
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেছেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের বিষয়ে আপত্তি নেই। তবে নির্বাচন ঘিরে এক ধরনের ষড়যন্ত্র হচ্ছে। কারণ এখনও পর্যন্ত লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয়নি। গতকাল সোমবার দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফার ২০তম বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। ডা. তাহের বলেন, কে সরকারি বা কে বিরোধী দল হবে, সেটি পরের বিষয়। আমরা দেশের জন্য কাজ করতে চাই। আগামী নির্বাচনের ইশতেহারে দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ার ঘোষণা থাকবে এক নম্বরে। এ ব্যাপারে আমরা জিরো টলারেন্স। ইতোমধ্যে আমরা ছোটখাটো যেখানে দায়িত্ব পালন করেছি, সেখানে আমরা সে দৃষ্টান্ত রেখেছি। ডা. তাহের বলেন, পিএসসি, দুদক, মহাহিসাব নিয়ন্ত্রক ও ন্যায়পাল নিয়োগ সাংবিধানিকভাবে হওয়ার পক্ষে জামায়াত। আর বিএনপিসহ কয়েকটি দল চায় নির্বাহী বিভাগ এ নিয়োগ দেবে। তাদের আশঙ্কা এতে নির্বাহী বিভাগ দুর্বল হয়ে যেতে পারে। আমরা মনে করি, এ কথা সঠিক নয়। বরং এর মাধ্যমে যোগ্য ও দক্ষ লোক নিয়োগ পাবে। তিনি বলেন, এ ধরনের বৈঠক থেকে ওয়াকআউটের কোনো সুযোগ আছে কিনা, তা আমাদের জানা নেই। আমরা বলেছি- পিএসসি সাংবিধানিক হতে হবে। তারা কেন বিরোধিতা করছেন, তার মানে আপনারা দলীয়করণ করতে চান। এ নিয়ে দেশের জন্য ভালো হলে আর কোনো দলের সমস্যা হলে, তা জাতি মানবে না। সচিবালয়ে সারা জনম প্রেতাত্মা থাকবে তা হবে না। আমরা প্রেতাত্মা-বিহীন সচিবালয় চাই। তিনি বৈঠকে ফিরে আসায় বিএনপিকে ধন্যবাদ জানান।