সান্তোস তার শৈশবের ক্লাব। হৃদয়ের মাঝখানে যার বাস। ভালোবাসা থেকেই নিজের দেশ ব্রাজিলের ক্লাবে ফিরে এসেছেন বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম সেরা তারকা নেইমার। কিন্তু একটা ঘটনা তাকে এমনই কষ্ট দিচ্ছে, ক্লাব ছাড়ার ইঙ্গিত দিলেন এবার। গত বুধবার রাতের ঘটনা। ভিলা বেলমিরোতে ইন্টারন্যাশনালের কাছে ২-১ গোলে পরাজিত হওয়ার পর, নেইমার একজন সমর্থকের সাথে তুমুল তর্কে জড়িয়ে পড়েন। ওই ম্যাচে শেষদিকে নেইমারের একটি গোল বাতিল হয়, অবনমন এড়াতে লড়াই করা সান্তোসের জন্য হারটা ছিল বড় ধাক্কা। এর মধ্যে এক সমর্থক বেশি উত্তেজিত হয়ে পড়েন। নেইমারকে বলে বসেন বাজে কথা। যার জেরে লেগে যায় ঝগড়া। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় দুজনের মধ্যে। যদিও পরে ওই সমর্থক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষমা চেয়েছেন। স্বীকার করেছেন, হতাশায় একটু বেশিই বাজে কথা বলে ফেলেছিলেন তিনি। এই ঘটনায় ভীষণ কষ্ট পেয়েছেন নেইমার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে ইঙ্গিত দিয়েছেন, প্রয়োজনে সান্তোস ছেড়ে দেবেন! নেইমার লিখেছেন, ‘আমি সান্তোসে সাহায্য করতে এসেছি। কিন্তু যদি ভক্তরা মনে করে যে আমি আর অবদান রাখছি না কিংবা আমি ক্লাবের ক্ষতি করছি, তাহলে আমিই প্রথম চলে যাব।’ সাবেক বার্সেলোনা এবং পিএসজি তারকা অবশ্য নিজের কমিনমেন্টও পুনর্ব্যক্ত করেছেন এভাবে, ‘যতক্ষণ আমার শক্তি থাকবে, আমি এই ব্যাজের জন্য দৌড়াবো, লড়াই করব এবং চিৎকার করব।’ সান্তোসে ফিরে আসার পর থেকে নেইমার মাত্র ১৫টি অফিসিয়াল ম্যাচ খেলেছেন। চারটি গোল এবং তিনটি অ্যাসিস্ট করেছেন। ব্রাজিলিয়ান লিগে তিনি সাতটি ম্যাচে খেলেছেন এবং গোল পেয়েছেন মাত্র একটি। এটা স্বাভাবিক, তার মানের একজন খেলোয়াড়ের কাছে সমর্থকদের প্রত্যাশা অবশ্যই আরও বেশি। তবে নেইমার মনে করেন, মাঠের পারফরম্যান্স নিয়ে সমর্থকরা যা খুশি বলুন, তাতে তার সমস্যা নেই। কিন্তু ব্যক্তিগত আক্রমণ মেনে নেওয়া কঠিন। ওই ঘটনার বিষয়ে নেইমারের ব্যাখ্যা, ‘আমি কখনই পারফরম্যান্স-সম্পর্কিত সমালোচনা নিয়ে তর্ক করব না। তবে আমাকে ভাড়াটে সৈনিক বলা কিংবা আমার পরিবারকে অপমান করা মেনে নেব না। দুঃখিত। কিন্তু আমিও মানুষ। কখনও কখনও নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন।’ এই ঘটনার পর সান্তোসে নেইমারের ভবিষ্যৎ নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। অনেকেই মনে করছেন, হুট করে যে কোনো সময় শৈশবের ক্লাব ছেড়ে দিতে পারেন নেইমার।