ঢাকা , শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫ , ১৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
সিরাজগঞ্জে দ্রুত বাড়ছে যমুনার পানি জ্বর আতঙ্কে জনজীবন এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায়ও অনুপস্থিত বেশি বিচার বিভাগের সচিবালয় প্রতিষ্ঠায় অর্থায়নে রাজি ইইউ-আমির খসরু ৩ নির্বাচনের অভিযোগ তদন্ত এবং সুপারিশ প্রণয়নে কমিটি গঠন অন্যায় তদবিরে পাত্তা না দিলেই বানানো হয় ভারতের দালাল-আসিফ নজরুল পুনর্বিন্যাসের চাপে ইসি অর্থকষ্ঠে সাধারণ মানুষ সাবেক তিন সিইসির বিরুদ্ধে মামলায় যুক্ত হলো রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ অবরুদ্ধ এনবিআর ভবন ফ্ল্যাট বিক্রিতে ধস, নির্মাণ খাতে ছাঁটাইয়ের শঙ্কা ৪২ দিন পর নগর ভবনে প্রশাসক সাংবাদিকতায় বাংলাদেশের মতো স্বাধীনতা উন্নত বিশ্বেও নাই তরুণ সমাজকে অবশ্যই মাদকমুক্ত রাখতে হবে-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ডামি নির্বাচনের কথা স্বীকার সাবেক সিইসি হাবিবুল আউয়ালের জাতিসংঘের পানি কনভেনশনে যোগ দিলো বাংলাদেশ পোরশায় ইসলামী আন্দোলনের গাংগুরিয়া ইউনিয়ন কমিটি গঠন পোরশার পূর্ণ ভবা নদীতে অবৈধ রিং জাল জব্দ রিভার প্লেটের সাথে জয় পেলো ইন্টার মিলান ক্লাব বিশ্বকাপে শেষ ষোলোর টিকেট পেলো ডর্টমুন্ড
প্রথমদিনে অনুপস্থিত ১৯ হাজার ৭৫৯ জন

এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায়ও অনুপস্থিত বেশি

  • আপলোড সময় : ২৭-০৬-২০২৫ ০১:১৬:১৬ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৭-০৬-২০২৫ ০১:১৬:১৬ অপরাহ্ন
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায়ও অনুপস্থিত বেশি
* প্রশ্নফাঁসের কোনো সুযোগ পাবে না অসাধু চক্র: শিক্ষা উপদেষ্টা
* পরীক্ষা চলাকালে করোনা-ডেঙ্গুর প্রকোপে অভিভাবকদের উদ্বেগ

এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার মতো এ বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায়ও অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা তুলনামূলক বেশি। পরীক্ষার প্রথম দিন গতকাল বৃহস্পতিবার মোট ১৯ হাজার ৭৫৯ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন। গত বছর এ পরীক্ষায় প্রথম দিন অনুপস্থিত ছিলেন ১৫ হাজার ২০৩ পরীক্ষার্থী।
প্রথমদিনে পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ১৯ হাজার ৭৫৯ জন: এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার মতো এ বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায়ও অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা তুলনামূলক বেশি। পরীক্ষার প্রথম দিন বৃহস্পতিবার মোট ১৯ হাজার ৭৫৯ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন। গত বছর এ পরীক্ষায় প্রথম দিন অনুপস্থিত ছিলেন ১৫ হাজার ২০৩ পরীক্ষার্থী। সারা দেশে ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এবার ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে নিয়মিত-অনিয়মিত মিলিয়ে মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন। এবার মোট পরীক্ষার্থী গতবারের চেয়ে ৮১ হাজারের বেশি কমেছে। তিন বছরের মধ্যে এবারই পরীক্ষার্থী সবচেয়ে কম। এ ছাড়া দুই বছর আগে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাস করে উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তির পর রেজিস্ট্রেশন (নিবন্ধন) করেও সোয়া চার লাখের বেশি