যশোর থেকে শেখ দিনু আহমেদ
যশোর সড়ক বিভাগের অধীনস্থ সদরের রামনগর ক্ষণিকা পিকনিক কর্নার থেকে বছরে প্রায় কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে কর্মকর্তারা লোপাট করছেন।
অনুসন্ধান করে জানা গেছে, যশোর সড়ক বিভাগের অধীনস্থ সদরের রামনগর ক্ষণিকা পিকনিক কর্নারের আওতায় মোট ৭৫ বিঘা জমি রয়েছে। এর মধ্যে ২৪ বিঘা জমিতে পুকুর। সেখানে মাছ চাষ করে বছরে প্রায় ৫০ লাখ টাকার মাছ বিক্রি করে সরকারি কোষাগারে এ টাকা জমা না দিয়ে কর্মকর্তারা তা আত্মসাত করেন।আর ২১বিঘা জমিতে আম,কাঠাল ও নারিকেলসহ গরু-ছাগল এবং হাঁস-মুরগির খামার করে এ খাত থেকে বছরে প্রায় ২০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হচ্ছে। এছাড়া ৫ বিঘা জমিতে আবাসিক এলাকা এবং ২৫ বিঘা জমিতে কৃষি ফসল উৎপাদিত হয়। এ খাত থেকে কর্মকর্তারা বছরের দুই মৌসুমে প্রায় ৩০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। তাছাড়া ক্ষণিকা পিকনিক কর্নারের বড় পুকুরে মাছ শিকারের টিকিট বিক্রি করেও লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হচ্ছে। অর্থাৎ বছরে রামনগর ক্ষণিকা পিকনিক কর্নার থেকে যশোর সড়ক বিভাগের কর্মকর্তারা প্রায় কোটি টাকারও বেশি অর্থ লোপাট করছেন।
ওই অফিসের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, দীর্ঘ ১১ বছর ধরে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে পরস্পর যোগসাজশে নির্বাহী প্রকৌশলীসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা লুটপাট করছেন। দুদক গোপনে অনুসন্ধান করলে এ তথ্যের সত্যতা মেলবে। এব্যাপারে যশোর সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়ার সাথে কথা বললে, তিনি এ অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করেন।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
