ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫ , ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
অন্তর্বর্তী সরকার এত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করতে পারবে না-শিক্ষা উপদেষ্টা দাবি আদায়ে এক মাসের আল্টিমেটাম শিক্ষকদের ফরিদপুরের কানাইপুরে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৩, আহত ১৫ জনগণের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ -প্রধান উপদেষ্টা মালয়েশিয়া সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা আ’লীগকে নির্বাচনে ফেরাতে চাইলে আবারও অভ্যুত্থান সর্বনাশ ডেকে আনছে তামাক শেখ হাসিনা-রেহানা টিউলিপের তিন মামলায় বাদীদের সাক্ষ্য গ্রহণ ডাকসু নির্বাচন নিয়ে অমনোযোগী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কাফনের কাপড় পরে বস্তিবাসীদের অবস্থান পাথর লুটে প্রশাসনের দায় আছে কিনা খতিয়ে দেখবে দুদক রাজস্ব ঘাটতি না কমলেও শুল্কছাড়ে উদার সরকার ধর্মভিত্তিক একটি দল বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে-রিজভী জিএম কাদেরের সাংগঠনিক কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার কৃষি খাতকে দখলে নিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র, শঙ্কা প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার ঋণখেলাপিরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না-অর্থ উপদেষ্টা প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম উদ্বোধনে কানাডা যাচ্ছেন সিইসি পণ্যের দাম বৃদ্ধিতে ক্রেতার নাভিশ্বাস বকশীগঞ্জের সাবেক মেয়র উত্তরা থেকে গ্রেফতার বরিশাল মেডিকেলের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা স্বাস্থ্যের ডিজির
ছাত্রদল নেতা জনি হত্যা

সাবের হোসেনসহ ৬২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ

  • আপলোড সময় : ৩০-০৬-২০২৫ ০২:৩৭:৫৬ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ৩০-০৬-২০২৫ ০২:৩৭:৫৬ অপরাহ্ন
সাবের হোসেনসহ ৬২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ
ছাত্রদল নেতা মো. নুরুজ্জামান জনির অপহরণ, গুম ও কথিত বন্দুকযুদ্ধে হত্যার অভিযোগে আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়াসহ মোট ৬২ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ জমা দিয়েছেন জনির পরিবার। দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর পর গতকাল রোববার এ অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগপত্রের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সালের ১৯ জানুয়ারি সকাল আনুমানিক ৮টা ১৫ মিনিটে নুরুজ্জামান জনি ও তার সহপাঠী মইন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জনির ছোট ভাই মনিরুজ্জামান হীরাকে দেখতে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে ডিবি পরিচয়ে জনি ও মইনকে আটক করে একটি অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। অভিযোগে বলা হয়েছে, তাদেরকে সেখানে শারীরিক নির্যাতন করা হয় এবং পরে ডিবি ঢাকা মেট্রোপলিটন দক্ষিণ কার্যালয়ে নিয়েও নির্যাতন চালানো হয়। ওই সময় জনির সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মুনিয়া পারভিনসহ স্বজনরা খিলগাঁও থানা, ডিবি দক্ষিণ অফিস, ডিএমপি অফিসসহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করতে থাকেন। কিন্তু পুলিশ বরাবরই তাদের জানায়, জনিকে আটক করা হয়নি। অভিযোগপত্রে আরও উল্লেখ আছে, ২০ জানুয়ারি রাত আনুমানিক ৩টা থেকে সাড়ে ৩টার মধ্যে খিলগাঁও থানার জোড়াপুকুর মাঠের আশপাশে চিৎকার শুনতে পান স্থানীয়রা। সি-ব্লকের বাসিন্দা লাভলী বেগম জানান, তিনি “ও মাগো, মা, মাৃ বাঁচাও”-এই আর্তনাদ শুনেছেন। এ-ব্লকের বাসিন্দা সানজিদা আক্তার সেতুও একই ধরনের চিৎকার শোনার কথা জানান। ভোররাতে জনির স্বজন ও স্থানীয় মানুষজন মাঠের দিকে গেলে পুলিশকে উপস্থিত দেখতে পান। পুলিশ তখন জানায়, জনি পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন এবং তার মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে গিয়ে জনির পরিবার তার মরদেহ সনাক্ত করে। সেখানে তারা জনির বুকের বাম ও ডান পাশে, দুই হাতের তালুতে এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে মোট ১৬টি গুলির চিহ্ন দেখতে পান। তার শরীর গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিল এবং বিভিন্ন স্থানে আঘাতের স্পষ্ট চিহ্ন ছিল। অভিযোগে বলা হয়, তখন উপস্থিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মরদেহ গ্রহণ না করলে মামলা দেওয়ার হুমকিও দেন। রোববার (২৯ জুন) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করেন জনির বাবা ইয়াকুব আলী। একই দিনে বিএনপির মামলা ও সমন্বয় বিষয়ক প্রধান সালাহউদ্দিন খান গণমাধ্যমকে জানান, “দীর্ঘদিন ধরে কোনো সুরাহা না হওয়ায় আমরা ট্রাইব্যুনালের শরণাপন্ন হয়েছি। আশা করি, দ্রুত ন্যায়বিচার পাবো। ”এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সাবের হোসেন চৌধুরী, আসাদুজ্জামান মিয়াসহ মোট ৬২ জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স