শিক্ষার্থী এবার পরীক্ষা দিচ্ছেন না। প্রথম দিনের পরীক্ষা শেষে আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি জানিয়েছে, নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত এইচএসসির বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলেন ১৪ হাজার ৫১৩ জন। এ ছাড়া মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীন কোরআন মাজিদ বিষয়ের পরীক্ষায় ৪ হাজার ১৯৬ জন এবং কারিগরি বোর্ডের অধীন বাংলা পরীক্ষায় ১ হাজার ৫০ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন। অবশ্য কী কারণে এসব পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। এ ছাড়া অসদুপায়ের জন্য প্রথম দিন ৪৩ জন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
রাজধানীসহ সারাদেশে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরার। তিনি বলেছেন, আমরা এসএসসি পরীক্ষার মতো এবারও তৎপর আছি। আশা করি, প্রশ্নফাঁসের কোনো সুযোগ অসাধু চক্র পাবে না। কেউ গুজব ছড়ালেও আমরা ব্যবস্থা নেব। একইসঙ্গে ফল প্রকাশে বিলম্ব যেন না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর ভাসানটেক সরকারি কলেজ ও সরকারি বাঙলা কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল (সি আর) আবরার বলেন, পরীক্ষার প্রথম দিন থেকেই কেন্দ্রগুলোতে সুষ্ঠু পরিবেশ বিরাজ করছে। পরীক্ষার্থীরা সময়মতো কেন্দ্রে পৌঁছেছে এবং নির্ধারিত নিয়মে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, শিক্ষা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট সবার সমন্বিত প্রচেষ্টায় একটি সুশৃঙ্খল পরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, সরকার প্রশ্নফাঁসের গুজব ঠেকাতে এবং নকলমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোনো সমস্যার কথা শোনা যায়নি। তিনি বলেন, আমরা এসএসসি পরীক্ষার মতো এবারও তৎপর আছি। আশা করি, প্রশ্নফাঁসের কোনো সুযোগ অসাধু চক্র পাবে না। কেউ গুজব ছড়ালেও আমরা ব্যবস্থা নেব। শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, আমি কেন্দ্র ঘুরে দেখলাম, সব পরীক্ষার্থী মাস্ক পরে এসেছে, সবাই নিরাপদ দূরত্বে বসে পরীক্ষা দিচ্ছে। ডেঙ্গুর বিষয়েও আগে থেকেই আমরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালিয়েছি। সব মিলিয়ে ডেঙ্গু-করোনা নিয়ে আমাদের প্রস্তুতি ভালো। ফলে এ নিয়ে ভয়ের বা শঙ্কার কিছু দেখছি না। কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে গাড়ি প্রবেশ ও অভিভাবকদের জটলা করতে নিষেধাজ্ঞা ছিল। সেগুলো ঠিকঠাক মানা হচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি সচিবালয় থেকে এখানে এসেছি। খুব বেশি জটলা বা ঝামেলা দেখিনি। যদিও আমি পরীক্ষা শুরুর পর এসেছি। তবে এটা সত্য যে, সব নিয়ম মানানো যাচ্ছে না। আমরা ধীরে ধীরে এগুলো নিয়ে কাজ করবো। আশা করি সামনে আরও ভালো পরিস্থিতি হবে। কর্মদিবসে পরীক্ষা নেওয়ায় যানজটে ভোগান্তিতে পড়েন পরীক্ষার্থীরা। ভবিষ্যতে কর্মদিবস এড়িয়ে বা সকালের পরিবর্তে বিকেলে পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা আছে কি না এমন প্রশ্নে সি আর আবরার বলেন, সেটা তো অবশ্যই থাকে। তবে আমাদের আরও অনেক দিক বিবেচনা করতে হয়। যেমন- দুপুরের নামাজ, খাবার গ্রহণের বিরতি থাকে। তার পরে পরীক্ষা শুরু করলে সেটা শেষ বিকেলে চলে যায়। আবহাওয়াসহ অন্যান্য বিষয়েও নজর রাখতে হয়।
