ঢাকা , শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫ , ১৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় রথযাত্রা অনুষ্ঠিত ডিএমপির সার্বিক নিরাপত্তায় উদযাপিত হলো রথযাত্রা নিলামে উঠছে চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে থাকা কনটেইনার সিরাজগঞ্জে দ্রুত বাড়ছে যমুনার পানি জ্বর আতঙ্কে জনজীবন এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায়ও অনুপস্থিত বেশি বিচার বিভাগের সচিবালয় প্রতিষ্ঠায় অর্থায়নে রাজি ইইউ-আমির খসরু ৩ নির্বাচনের অভিযোগ তদন্ত এবং সুপারিশ প্রণয়নে কমিটি গঠন অন্যায় তদবিরে পাত্তা না দিলেই বানানো হয় ভারতের দালাল-আসিফ নজরুল পুনর্বিন্যাসের চাপে ইসি অর্থকষ্ঠে সাধারণ মানুষ সাবেক তিন সিইসির বিরুদ্ধে মামলায় যুক্ত হলো রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ অবরুদ্ধ এনবিআর ভবন ফ্ল্যাট বিক্রিতে ধস, নির্মাণ খাতে ছাঁটাইয়ের শঙ্কা ৪২ দিন পর নগর ভবনে প্রশাসক সাংবাদিকতায় বাংলাদেশের মতো স্বাধীনতা উন্নত বিশ্বেও নাই তরুণ সমাজকে অবশ্যই মাদকমুক্ত রাখতে হবে-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ডামি নির্বাচনের কথা স্বীকার সাবেক সিইসি হাবিবুল আউয়ালের জাতিসংঘের পানি কনভেনশনে যোগ দিলো বাংলাদেশ পোরশায় ইসলামী আন্দোলনের গাংগুরিয়া ইউনিয়ন কমিটি গঠন

নিলামে উঠছে চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে থাকা কনটেইনার

  • আপলোড সময় : ২৮-০৬-২০২৫ ১২:২০:০৫ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৮-০৬-২০২৫ ১২:২০:০৫ পূর্বাহ্ন
নিলামে উঠছে চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে থাকা কনটেইনার
চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি করে আমদানিকারকরা দীর্ঘদিন ধরে খালাস না নেওয়া পণ্যবাহী কনটেইনার ও খোলা পণ্য দ্রুত নিলামে বিক্রি করা হবে। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি আদেশও দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বন্দর সূত্র জানিয়েছে, চট্টগ্রাম বন্দরে নিলামযোগ্য কনটেইনার আছে ১০ হাজার। এর মধ্যে বিভিন্ন শেড ও ইয়ার্ডে পড়ে আছে ৪০০টির বেশি কেমিক্যালবাহী কনটেইনার। বাকিগুলো অন্যান্য পণ্যভর্তি। যেগুলোর প্রায় সবই মেয়াদোত্তীর্ণ। এগুলোর কারণে বন্দরের জন্য তৈরি হয়েছে ভয়াবহ ঝুঁকি। এজন্য নিলামে তোলা হচ্ছে। বন্দরের নিয়ম অনুযায়ী, কার্যক্রম নির্বিঘ্ন রাখতে কমপক্ষে ৩০ শতাংশ জায়গা খালি রাখা আবশ্যক। যাতে কনটেইনারবাহী লরি ও কাভার্ডভ্যান চলাচলে বিঘ্ন না ঘটে। কিন্তু বর্তমানে বন্দরের প্রায় প্রতিটি অংশেই জায়গার সংকট। যা আমদানি-রফতানি কার্যক্রমে ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে। ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ সাল পর্যন্ত খালাস না হওয়া কনটেইনার চট্টগ্রাম বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত করছে। দীর্ঘদিনের পুরনো কেমিক্যাল ও বিপজ্জনক পণ্য বিস্ফোরণ ঝুঁকিসহ বন্দরের সামগ্রিক নিরাপত্তা হুমকি তৈরি করেছে। এই ঝুঁকি নিরসনে বিদ্যমান প্রমিত নিলাম প্রক্রিয়ায় সময়ক্ষেপণ এড়ানো সম্ভব হয় না। নিয়ন্ত্রিত পণ্য খালাসে জটিলতা, অনিষ্পন্ন মামলা, নিলামের দরদাতা কর্তৃক পণ্য খালাস না করা, লজিস্টিকসের অভাবসহ নানা কারণে কর্তৃপক্ষ স্বল্পতম সময়ে নিলাম প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারছে না। এ ক্ষেত্রে পণ্য জট নিরসন ও খালাস প্রক্রিয়া সহজীকরণে ‘চট্টগ্রাম বন্দরে দ্রুত নিলাম ও ধ্বংস কার্যক্রম সংক্রান্ত বিশেষ আদেশ ২০২৫’ জারি করেছে এনবিআর। দ্রুত পণ্য খালাস, শ্রম, অর্থ ও কর্মঘণ্টা সাশ্রয়, রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপচয় রোধ, নিরাপত্তা ঝুঁকি নিরসন, ভৌত