
কলমাকান্দা থেকে রীনা হায়াৎ
নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলায় বকেয়া টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে এক চা বিক্রেতাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। গত ৫ আগস্ট বিকেলে উপজেলার সীমান্তবর্তী গোবিন্দপুর বলমাঠ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। নিহত পুলিনুস দারিং (৪৫) উপজেলার খারনৈ ইউনিয়নের খারনৈ গ্রামের বাসিন্দা। তিনি স্থানীয় একটি চায়ের দোকান চালাতেন। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত এই ব্যক্তি বিয়ের পর মাতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার কারণে শ্বশুরবাড়িতেই বসবাস করতেন। অভিযুক্ত ব্যক্তি আইয়ুব ম্রং (৬৫) একই এলাকার গোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা। নিহতের ছেলে ইমন চিসিম জানান, “দুপুর আড়াইটার দিকে আমি বাবার দোকানে যাই। এসময় প্রতিবেশী আইয়ুব ম্রং দোকানে আসে। বাবা তার কাছে বকেয়া টাকা চাইলে তাদের মধ্যে তর্ক শুরু হয়। আমি দুজনকেই শান্ত করে আলাদা করে দেই। পরে আমি বাড়ি চলে আসি।”
ইমন আরও জানান, আইয়ুব ম্রং কিছুক্ষণ পর বাড়ি থেকে ছুরি এনে বাবার বাম পাশে ছুরিকাঘাত করে। চাকুর আঘাতে বাবার শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। আমরা দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি, কিন্তু পথেই তিনি মারা যান। কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই পুলিনুস দারিং-এর মৃত্যু হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কলমাকান্দা থানার ওসি মো. লুৎফর রহমান বলেন, লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। অভিযুক্ত আইয়ুব ম্রংকে গ্রেফতার করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয়দের দাবি, হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।
নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলায় বকেয়া টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে এক চা বিক্রেতাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। গত ৫ আগস্ট বিকেলে উপজেলার সীমান্তবর্তী গোবিন্দপুর বলমাঠ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। নিহত পুলিনুস দারিং (৪৫) উপজেলার খারনৈ ইউনিয়নের খারনৈ গ্রামের বাসিন্দা। তিনি স্থানীয় একটি চায়ের দোকান চালাতেন। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত এই ব্যক্তি বিয়ের পর মাতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার কারণে শ্বশুরবাড়িতেই বসবাস করতেন। অভিযুক্ত ব্যক্তি আইয়ুব ম্রং (৬৫) একই এলাকার গোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা। নিহতের ছেলে ইমন চিসিম জানান, “দুপুর আড়াইটার দিকে আমি বাবার দোকানে যাই। এসময় প্রতিবেশী আইয়ুব ম্রং দোকানে আসে। বাবা তার কাছে বকেয়া টাকা চাইলে তাদের মধ্যে তর্ক শুরু হয়। আমি দুজনকেই শান্ত করে আলাদা করে দেই। পরে আমি বাড়ি চলে আসি।”
ইমন আরও জানান, আইয়ুব ম্রং কিছুক্ষণ পর বাড়ি থেকে ছুরি এনে বাবার বাম পাশে ছুরিকাঘাত করে। চাকুর আঘাতে বাবার শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। আমরা দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি, কিন্তু পথেই তিনি মারা যান। কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই পুলিনুস দারিং-এর মৃত্যু হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কলমাকান্দা থানার ওসি মো. লুৎফর রহমান বলেন, লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। অভিযুক্ত আইয়ুব ম্রংকে গ্রেফতার করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয়দের দাবি, হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।