
নির্বাচনের আগে বিচার, সংস্কার ও প্রশাসনের নিরপেক্ষতা চায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। জুলাই ঘোষণাপত্র ও প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গতকাল বুধবার রাজধানীর বাংলামোটরের রূপায়ন টাওয়ারে দলের অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে এনসিপি।
সংবাদ সম্মেলনে দলের সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘জুলাই ঘোষণাপত্রে শহীদদের ‘জাতীয় বীর’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। তবে এতে আমাদের পূর্বপ্রদত্ত দাবির অনেক দিক অনুপস্থিত রয়ে গেছে। শহীদের সংখ্যা নিয়ে বলা হয়েছে ‘প্রায় এক হাজার’, অথচ জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে এক হাজার ৪০০ জন। তিনি বলেন, ‘১৯৪৭ সালের আন্দোলনের কথা, পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা গণহত্যা, কোটা সংস্কার আন্দোলন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলন, আবরার হত্যাকাণ্ড এবং মোদিবিরোধী আন্দোলনের কথা এই ঘোষণাপত্রে থাকলে এটি আরও পরিপূর্ণ হতো। আখতার হোসেন আরও বলেন, ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে নির্বাচিত সরকার একটি সংস্কারকৃত সংবিধানে এটি যুক্ত করবে। কিন্তু আমরা এনসিপি দীর্ঘদিন ধরে নতুন সংবিধানের দাবি করে আসছি। জনগণের অভিপ্রায় ধারণ করতে হলে গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে।
তিনি বলেন, ঐকমত্য কমিশনে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংস্কার বিষয়ে ঐকমত্য হলেও বাস্তবায়নের রূপরেখা এখনো স্পষ্ট নয়। যখন ঘোষণাপত্রকে ভবিষ্যৎ সংবিধানের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়, তখন নতুন সংবিধানের দাবি পাশ কাটিয়ে যাওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আখতার হোসেন আরও বলেন, জুলাই সনদে যে সংস্কারের বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য হয়েছে, তা অন্তর্বর্তীকাল থেকেই বাস্তবায়ন করতে হবে। তার ভিত্তিতেই আগামী জাতীয় নির্বাচন হতে হবে।
নির্বাচনের সময় নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের বিষয়ে তিনি বলেন, মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টা ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের কথা বলেছেন। তাতে আমাদের আপত্তি নেই। তবে তার আগে সরকারের কিছু অবশ্য পালনীয় দায়িত্ব রয়েছে। তিনি বলেন, এই সরকার যাত্রা শুরু করেছে গণহত্যাকারীদের বিচার ও রাষ্ট্র কাঠামোর গুণগত পরিবর্তনের জন্য। সেই সংস্কার নির্বাচনের আগে দৃশ্যমান করতে হবে। নির্বাচনের আগেই মাঠ প্রশাসনের নিরপেক্ষতা ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে দলের সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘জুলাই ঘোষণাপত্রে শহীদদের ‘জাতীয় বীর’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। তবে এতে আমাদের পূর্বপ্রদত্ত দাবির অনেক দিক অনুপস্থিত রয়ে গেছে। শহীদের সংখ্যা নিয়ে বলা হয়েছে ‘প্রায় এক হাজার’, অথচ জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে এক হাজার ৪০০ জন। তিনি বলেন, ‘১৯৪৭ সালের আন্দোলনের কথা, পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা গণহত্যা, কোটা সংস্কার আন্দোলন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলন, আবরার হত্যাকাণ্ড এবং মোদিবিরোধী আন্দোলনের কথা এই ঘোষণাপত্রে থাকলে এটি আরও পরিপূর্ণ হতো। আখতার হোসেন আরও বলেন, ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে নির্বাচিত সরকার একটি সংস্কারকৃত সংবিধানে এটি যুক্ত করবে। কিন্তু আমরা এনসিপি দীর্ঘদিন ধরে নতুন সংবিধানের দাবি করে আসছি। জনগণের অভিপ্রায় ধারণ করতে হলে গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে।
তিনি বলেন, ঐকমত্য কমিশনে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংস্কার বিষয়ে ঐকমত্য হলেও বাস্তবায়নের রূপরেখা এখনো স্পষ্ট নয়। যখন ঘোষণাপত্রকে ভবিষ্যৎ সংবিধানের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়, তখন নতুন সংবিধানের দাবি পাশ কাটিয়ে যাওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আখতার হোসেন আরও বলেন, জুলাই সনদে যে সংস্কারের বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য হয়েছে, তা অন্তর্বর্তীকাল থেকেই বাস্তবায়ন করতে হবে। তার ভিত্তিতেই আগামী জাতীয় নির্বাচন হতে হবে।
নির্বাচনের সময় নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের বিষয়ে তিনি বলেন, মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টা ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের কথা বলেছেন। তাতে আমাদের আপত্তি নেই। তবে তার আগে সরকারের কিছু অবশ্য পালনীয় দায়িত্ব রয়েছে। তিনি বলেন, এই সরকার যাত্রা শুরু করেছে গণহত্যাকারীদের বিচার ও রাষ্ট্র কাঠামোর গুণগত পরিবর্তনের জন্য। সেই সংস্কার নির্বাচনের আগে দৃশ্যমান করতে হবে। নির্বাচনের আগেই মাঠ প্রশাসনের নিরপেক্ষতা ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে।