
রাজধানীর উত্তরা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে একজন ওই স্কুলের শিক্ষার্থী জারিফ ফারহান (১৩)। সে মাইলস্টোনের সপ্তম শ্রেণির ইংলিশ ভার্সনে পড়তো। আর অন্যজনের নাম মাসুমা (৩২)। তিনি ওই স্কুলে অফিস সহায়ক হিসেবে কাজ করতেন বলে জানা গেছে। জারিফ গতকাল শনিবার সকাল ৯টা ১০ মিনিটে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় জারিফ। এর কিছুক্ষণ পরেই মাসুমার মৃত্যুর তথ্যও জানানো হয়। বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, জারিফের শ্বাসনালীসহ শরীরের ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। ক্রিটিক্যাল অবস্থায় লাইফ সাপোর্টে ছিল সে। নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে মাসুমার শরীরের ৯০ শতাংশ বার্ন ইনজুরি ছিল বলেও জানান এই চিকিৎসক। তিনি বলেন, এ নিয়ে বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে ইনস্টিটিউটে ১৭ জনের মৃত্যু হলো। আর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত এই দুর্ঘটনায় মোট মৃত্যু ৩৫ জনে দাঁড়িয়েছে। মৃত জারিফের বাবা মো. হাবিবুর রহমান জানান, তাদের গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ীর সদর উপজেলার শ্রীপুর এলাকায়। তার দুই ছেলেমেয়ের মধ্যে জারিফ ছিল ছোট। পরিবার নিয়ে উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টর, ৫ নম্বর রোডে থাকেন।