
সংবাদ সম্মেলন
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ২৭৬ কর্মচারীর স্থায়ী নিয়োগ দাবি


মো. আফজাল হোসেন, দিনাজপুর
বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লি.-এর আউট সোর্সিং অস্থায়ী কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ ২৭৬ জন কর্মচারী স্থায়ী নিয়োগের দাবিতে খনির প্রধান গেটে সংবাদ সম্মেলন করেন। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে আউট সোর্সিং অস্থায়ী কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের ২৭৬ জন কর্মচারী স্থায়ী নিয়োগের দাবিতে সংবাদ সম্মেলণ করেন সংগঠনের সভাপতি মো. আশরাফুল আলম। তিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বাংলাদেশের একমাত্র ভূগর্ভস্থ কয়লা খনি এবং কেপিআই এলাকা। ধাপে ধাপে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় মাস্টারোল, ক্যাজুয়েল হিসেবে কিছু শ্রমিক নিয়োগ প্রদান করেন ১৯৯৯ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত। এই শ্রমিকগুলোকে কয়েক বছর পর স্থায়ী নিয়োগের কথা দেওয়া হয়েছিল খনি কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে। কিন্তু স্থায়ী নিয়োগ না দিয়ে আউট সোর্সিং-এর মাধ্যমে আমাদেরকে বেতন-ভাতা দেওয়া শুরু করে। ১৯৯৯ হতে ২০২৫ সাল পর্যন্ত এই খাতে জনবলের মোট সংখ্যা ২৭৬ জন। এর মাঝে ২০০৮ ইং সালে কর্মচারী নিযোগ করা হলে ২০০৯ সালে আবার কর্মচারী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি ছাড়া হলেও ২০০৯-২০২৫ ইং সাল পর্যন্ত কোন জনবল নিয়োগ প্রদান করা হয়নি। ১৬ বছর স্টাফ নিয়োগ হয়নি। কর্মকর্তা চারবার নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। বর্তমান খনিতে ১৫৪ জন আর স্টাফ মাত্র ২২ জন। উল্লেখ করা ছিল ২৬৭৪ জন জনবল কাজ করবে এই খনিতে। ২০১৬ সালে কিছু কর্মকর্তা মনগড়া নীতিমালা তৈরি করে ২৬৭৪ জনের পরিবর্তে ৯১২ জন করেন। তাদের প্রমোশন ও সুবিধা ভোগ করছে। খনিটি লাভজন প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। তারা খনির সব সুবিধা ভোগ করছে এবং তাদের ভাগ্যের চাকা ঘুরে গেছে। আর ২৭৬ জন কর্মচারী স্থায়ী নিয়োগের দাবিতে ২০ বছর ধরে ঘানি টানছে। তাদের অনেকে জমিজমা এই খনিতে চলে যায়। তাদের কারও চাকরি এখানে হয়নি। জ্বালানি মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দফতরে চাকরি স্থায়ীকরণের জন্য ডিও লেটার দেওয়া হয় এবং মহামান্য হাইকোর্টের রায় আনার পরেও ২৭৬ জন শ্রমিকদের স্থায়ী নিয়োগ দিচ্ছে না খনি কর্তৃপক্ষ। তিনি সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেন, আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে অনেক কষ্টে এই খনিতে ২০ বছর ধরে কাজ করে আসছি। তবুও আমাদের প্রতি খনি কর্তৃপক্ষ নেক দৃষ্টি দিচ্ছে না। আগামীতে আমাদের দাবি মেনে না নিলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
এ বিষয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. সাইফুল ইসলাম সরকার সাংবাদিককে বলেন, নিয়োগের বিষয়ে কিছু সরকারি বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