর্বিন্যাসের চাপে ইসি অর্থকষ্ঠে সাধারণ মানুষ সাবেক তিন সিইসির বিরুদ্ধে মামলায় যুক্ত হলো রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ অবরুদ্ধ এনবিআর ভবন ফ্ল্যাট বিক্রিতে ধস, নির্মাণ খাতে ছাঁটাইয়ের শঙ্কা ৪২ দিন পর নগর ভবনে প্রশাসক সাংবাদিকতায় বাংলাদেশের মতো স্বাধীনতা উন্নত বিশ্বেও নাই তরুণ সমাজকে অবশ্যই মাদকমুক্ত রাখতে হবে-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ডামি নির্বাচনের কথা স্বীকার সাবেক সিইসি হাবিবুল আউয়ালের জাতিসংঘের পানি কনভেনশনে যোগ দিলো বাংলাদেশ পোরশায় ইসলামী আন্দোলনের গাংগুরিয়া ইউনিয়ন কমিটি গঠন পোরশার পূর্ণ ভবা নদীতে অবৈধ রিং জাল জব্দ রিভার প্লেটের সাথে জয় পেলো ইন্টার মিলান ক্লাব বিশ্বকাপে শেষ ষোলোর টিকেট পেলো ডর্টমুন্ড
সিরডাপ মিলনায়তনে এক সেমিনারে প্রেস সচিবের দাবি

সাংবাদিকতায় বাংলাদেশের মতো স্বাধীনতা উন্নত বিশ্বেও নাই

  • আপলোড সময় : ২৭-০৬-২০২৫ ০১:০০:০২ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৭-০৬-২০২৫ ০১:০০:০২ অপরাহ্ন
সাংবাদিকতায় বাংলাদেশের মতো স্বাধীনতা উন্নত বিশ্বেও নাই
সাংবাদিকতায় বাংলাদেশের মতো স্বাধীনতা উন্নত বিশ্বেও নেই বলে দাবি করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, গত ৫৩ বছরে স্বাধীনতার পর গণমাধ্যমে এত বেশি স্বাধীনতা কেউ কোনো দিন এনজয় করেননি। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর তোপখানা রোডে সিরডাপ মিলনায়তনে ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা: সাংবাদিকদের সুরক্ষা ও অভিযোগ নিষ্পত্তির আইনি কাঠামোর পর্যালোচনা’ শীর্ষক সেমিনারে এই দাবি করেন তিনি।
কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টসের (সিপিজে) একটি প্রতিবেদন নিয়ে এক সাংবাদিক দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, বাংলাদেশের সাংবাদিকরা নানা ধরনের হুমকি ও মারধরের সম্মুখীন হচ্ছেন, এ সম্পর্কে তারা জানেন কি না? জবাবে শফিকুল আলম বলেন, আমরা যেকোনও প্রতিবেদনকে সাধুবাদ জানাই। কিন্তু কথা হচ্ছে, আমরা অনেক সময় দেখতে পাই যে বিচ্ছিন্ন দু-একটি ঘটনাকে সামনে রেখে অনেক ধরনের কমেন্ট করা হয়। তিনি সিপিজেকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, গণমাধ্যমে স্বাধীনতার প্রকৃত অবস্থাটা কী তারা যেন বাংলাদেশে এসে দেখে যায়। তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশে এখন গণমাধ্যম স্বাধীন, সাংবাদিকরা যে স্বাধীনতা ভোগ করছেন, গত ৫৩ বছরে ১৯৭১ সালের পর এত বেশি স্বাধীনতা কেউ এনজয় করেননি। কেউ বলতে পারবেন না আমরা কোনও পত্রিকাকে রিপোর্ট নামিয়ে ফেলতে বলেছি। কেউ বলতে পারবেন না আমরা কাউকে হুমকি দিয়েছি, কাউকে প্রভাবিত করেছি বা চাপ দিয়েছি, এমন কোনও ঘটনা হয়নি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সাংবাদিকরা বিচ্ছিন্নভাবে আক্রমণের শিকার হয়েছেন। সেসব বিষয়ে আমরা পুলিশকে দিয়ে তদন্ত করিয়েছি। আমরা দেখেছি, কিছু কিছু বিষয়ে সাংবাদিকরা অভিযোগ দায়ের করতে চান না। তিনি বলেন, আমরা চাই সাংবাদিকরা নির্ভয়ে সাংবাদিকতা করবেন, তারা সব ধরনের প্রতিবেদন করবেন। সেই প্রতিবেদন যদি আমাদের বিপক্ষেও হয়, মোস্ট ওয়েলকাম। আমরা সবার ফ্রিডমে বিশ্বাসী।