রাজধানীর বিভিন্ন কেন্দ্রের সামনে দেখা যায়, পরীক্ষার্থীরা হলে ঢুকে যাওয়ার পর থেকেই সেখানেই অবস্থান করছেন অনেক অভিভাবক। কেন এই ‘উদ্বেগ’ জানতে চাইলে তারা জানিয়েছেন, ‘পাবলিক পরীক্ষা, ঠিকভাবে লিখতে পারবে কিনা সে নিয়ে টেনশন কাজ করছে। এছাড়া করোনা ও ডেঙ্গুর ভয়ও লাগছে।
এদিকে করোনা ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে মাস্ক-হ্যান্ডস্যানিটাইজার বাধ্যতামূলকসহ ৭ নির্দেশনা দিয়েছে বোর্ড। এসব মেনেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে এইচএসসি পরীক্ষা। এদিন রাজধানীর ভাসানটেক সরকারি কলেজের সামনে বসে আছেন আব্দুল জলিল নামের একজন অভিভাবক। তিনি বলেন, আমার মেয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে। চিন্তা হচ্ছে প্রথম পরীক্ষা কেমন করছে এবং প্রশ্ন কেমন হয়েছে। এছাড়া করোনার ব্যাপারেও ভয় করছে বলে জানান এই অভিভাবক। সরকারি বাঙলা কলেজের সামনে বসে আছেন আমেনা বেগম নামের একজন মা। তিনি বলেন, ছেলেকে পরীক্ষার হলে ঢুকিয়ে দিয়ে কেন্দ্রের একপাশে বসে দোয়া করছেন তিনি। তিনি বলেন, আমার ছেলে ভালো শিক্ষার্থী। কিন্তু পাবলিক পরীক্ষায় আসার পর অন্য ধরনের টেনশন কাজ করে। রউফ আহমেদ নামের একজন অভিভাবক বলেন, দেশে করোনা ও ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভালো নয়। তার মধ্যে এত বড় পাবলিক পরীক্ষা হচ্ছে। এটা নিয়ে ভয় করছে কারণ অনেক সময় সরকারি শুধু নির্দেশনায় দেওয়া হয় সেভাবে স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে কাজ হয় না। এছাড়া পরীক্ষার ব্যাপারে স্বাভাবিক একটা একটা ভয় তো কাজ করে। কেমন প্রশ্ন হয়েছে? কতটা ভালো করে উত্তর লিখতে পারছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার করোনায় ২ জন মৃত্যু ও নতুন করে ২৬ আক্রান্ত। এছাড়া চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ৩৬ জন, যাদের মধ্যে ৫২.৮ শতাংশ পুরুষ ও ৪৭.২ শতাংশ নারী। বোর্ডে সূত্রে জানা যায়, এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন শিক্ষার্থী। তত্ত্বীয় পরীক্ষা চলবে ১০ আগস্ট পর্যন্ত। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১১ থেকে ২১ আগস্ট পর্যন্ত।
এবার যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের অধীনে খুলনা বিভাগের দশ জেলা থেকে এক লাখ ১৬ হাজার ৩১৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। এরমধ্যে ১৩৪ জন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন (প্রতিবন্ধী) পরীক্ষার্থী রয়েছেন। যশোর শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. মো. আবদুল মতিন জানান, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পরীক্ষার্থীদের মধ্যে যারা শ্রুতিলেখকের মাধ্যমে পরীক্ষা দিচ্ছেন তারা অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় পাচ্ছেন। এরকম পরীক্ষার্থী রয়েছেন ১৪ জন। বাকি ১২০ বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পরীক্ষার্থী অতিরিক্ত ৩০ মিনিট করে সময় পাচ্ছেন। