ঢাকা , শুক্রবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৫ , ১৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
বিএসএফ মহাপরিচালকের ব্যাখ্যায় দ্বিমত বিজিবির ডিজির ১৪ সদস্যের ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন মৎস্য ভবনের সামনে সড়ক অবরোধ প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের শিশু ধর্ষণ আশঙ্কাজনক বৃদ্ধিতে গভীর উদ্বেগ সিলেটে পুকুর থেকে সাদাপাথর উদ্ধার ভোলাগঞ্জের পাথর লুট করে ১৫০০-২০০০ ব্যক্তি বাংলাভাষী লোকজনকে ‘বাংলাদেশি’ আখ্যা দিয়ে দেশছাড়া করতে দেব না- মমতা রোডম্যাপকে স্বাগত জানাই-জোনায়েদ সাকি ইসির রোডম্যাপে খুশি বিএনপি-মির্জা ফখরুল ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা মেসির জোড়া গোলে ফাইনালে ইন্টার মায়ামি টাইব্রেকারে গ্রিমসবির কাছে হেরে বিদায় নিলো ম্যানইউ নতুন মাইলফলক স্পর্শ করলেন হামজা ‘মুসলিম হওয়ার কারণে অনেকে আমাকে টার্গেট করেন’ ভারতের ২৬ বিশ্বকাপ জেতার সুযোগ দেখছেন না শ্রীকান্ত নতুন ক্যাটাগোরিতে বেতন কত কমল বাবর-রিজওয়ানের? বড় ব্যবধানে হারলো সাকিবের ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স বাংলাদেশকে হারানো সহজ হবে না: স্কট এডওয়ার্ডস রাকসু নির্বাচনের তফসিল ৩য় বারের মতো পুনর্বিন্যস্ত পিছিয়েছে ভোট জকসু নির্বাচনে বয়সসীমা থাকছে না
* ২০১৭ সালে দেশের বিভিন্ন জেলায় ১৩টি বাফার গোডাউন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয় * ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পটির মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব করে ৩য় সংশোধনীর জন্য জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) পাঠানো হয়েছে

সার মজুতে বাফার গোডাউন নির্মাণ প্রকল্প এখনো শেষ হয়নি

  • আপলোড সময় : ১৪-০৭-২০২৫ ০৬:৪৬:৫৪ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৪-০৭-২০২৫ ০৬:৪৬:৫৪ অপরাহ্ন
সার মজুতে বাফার গোডাউন নির্মাণ প্রকল্প এখনো শেষ হয়নি
দেশে দীর্ঘদিনে শেষ হয়নি সার মজুতে বাফার গোডাউন নির্মাণ প্রকল্প। ফলে সাধারণ কৃষকরা প্রায় প্রতি বছরই চাহিদার তুলনায় পর্যন্ত মজুত না থাকার অজুহাতে বিভিন্ন সময়ে সার ডিলারদের দাম বৃদ্ধিতে বিপাকে পড়ে। বাংলাদেশের কৃষিজ পণ্য উৎপাদনে কৃষকদের সবচেয়ে বেশি সার সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। যার প্রভাব সামগ্রিক অর্থনীতিতে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সারের পর্যাপ্ত মজুদ গড়তে ২০১৭ সালে দেশের বিভিন্ন জেলায় ১৩টি বাফার গোডাউন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। ২০১৯ সালে প্রকল্পটির সমাপ্তকাল নির্ধারণ হলেও এখন পর্যন্ত শেষ করা যায়নি প্রকল্পটি। বরং ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পটির মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব করে ৩য় সংশোধনীর জন্য জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) পাঠানো হয়েছে। শিল্প মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বিগত ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে ৫৪৩ কোটি ৯৬ লাখ ৯৬ হাজার টাকা ব্যয়ে শিল্প মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ  কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) অধীনে ধান উৎপাদনে শীর্ষে থাকা ১৩টি জেলায় সার মজুতে বাফার গোডাউন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। ওই জেলাগুলো হলো পঞ্চগড়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, শেরপুর, যশোর, গাইবান্ধা, নীলফামারি, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, পাবনা, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ, বরিশাল ও সুনামগঞ্জ। ভরা মৌসুমে সারের মজুত বৃদ্ধি করে সুষ্ঠুভাবে সংরক্ষণ ও বিতরণ এবং ডিলারের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ের কৃষকদের কাছে সার পৌঁছানোই ছিলো সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে এই গোডাউনের নির্মাণের উদ্দেশ্য। আর প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রমগুলো মধ্যে ছিরো গোডাউন নির্মাণে আউটসোর্সিং ও ভূমি অধিগ্রহণ, যানবাহন ভাড়া, বিশেষজ্ঞ সেবা ও সুপারভিশন, ১৩টি বাফার গোডাউন নির্মাণ, সাইট অফিস নির্মাণ ও লিয়াজোঁ অফিস ডেকোরেশন, কম্পিউটার ও যন্ত্রাংশ ক্রয় (সাইট অফিস ও লিয়াজোঁ অফিস) এবং সৌরবিদ্যুৎ প্যানেল নির্মাণ। 
সূত্র জানায়, একনেক সভায় বিগত ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে প্রথমবারের মতো সার মজুতের গোডাউন নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদন হয়। তারপর প্রকল্প শেষ হওয়ার নির্ধারিত সময়ের চেয়ে আরো ৬ মাস বাড়িয়ে প্রথম বারের মতো সংশোধনী আনা হয় এবং তা অনুমোদন হয়। দ্বিতীয় সংশোধনীতে মেয়াদ আাে একবছর বাড়িয়ে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত করার প্রস্তাবও অনুমোদন করা হয়। আর তৃতীয় বার চলতি বছরের জুন পর্যন্ত প্রকল্পটির মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। কিন্তু এখনো প্রকল্পটি শেষ করতে না পারায় চতুর্থ দফায় আগামী বছরের জুন পর্যন্ত মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। চলতি বছরের আরএডিপিতেও প্রকল্পটির অনুকূলে ৫৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছিল, যার মধ্যে সরকারের তরফে ৪৫ কোটি টাকা এবং আওতাধীন প্রতিষ্ঠানের ৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা অর্থায়ন ছিল।
৪র্থ বার মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাবের বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের সুপারিশে বলা হয়েছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সংশ্লিষ্ট এলাকার কৃষকদের দোরগোড়ায় দ্রুততার সঙ্গে স্বল্প খরচে সার পৌঁছানো সম্ভব হবে। কৃষকের অধিক ফসল উৎপাদনে সক্ষম হবে এবং দেশ খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করবে। উপরন্তু এই গোডাউনগুলোতে পর্যাপ্ত সার নিরাপদে সংরক্ষণ করা যাবে, যার মাধ্যমে সংকটকালে কৃষকের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে।
সূত্র আরো জানায়, শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতায় বিসিআইসি’র মাধ্যমে বাস্তবায়নাধীন ‘সার সংরক্ষণ ও বিতরণ সুবিধার জন্য দেশের বিভিন্ন জেলায় ১৩টি নতুন বাফার গোডাউন নির্মাণ (৩য় সংশোধিত)’ প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় অপরিবর্তিত রেখে আইএমইডি’র শর্তগুলো প্রতিপালন সাপেক্ষে বাস্তবায়ন মেয়াদ ১ বছর বৃদ্ধির জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। অর্থাৎ জানুয়ারি ২০১৭ থেকে জুন ২০২৫ এর পরিবর্তে জানুয়ারি ২০১৭ থেকে জুন ২০২৬ পর্যন্ত প্রকল্পটির মেয়াদ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একনেকের অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স