পতিত শেখ হাসিনা সরকারের শেষের ৫ বছর আওয়ামী লীগ নেতাদের পাশে থেকে নানা ধরনের সুবিধা নেয়া মো. জসিম মোল্লা এখন বিএনপি নেতা। বিএনপির এক কেন্দ্রীয় নেতার সাহচর্যে থেকে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি পদ বাগিয়ে নিয়ে সেই পদকে ব্যবহার করে পদ বানিজ্যের মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা কামাচ্ছেন। তার বাড়ি শ্রীনগন উপজেলার কুকুটিয়া ইউনিয়নের বিবন্ধি গ্রােেম। বিগত ৫ বছর তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মহিউদ্দিন তার স্ত্রী সোহানা তাহমিনা এবং মহিউদ্দিনের পুত্র সাবেক এমপি হাজী ফয়সাল বিপ্লবের আস্থাভাজন ছিলেন তিনি। সরকার পরিবর্তনের পর প্রশাসনের সর্ব মহলে দাবিয়ে বেড়াচ্ছেন। পাশাপাশি অভিযোগ রয়েছে পেশায় আইনজীবি না হয়েও নিজেকে আইনজীবি পরিচয় দিয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য পদ বাগিয়ে নেন জসিম মোল্লা। এ নিয়ে মুন্সীগঞ্জের জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তাদের দাবি জসিম মোল্লা আইনজীবী না হয়ে আইনজীবী পরিচয় দিয়ে বেড়াচ্ছেন এবং বিভিন্ন অর্থনৈতিক লেনদেন করছেন।জানাগেছে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক আইনজীবী জানান, জসিম শ্রীনগর উপজেলার বাসিন্দা হলেও তিনি টঙ্গীবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য জামাল মন্ডলের হাত ধরে তিনি মুন্সীগঞ্জ শহরে এসে আশ্রয় নেয়। নিজের নানা অপকর্মের বৈধতা নিতে তিনি কথিত জেলা প্রেসক্লাবের সদস্য হন। সেই জেলা প্রেসক্লাবটি পরিচালনা করতেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সোহানা তাহমিনা। সেখান থেকে তিনি সোহানার হাত ধরে সোহানার স্বামী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো.মহিউদ্দিন এর সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, জসিম মোল্লা এখন নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের বিভিন্ন উপজেলায় পকেট কমিটি করছেন। যাদেরকে কমিটিতে নিচ্ছেন তারা অনেকেই বিএনপির আদর্শে বিশ্বাসী নয়। এই একটি কমিটির পদের নাম ব্যবহার করে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসনের সর্ব মহলে নানা তদবির বাণিজ্য করছেন আর নিজেকে বিএনটি নেতা হিসেবে পরিচয় দিচ্ছেন। তার এমন কর্মকান্ডে হতাশ তৃনমূল বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। শুধু তাই নয়, এতে আইনজীবি মহলেও নানা সমালোচনা ও নানা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। ভুক্তভোগী ও স্থানীয়দের দাবি, এসব সুবিধাবাদী নেতাদের কারণে দলের ভিতরে ভালো মানুষ প্রবেশ করতে পারছে না। সরকারের পালাবদল হলেও এসব লোকজনের কর্ম আর সুবিধা ভোগ করার মানসিকতার কোন পরিবর্তন হচ্ছে না। দ্রুত সময়ে এসব নামধারী তেলবাজ বিএনপির কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে এরাই দলের জন্য বিষফোঁড়া হবে। পাশাপাশি এদের হাত ধরেই প্রতিষ্ঠিত হবে ফ্যাসিবাদি ্আওয়ামী লীগের লোকজন। আর নিরবে হারিয়ে যাবে জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী বিএনপির নেতাকর্মীরা। দ্রুত সময়ে তার বিরুদ্ধে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠন কার্যকরি ব্যবস্থা নিবে। এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।