
আ’লীগের বহিষ্কৃত নেতা মোবারকের আপিলের রায় ৩০ জুলাই
- আপলোড সময় : ২৩-০৭-২০২৫ ০২:১৯:২৭ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ২৩-০৭-২০২৫ ০২:১৯:২৭ অপরাহ্ন


মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা মো. মোবারক হোসেনের আপিলের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চে প্রথম দিনের শুনানি শেষে রায়ের জন্য ৩০ জুলাই দিন ধার্য করা হয়। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাজান ও ইমরান এ সিদ্দিক। প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামিম। ২০১৪ সালের ২৪ নভেম্বর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি আনোয়ারুল হকের সমন্বয়ে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ তাকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। তার বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগের মধ্যে দুটি প্রমাণিত হয়। এর একটিতে মৃত্যুদণ্ড ও অপরটিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। পরে একই বছরের ১৮ ডিসেম্বর মোবারক হোসেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে। আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় ৮২ পৃষ্ঠার মূল আপিলসহ ৮৬২ পৃষ্ঠার এ আপিল দাখিল করা হয়। মোবারক ২০১২ সাল পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। পরে তাকে বহিষ্কার করা হয়। তবে এর আগে জামায়াতের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন মোবারক। ৫টি অভিযোগের মধ্যে এক নম্বর অভিযোগ আখাউড়া থানার টানমান্দাইল ও জাঙ্গাইল গ্রামে ৩৩ জনকে হত্যা এবং তিন নম্বর অভিযোগ ছাতিয়ান গ্রামের আব্দুল খালেককে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হয় ট্রাইব্যুনালের রায়ে। এক নম্বর অভিযোগে ফাঁসি ও তিন নম্বর অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয় মোবারককে। বাকি তিন অভিযোগ আনন্দময়ী কালীবাড়ী রাজাকার ক্যাম্পে আশুরঞ্জন দেবকে নির্যাতন (দুই নম্বর), শ্যামপুর গ্রামের দুজনকে অপহরণ করে একজনকে হত্যা (চার নম্বর) ও খরমপুর গ্রামের একজনকে আটক রেখে নির্যাতন (পাঁচ নম্বর) প্রমাণিত না হওয়ায় এসব অভিযোগ থেকে খালাস পান মোবারক।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