
মেট্রোরেলে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়


বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জনসমাবেশ ঘিরে রাজধানীর প্রেসক্লাব, সচিবালয়, মৎস্য ভবন ও রমনা এলাকায় যান চলাচল বন্ধ থাকায় মেট্রোরেলে দেখা দেয় বাড়তি চাপ। ফলে মেট্রোরেলের প্রতিটি স্টেশনে দেখা গেছে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। গতকাল শনিবার দেখা যায়, মতিঝিল, প্রেসক্লাব, টিএসসি ও শাহবাগ স্টেশনের কনকোর্সগুলোতে শত শত যাত্রী দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। কেউ টিকিট কেনার অপেক্ষায়, কেউবা ট্রেনের অপেক্ষায়। সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে জামায়াতের নেতাকর্মীরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশে যোগ দিতে রাজধানীতে আসেন। এতে সচিবালয়, প্রেসক্লাব, দোয়েল চত্বর, মৎস্য ভবন ও রমনা পার্ক এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে সৃষ্ট হয় বড় ধরনের যানজট। বিশেষ করে উত্তরা, মিরপুর ও ফার্মগেটের যাত্রীরা পড়েন চরম ভোগান্তিতে। উত্তরা ফিরতে যাওয়া যাত্রী ফাতেমা কানিজ বলেন, জরুরি কাজে সচিবালয়ে এসেছিলাম। এখন বাড়ি ফিরবো, কিন্তু টিকিট কাটতেই এক ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। লাইন যেন এগোয়ই না। কবে যে বাড়ি পৌঁছাবো, জানি না। চাঁদপুর থেকে সমাবেশে অংশ নিতে আসা রুহুল আমিন বলেন, কখনো মেট্রোরেলে চড়িনি। তাই এই সুযোগে চড়তে চেয়েছিলাম। কিন্তু এখন দেখি, প্রায় ঘণ্টাখানেক দাঁড়িয়ে আছি। এত মানুষের ভিড়ে মেট্রোতে চড়ার শখটাই মাটি হয়ে যাচ্ছে। ডিজিটাল টিকিট কাউন্টার ব্যবহারে অনভিজ্ঞতার কারণে অনেক যাত্রী বিলম্ব করছেন বলে জানান মিরপুরের যাত্রী আহসান মাহবুব। তিনি বলেন, আমাদের অনেকেই সঠিক নিয়ম না জেনে ডিজিটাল কাউন্টারে দাঁড়িয়ে পড়েন। একজন একটি টিকিট কাটতেই অনেক সময় নিচ্ছেন। ফলে পুরো লাইনের গতিই আটকে যাচ্ছে। মেট্রোরেলের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু আশরাফ সিদ্দিকী জানান, প্রতিদিন প্রতিটি স্টেশনে সাধারণত একজন অফিসারসহ পাঁচজন ডিউটিতে থাকেন। তবে সমাবেশ উপলক্ষে প্রতিটি স্টেশনে ১২ জন করে পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও পুলিশের সহায়ক হিসেবে প্রতিটি স্টেশনে ১০ জন করে আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। মতিঝিল, সচিবালয়, টিএসসি ও শাহবাগ স্টেশনে একজন করে অতিরিক্ত ইন্সপেক্টর আলাদাভাবে দায়িত্বে রয়েছেন। মেট্রো নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্টেশন ভবনের গেট ও কনকোর্স হলেও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নারী বগিতে যেন কোনো পুরুষ যাত্রী প্রবেশ করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে ডিআইজি সিদ্দিকী তানজিলুর রহমানের নির্দেশে প্রতিটি ট্রেনে একজন করে নারী পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন বলেও জানান আবু আশরাফ সিদ্দিকী। তিনি আরও জানান, সারাদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষ সমাবেশে অংশ নিতে আসায় এই চারটি স্টেশনে একক যাত্রা টিকিটের সংখ্যা চারগুণ বাড়ানো হয়েছে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