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জানান, যেসব কেন্দ্রে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিচ্ছেন, যত্নসহকারে তাদের পরীক্ষা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্তদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জামালপুরে প্রবেশপত্র না পাওয়ায় এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি ১৭ শিক্ষার্থী। তারা সবাই জামালপুর পৌর এলাকার প্রশান্তি আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী। প্রবেশপত্র না পেয়ে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা কলেজটির সামনে অবস্থান নেন। এ সময় প্রতিষ্ঠানটির সাইনবোর্ড খুলে গেটে তালা ঝুলিয়ে কর্তৃপক্ষ আত্মগোপনে চলে যায়। বুধবার রাত ২টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেও পরীক্ষার প্রবেশপত্র না পাওয়ায় শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকেরা কলেজে গিয়ে অধ্যক্ষের কক্ষে হট্টগোল করেন। অভিযোগ উঠেছে, প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে রেজিস্ট্রেশন ও প্রবেশপত্র বাবদ অর্থ নিয়েছে, কিন্তু তাদের পরীক্ষার জন্য কোনো কাগজপত্র দেয়নি। ঘটনার পর থেকে প্রশান্তি আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনে তালা লাগানো অবস্থায় রয়েছে। সরিয়ে ফেলা হয়েছে সাইনবোর্ডও। কলেজের অধ্যক্ষ রেজাউল ইসলাম সেলিমের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আফসানা তাসলিম বলেন, প্রমাণসহ লিখিত অভিযোগ পেলে ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বছর জামালপুর জেলায় ৫২টি কেন্দ্রে ২৬ হাজার ৫৭৫ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন।
টাঙ্গাইলের সখিপুরে একসঙ্গে এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন আপন তিন বোন। গতকাল বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় তারা সখিপুর সরকারি কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। বিষয়টি কেন্দ্রে আসা অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সবার নজর কেড়েছে। এর আগে তারা একসঙ্গে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। একসঙ্গে এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়া তিন বোন হলেন- সখীপুর পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শফিকুল ইসলামের বড় মেয়ে সুমাইয়া ইসলাম (১৯), মেজো মেয়ে সাদিয়া ইসলাম (১৮) ও ছোট মেয়ে রাদিয়া ইসলাম (১৭)। এই তিন বোন সখিপুর আবাসিক মহিলা কলেজের মানবিক বিভাগ থেকে পরীক্ষা দিচ্ছেন।
জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের বাবা শফিকুল ইসলাম সৌদি আরব প্রবাসী হওয়ায় সেখানেই তিন বোনের জন্ম। এরপর ২০১০ সালে সৌদি আরবের মক্কায় ব্যবসা-বাণিজ্য বাদ দিয়ে পরিবার নিয়ে দেশে চলে আসেন শফিকুল ইসলাম। শফিকুল ইসলাম বলেন, তারা ছোট বেলা থেকেই একসঙ্গে পড়াশোনা করে আসছে। বিষয়টি নিয়ে আমি খুবই আনন্দিত। বিগত সময়ের পরীক্ষায় মেয়েদের ফলাফলে আমি খুবই খুশি। আশা করি এবার এইচএসসি পরীক্ষায়ও ভালো ফলাফল করবে। তারা উচ্চশিক্ষা লাভে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে বলে মনে করি। পরীক্ষা দিতে আসা ওই তিন বোন বলেন, বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণ করাই হচ্ছে আমাদের প্রধান লক্ষ্য। তাদের ইচ্ছা মেয়েরা উচ্চ শিক্ষালাভ করে প্রতিষ্ঠিত হয়ে নিজেদের পাশাপাশি সমাজ ও দেশের কল্যাণে ভূমিকা রাখবে।
সখিপুর আবাসিক মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ এম এ রউফ বলেন, ওই তিন বোন মেধাবী শিক্ষার্থী। এর আগে তারা প্রাথমিক সমাপনী, জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করেছে। এবারের পরীক্ষায়ও তারা কৃতিত্বের ধারাবাহিকতার স্বাক্ষর রাখবে বলে আশা করি।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য