শফিকুল আলম বলেন, বাংলাদেশের সাংবাদিকদের ফ্রিডম নাই এটা ভুল। আমি মনে করি, দেশে সাংবাদিকতায় এত ফ্রিডম, যা উন্নত বিশ্বেও নাই। তিনি বলেন, গত ১০ মাসে বর্তমান সরকার সাংবাদিক ও সংবাদমাধ্যমকে কোনো চাপ প্রয়োগ করেনি, কোনো বাধা দেয়নি; যেমনটা আওয়ামী লীগ আমলে ছিল।
মব না, এটি প্রেশার গ্রুপ: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, মব তৈরি হচ্ছে বলা হচ্ছে, আমি এটাকে মব বলছি না, বলছি প্রেশার গ্রুপ। সেটা তৈরি হচ্ছে আগের সাংবাদিকতার ব্যর্থতার কারণে। তিনি বলেন, সেটি তৈরি হওয়ার গ্রাউন্ড কেন তৈরি হচ্ছে! কেননা, সে তো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত ১৫ বছরে তো তার (প্রেশার গ্রুপ) মিনিমাম সিভিল লিবার্টি রাখা হয়নি। তিনি বলেন, আমরা মনে করি, জার্নালিস্ট প্রটেকশন অর্ডিন্যান্স দরকার আছে। একই সময়ে আপনার অপসাংবাদিকতার দ্বারা যারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তাদের কীভাবে সুরক্ষা দেবেন। তার সুরক্ষাও তো আপনার চিন্তা করা উচিত। একজন সচিবের নামে যে মিথ্যা একটা নিউজ করা হলো, এই নিউজের স্থায়িত্ব হয়ে গেছে অনন্তকাল। ১০০ বছর ধরে, উনি যখন ওনার ছেলে, ওনার নাতি গুগলে সার্চ করলে দেখবে, নিউজটা আসছে। তার নামে এই মিথ্যা নিউজের সমাধান কি দেবেন না? পশ্চিমা বিশ্বে তো এর মডেল আছে, তারা ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে জরিমানা দিয়ে। ফালতু কথা বলে একজনের নামে পার পেয়ে যাবেন, সরকারি কর্মকর্তা হলে কিছু সুরক্ষা কম, কিন্তু আরেকজনের নামে মিথ্যা কথা বলে পার পেয়ে যাবেন- বিদেশে, যুক্তরাজ্যে এটা চিন্তাও করতে পারবেন না। আপনাকে মিলিয়ন পাউন্ডের জরিমানা দিতে হবে। আমাদের এখানে তো এ ব্যবস্থা নেই। এখানে যে যা ইচ্ছা বলে দিতে পারে। আমি যখন দায়িত্বের ওই পাড়ে ছিলাম, তখন এটা অনুভব করিনি। এখন এসে দেখছি যে, বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তা, প্রতিষ্ঠান প্রধান তাদের ন্যূনতম কোনও সুরক্ষা নেই। তার বিরুদ্ধে যা ইচ্ছা লেখা যায়।
এ সময় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার বলেন, গণমাধ্যমে ১৫ বছর ধরে অরাজকতা চলেছে। ফলে অবৈধ নির্বাচনগুলো বৈধতা পেয়েছে। ফ্যাসিজম সেই সুযোগ পেয়েছে। অনিয়ম ধরার মূল হাতিয়ার গণমাধ্যম। এটা ঠিক থাকলে জালিয়াতির নির্বাচনগুলো ঠেকানো যেত।
জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেন, সংবাদ মাধ্যমের মালিকানা ও ব্যবস্থাপনা পৃথক হতে হবে, নন প্রফিট হতে হবে। নয়তো সেখান থেকে স্বাধীন গণমাধ্যম চর্চা সম্ভব না।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স