
রাজধানীর উত্তরার যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনায় হতাহত ও নিখোঁজদের তথ্য সংগ্রহে হেল্প ডেস্ক চালু করেছে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্কুলের পাঁচ নম্বর ভবনে দেখা যায়, হেল্প ডেস্কে নিখোঁজদের পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির প্রধান ফটক বন্ধ রাখা হয়েছে এবং বহিরাগতদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। প্রসঙ্গত, গত সোমবার উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ‘হায়দার আলী’ নামে একটি দোতলা ভবনে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এ দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৯ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। আহত হয়েছেন দেড় শতাধিকেরও বেশি, যাদের সিংহভাগই স্কুলের শিশু শিক্ষার্থী। দুর্ঘটনার পর থেকে শিশু ও নারীসহ অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন বলে দাবি করছেন স্বজনরা। এমন পরিস্থিতিতে নিখোঁজদের সঠিক তথ্য সংগ্রহ ও যাচাই-বাছাইয়ের জন্য সাত সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেছে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ। কমিটির সদস্য ও প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষিকা খাদিজা আক্তার বলেন, সকাল থেকেই আমাদের পাঁচ নম্বর ভবনে একটি বুথ বসানো হয়েছে। সেখানে নিখোঁজদের স্বজনরা এসে তথ্য দিচ্ছেন। এ পর্যন্ত অনেকেই এসেছেন। পরে বিস্তারিতভাবে সব তথ্য প্রকাশ করা হবে। সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান ফটক বন্ধ রাখা হয়েছে। আগের দিনের তুলনায় ভিড় কিছুটা কম হলেও এখনও উৎসুক জনতা বাইরে অবস্থান করছে। তবে নিখোঁজের স্বজনদের ও শিক্ষার্থীদের খোঁজে আসা পরিবারের সদস্যদের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। প্রধান ফটকের সামনে দায়িত্ব পালনরত মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এস কে সোলাইমান বলেন, আমরা বারবার অনুরোধ করছি, যেন কেউ অপ্রয়োজনে ভিড় না করেন। তবে যদি কেউ নিখোঁজ স্বজনের খোঁজে আসেন, তাদের আমরা ভেতরে ঢুকতে দিচ্ছি। ভেতরে তথ্য সংগ্রহের জন্য আলাদা বুথ খোলা আছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং তথ্য সঠিকভাবে সংগ্রহে সব ধরনের সহযোগিতা করছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। ভবিষ্যতে নিখোঁজদের তালিকা ও প্রাপ্ত তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।