অবকাঠামো, জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং কনটেইনার জটসহ বন্দরের সামগ্রিক সক্ষমতা বৃদ্ধির অন্যতম উদ্দেশ্য। এ পরিস্থিতিতে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ সাল পর্যন্ত নিলাম ও নিষ্পত্তিযোগ্য পণ্যের (যানবাহন ব্যতীত) বিক্রয়, ব্যবস্থাপনা ও ধ্বংস কার্যক্রম প্রক্রিয়া সহজীকরণে নিম্নবর্ণিত নির্দেশনাসংবলিত বিশেষ আদেশ জারি করা হয়েছে। নিষ্পত্তিযোগ্য পণ্যসমূহের সংরক্ষিত মূল্য নির্ধারণ ব্যতীত প্রথম নিলামে (বিশেষ ক্ষেত্র ব্যতীত) প্রাপ্ত সর্বোচ্চ মূল্যে বিক্রয় করা যাবে। আমদানিনীতি বা রপ্তানিনীতি অনুযায়ী শর্ত সাপেক্ষে, নিয়ন্ত্রিত বা নিষিদ্ধ অথবা পণ্যের গুণগতমান নষ্ট হওয়ার কারণে বা অন্য কোনো কারণে নিলামের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা সম্ভব নয় অথবা সম্ভব হয়নি তা ধ্বংস বা নিষ্ক্রিয়করণের লক্ষ্যে নিলাম ব্যতীত বিশেষায়িত সংস্থা বা প্রযুক্তিগত সক্ষমতা সম্পন্ন প্রতিষ্ঠানের নিকট বিনা মূল্যে হস্তান্তর করা যাবে। যদি দুটি নিলামের মাধ্যমেও কোনো পণ্য বিক্রয় করা সম্ভব না হলে অথবা দরপত্র পাওয়া না গেলে তৃতীয় নিলাম ব্যতিরেকে ব্যাপক প্রচার প্রচারণাপূর্বক পণ্য গ্রহণে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানের নিকট সর্বোচ্চ প্রস্তাব মূল্যে বিক্রয় এবং পরীক্ষন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ব্যবহার উপযোগিতা রয়েছে মর্মে প্রত্যয়নকৃত মেয়াদোত্তীর্ণ বিপজ্জনক পণ্য বা কেমিক্যাল জাতীয় পণ্যসমূহ প্রকৃত ব্যবহারকারী বা বিশেষায়িত সংস্থা বা প্রযুক্তিগত সক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠানের নিকট সর্বোচ্চ অফার মূল্যে বিক্রয়ের বিধান রাখা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, নিলাম প্রক্রিয়া সহজীকরণে জারীকৃত এ আদেশ বাস্তবায়িত হলে বন্দরে দীর্ঘদিন পড়ে থাকা কনটেইনার জট কমবে এবং বন্দরের কার্যক্রম নির্বিঘ্ন, সহজ, সময় সাশ্রয়ী, আমদানি-রপ্তানিকারকদের খরচ কমাসহ সার্বিকভাবে দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। এতে বন্দরের সুবিধাভোগীরা সুফল ভোগ করবে বলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আশা করছে। বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট খায়রুল আলম সুজন বলেন, নিলাম প্রক্রিয়া সহজ করার জন্য আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। সমপ্রতি এনবিআর এ বিষয়ে একটি বিশেষ আদেশ জারি করেছে। এনবিআরের এই প্রক্রিয়াকে আমরা সাধুবাদ জানাই। কোনও জটিলতার কারণে কোনও পণ্য আমদানিকারক যদি ছাড় না নেন, তাহলে দ্রুত নিলামে তোলা প্রয়োজন। তা না হলে কনটেইনারে থাকা পণ্য নষ্ট হয়। আবার নিলাম দেরিতে হলে ক্রেতা পাওয়া যায় না। একইভাবে দামও ভালো যায় না। দ্রুত নিলাম সম্পন্ন করলে ক্রেতাদের চাহিদা যেমন থাকবে পাশাপাশি শিপিং লাইনগুলো দ্রুত তাদের কনটেইনারগুলো বুঝে পাবেন। তখন তারা অন্য কাজে ব্যবহার করতে পারবেন। এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের নিলাম শাখার সহকারী কমিশনার মো. সাকিব হোসেন বলেন, এনবিআরের বিশেষ আদেশ অনুযায়ী ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুরোনো কনটেইনারগুলো নিলামে তোলার কাজ শুরু হয়েছে। গত ১০ বছরে পণ্যভর্তি সাড়ে পাঁচ হাজার কনটেইনার রয়েছে নিলামযোগ্য। এগুলো শিগগিরই নিলামে তোলা হবে। যেগুলোতে মেশিনারিজ পণ্য, ফেব্রিক্স, সুতাসহ বিভিন্ন পণ্য আছে। নিলামে সর্বোচ্চ দরদাতাকে আমরা এগুলো দিতে পারবো। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, এটি ভালো প্রক্রিয়া। এতে করে বন্দরে বছরের পর বছর পড়ে থাকা পণ্যভর্তি কনটেইনার সরানোর কাজে গতি আসবে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স