
রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ আরিয়া নাশরাফ নাফি (৯) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে তার মৃত্যু হয়। এ দুর্ঘটনায় দগ্ধদের মধ্যে বার্ন ইনস্টিটিউটে এখন পর্যন্ত ১১ জন মারা গেলো। আর এ নিয়ে মোট নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ জনে। দুর্ঘটনায় এখনও এই হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ১৬৫ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে। নাফির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। চিকিৎসকরা জানান, নাফির শরীরের ৯৫ শতাংশ দগ্ধ ছিল। আগের দিন রাতেই মারা যায় তার বোন নাজিয়া তাবাসসুম নিঝুম (১৩)। ডা. শাওন বিন রহমান বলেন, এখনও জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ ৪৪ জন ভর্তি রয়েছেন। এদের মধ্যে ১২ জন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) আছেন। তিনি আরও বলেন, উত্তরায় যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় অর্ধশতাধিক মানুষ আমাদের হাসপাতালে এসেছিল। এদের মধ্যে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ ১১ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। বর্তমানে ৪৪ জন ভর্তি রয়েছেন। তাদের মধ্যে ১২ জন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। এ ছাড়া, ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন মারা যায়। এখনও ১২ জন আইসিউতে রয়েছে, তাদের সবারই অবস্থা আশঙ্কাজনক। উল্লেখ্য, গত সোমবার রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুলে অ্যান্ড কলেজের ‘হায়দার আলী’ নামে একটি দোতলা ভবনে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধ বিমান বিধ্বস্ত হয়। বিমানটি আঁছড়ে পড়ে সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরিত হয়ে আগুন ধরে যায়। এতে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার্থীসহ প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক, স্টাফসহ দেড় শতাধিকের বেশি হতাহত হয়। পরে ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনীসহ বিভিন্ন সংস্থা ও সেচ্ছাসেবীরা উদ্ধার কার্যক্রম করে। ঘটনাস্থল থেকেই ২০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। যাদের বেশিরভাগই স্কুলে শিশু।