
পুলিশের আইজি বাহারুল আলম বলেছেন, আজকের শিশু ও তরুণরা হোক আগামী দিনের আদর্শ দেশপ্রেমিক। মানবিক ও কর্মনিষ্ঠ নাগরিক। নৈতিক নেতৃত্বের প্রতীক এবং সাহস ও সম্ভাবনার আলোকবর্তিকা হয়ে উঠুক। যাতে তারা সততা ও পরিশ্রম দিয়ে জাতির ভবিষ্যৎ রচনা করতে পারে। গতকাল শনিবার সকালে রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ পুলিশে কর্মরত সদস্যদের কৃতি সন্তানদের ‘বাংলাদেশ পুলিশ মেধাবৃত্তি-২০২৩’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইজিপি এসব কথা বলেন। পুলিশ সদস্যদের সন্তানদের উদ্দেশে বাহারুল আলম বলেন, জীবন সবসময় সোজা পথে চলে না, কখনও সাফল্য, কখনও ব্যর্থতা এটাই জীবনের প্রকৃত রূপ। ব্যর্থতা এলে তোমরা কখনও ভেঙে পড়বে না। বরং তা থেকে শিক্ষা নিয়ে আরও দৃঢ় চিত্তে এগিয়ে চলবে। মনে রাখবে, তোমাদের অদম্য মেধা, আকাশছোঁয়ার স্বপ্ন, পাহাড় সমান দৃঢ়তা একদিন পৌঁছে দেবে সাফল্যের সর্বোচ্চ শিখরে। তিনি বলেন, আমাদের সন্তানেরা বড় হবে। তারা আরও কৃতিত্বপূর্ণ কাজ করবে। শুধু পড়াশোনায় নয়, তারা বাস্তব জীবনের কর্মক্ষেত্রেও সাফল্যের স্বাক্ষর রাখবে। আমাদের দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সুযোগ্য নেতৃত্ব হিসেবে গড়ে উঠবে। অভিভাবকদের উদ্দেশে আইজিপি বলেন, আপনাদের সন্তানদের সাফল্যের পেছনে আপনাদের অবদান অনস্বীকার্য। দায়িত্বের প্রয়োজনে পরিবারের পুলিশ সদস্যটি অনেক সময় সন্তানদের জন্য যথেষ্ট সময় দিতে পারেন না। তবুও আপনারা সন্তানদেরকে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলেছেন- এটা সত্যিকারের এক বিরল বিপ্লব বলে মনে করি। বাংলাদেশ পুলিশের এ মেধাবৃত্তি কর্মসূচি কেবল পুরস্কার নয়, এটি একটি দৃষ্টান্ত। পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত আইজিপি (এইচআরএম) আবু নাছের মো. খালেদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন এআইজি (এডুকেশন, স্পোর্টস অ্যান্ড কালচার) শামীমা পারভীন। কৃতি শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের অ্যাডিশনাল ডিআইজি (অপারেশনস) শাহাজাদা মো. আসাদুজ্জামান এবং ডিএমপির কনস্টেবল মো. হযরত আলী। বৃত্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে এসএসসি পরীক্ষায় সাফল্য অর্জনকারী মো. নওরোজ ইসলাম যুবরাজ এবং এইচএসসি পরীক্ষায় কৃতিত্ব লাভকারী ইয়ানা আঞ্জুম বক্তব্য রাখেন। পরে প্রধান অতিথি মেধাবৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও নগদ অর্থ তুলে দেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে গত ২১ জুলাই রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের মর্মান্তিক ঘটনায় নিহতদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।