ঢাকা , বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫ , ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
বিশ্বকাপজয়ী আলমাদাকে দলে ভেড়াচ্ছে অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ ভুটানের সাথে জয় পেলো বাংলাদেশ ৪৩ বছর বয়সে ‘দ্য হান্ড্রেডে’ অভিষেক হতে যাচ্ছে অ্যান্ডারসনের শাস্তির সম্মুখীন হলেন স্টোকসরা বড় সাকিবের প্রত্যাশা; ছোট সাকিবও হবে অলরাউন্ডার ঢাকায় পৌঁছালো পাকিস্তান দল টি-টোয়েন্টি র‌্যাংকিংয়ে বড় লাফ দিলো রিশাদ বদলির আদেশ প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলায় মোট ১৪ এনবিআর কর্মকর্তা বরখাস্ত শতকোটি টাকা ব্যয়ে হচ্ছে গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর জুলাইয়ের চেতনায় একসঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার প্রধান উপদেষ্টার রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাব শেয়ারবাজারে ইসিতে ৪৩ হাজার পৃষ্ঠার নথি জমা দিয়েও বাছাইয়ে ফেল এনসিপি যৌক্তিক শুল্ক প্রত্যাশা বাংলাদেশের ১৫ টাকা দরে ৩০ কেজি চাল পাবে ৫৫ লাখ পরিবার-খাদ্য উপদেষ্টা ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্ল্যান্ট চুক্তি রিভিউ হবে-অর্থ উপদেষ্টা এ বছরের শেষ নাগাদ তিস্তা মহাপরিকল্পনা নিয়ে চূড়ান্ত সুখবর-পরিবেশ উপদেষ্টা পঞ্চদশ সংশোধনীতে হাসিনা ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার চেষ্টা করেছিলেন : বদিউল আলম মজুমদার নিবন্ধন চাওয়া ১৪৪ দলই প্রাথমিক বাছাইয়ে অনুত্তীর্ণ ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি আরও ৩৭৫ বাক্সবন্দি মেশিন এখন চায়ের টেবিল
শিক্ষার্থী ১০ শিক্ষক-কর্মচারী ১২

নাম তার মৈশানি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়

  • আপলোড সময় : ১৫-০৭-২০২৫ ১২:৫৭:৪৫ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৫-০৭-২০২৫ ১২:৫৭:৪৫ অপরাহ্ন
নাম তার মৈশানি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়
স্বরূপকাঠি থেকে এম. ইসলাম জাহিদ পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ উপজেলার মৈশানি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কাগজে-কলমে ১৩০ জন দেখানো হলেও বাস্তবে শ্রেণিকক্ষে পাওয়া যায় গড়ে মাত্র ৭-১০ জন। অথচ এখানে রয়েছেন ৯ জন শিক্ষক ও ৩ জন কর্মচারী। ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় ছয় জন শিক্ষার্থী, পাস করে মাত্র একজন। ৬ জনের মধ্যে ৫ জনই বিবাহিত। স্থানীয়রা বলছেন, এমন ভয়াবহ ফলাফল ও শিক্ষার্থী সংকটের জন্য দায়ী ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পর্ষিয়া রানী হালদার ও বিদ্যালয়ের কেরানি আব্দুল জলিলের অনিয়মতান্ত্রিক পরিচালনা। প্রতি মাসে দু’একদিনে সারা মাসের হাজিরা দেয়া হয়। শ্রেণিকক্ষে নেই শিক্ষার্থী, তবু হাজিরা খাতায় উপস্থিতি। সাম্প্রতিক সময়ে সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা গেছে, ষষ্ঠ ও নবম শ্রেণির কক্ষে কোনো শিক্ষার্থী নেই। কক্ষগুলো ধুলায় ঢাকা। দশম শ্রেণিতে দুইজন, অষ্টমে পাঁচজন এবং সপ্তমে তিনজন শিক্ষার্থী ছিল। অথচ হাজিরা খাতায় অনেক নাম থাকা সত্ত্বেও বাস্তবে তারা উপস্থিত নয়। শিক্ষকদের কাছে যখন শ্রেণিশিক্ষকের নাম জানতে চাওয়া হয়, কেউ নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি। হাজিরা খাতা দেখাতেও গড়িমসি করেন তারা। পরবর্তীতে খাতা দেখে পাওয়া যায়, বহু ছাত্রীর নাম রয়েছে যারা দীর্ঘদিন বিদ্যালয়ে আসে না, এমনকি কেউ কেউ আদৌ এই স্কুলের ছাত্রী নন। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মালা দাস জানান, প্রতিদিন গড়ে ১০-১২ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত হয়, কখনও তা নেমে আসে ৭-৮ জনে। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক অভিযোগ করেন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা পর্ষিয়া রানী হালদার নিজের ইচ্ছেমতো বিদ্যালয় পরিচালনা করছেন। কেরানি আব্দুল জলিলের প্রভাব এতটাই যে, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকাও তার কথার বাইরে যেতে পারেন না। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা পর্ষিয়া রানী হালদার স্বীকার করেন, আমাদের স্কুলে শিক্ষার্থী কম, তাই কাগজে-কলমে সংখ্যা বেশি দেখাতে হয়। জলিলের বাড়ি কাছেই, আমার দূরে। তাই তার কথাই মানতে হয়। এ বিষয়ে নেছারাবাদ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জহিরুল আলম বলেন, আমি এখানে নতুন যোগ দিয়েছি। অচিরেই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, বিদ্যালয়ের ফল বিপর্যয়ের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। খুব শিগগিরই অভিভাবক ও শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক ডাকা হবে। পিরোজপুরের জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ইদ্রিস আলী আযিযী বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। অভিভাবকদের প্রশ্ন বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী নেই, অথচ শিক্ষক-কর্মচারীদের মাসিক বেতন কীভাবে উত্তোলন হচ্ছে? স্থানীয়দের দাবি প্রশাসনের হস্তক্ষেপেই কেবল বিদ্যালয়ের অনিয়ম ও সংকট নিরসন সম্ভব।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য