
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, প্রাথমিক শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ভূমিকা শাসক নয়, সহায়তাকারীর। তাদের কাজ হচ্ছে বিদ্যালয়গুলোতে যেসব সমস্যা রয়েছে সেগুলো সমাধানে সহায়তা করা। পাশাপাশি, বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উদ্বুদ্ধ করা। যদি সবাই এই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করতে পারে, তাহলে প্রাথমিক শিক্ষার প্রকৃত উন্নয়ন ঘটবে। গতকাল সোমবার রংপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে জেলা প্রশাসন ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস আয়োজিত ‘প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে রংপুর জেলার বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সাথে মতবিনিময় সভা-২০২৫’ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। উপদেষ্টা আরও বলেন, আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় সম্পদ হচ্ছে জনগণ। তাই দেশের মানুষকে জনসম্পদে পরিণত করতে হবে। রংপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান এবং পরিচালক মোহাম্মদ কামরুল হাসান। এর আগে উপদেষ্টা রংপুর আরডিআরএস সেন্টারে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর আয়োজিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ফিডিং কর্মসূচির রোল-আউট সেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক, সমতাভিত্তিক ও গুণগত শিক্ষা অর্জনে সহায়তা এবং পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহের মাধ্যমে পুষ্টিগত অবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে এই খাদ্য বিতরণ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ১৫০টি উপজেলার ১৯ হাজার ৪১৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩.১৩ মিলিয়ন শিক্ষার্থীকে সপ্তাহে ৫ দিন (স্কুল কর্মদিবসে) পুষ্টিকর খাবার বিতরণ করা হবে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামানের সভাপতিত্বে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা, রংপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল, ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের বাংলাদেশে স্কুল ফিডিং বিভাগের প্রধান এমা লেফু অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন। প্রকল্পটির পরিচালক মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।