বাংলাদেশ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ

সরকারি অর্থের অপব্যবহারের অভিযোগ

আপলোড সময় : ০৮-০৮-২০২৫ ১২:২৭:৩৬ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ০৮-০৮-২০২৫ ১২:২৭:৩৬ অপরাহ্ন
ঢাকার ১৪৬/৪ গ্রীণ রোডে অবস্থিত বাংলাদেশ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ নিয়ে সম্প্রতি সরকারি অর্থের অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন ধরে সরকার থেকে মাসিক বেতন ভাতা (এমপিও) সুবিধা পাচ্ছে, যদিও বর্তমানে এটি কেবল অনার্স ও মাস্টার্স পর্যায়ের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে সরকারি নীতিমালার অধীনে এমপিওভুক্তির আওতায় পড়ে না। তবু নামমাত্র একটি বিএসসি পাস কোর্সের আড়ালে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিবছর প্রায় ৬ থেকে ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত এমপিও সুবিধা গ্রহণ করছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিএসসি পাস কোর্সে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কার্যত শূন্যের কাছাকাছি। ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষে ২ জন, দ্বিতীয় বর্ষে ২ জন এবং তৃতীয় বর্ষে মাত্র ১ জন ছাত্রী ভর্তি রয়েছে। এদের কেউই নিয়মিত ক্লাস বা পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে না। অথচ সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী, এমপিওভুক্তির জন্য একটি প্রতিষ্ঠানে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরসহ পর্যাপ্ত শিক্ষার্থী নিয়ে পাস কোর্স চালু থাকা বাধ্যতামূলক। এই কলেজটি ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ১৯৯৯ সালে এমপিওভুক্ত হয়। বিশ্লেষকরা বলছেন, একই ধরনের অন্যান্য গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজগুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনার্স ও মাস্টার্স কোর্স চালায়Ñ এমপিও সুবিধা পায় না। সেখানে শুধুমাত্র একটি কলেজের এ সুবিধা পাওয়া প্রশাসনিক বৈষম্য ও স্বজনপ্রীতিরই বহিঃপ্রকাশ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান অনুষদের অধীনে পরিচালিত গার্হস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের মাধ্যমে যে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করানো হয়, তারা মূলত অনার্স কোর্সে অংশগ্রহণ করে। খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান, শিশু বিকাশ ও সামাজিক সম্পর্ক, বস্ত্র পরিচ্ছদ ও বয়ন শিল্পের মতো কোর্সগুলো সরকারি এমপিও কাঠামোর আওতায় পড়ে না। এ বিষয়ে কলেজ কমিটির চেয়ারম্যানের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে অফিস সূত্রে জানা যায়, তিনি বর্তমানে দেশের বাইরে আছেন। একজন শিক্ষা বিশ্লেষক বলেন, এটি সুস্পষ্টভাবে সরকারি অর্থের অপচয় এবং শিক্ষানীতির প্রতি অবজ্ঞা। অবিলম্বে এই এমপিওভুক্তি পুনর্বিবেচনা করা জরুরি। বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকারি অর্থের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে কলেজটির এমপিও বাতিল করা এবং ইতোমধ্যে বরাদ্দকৃত অর্থের নিরীক্ষা করা প্রয়োজন। অন্যথায় শিক্ষাব্যবস্থায় বৈষম্য ও স্বজনপ্রীতির সংস্কৃতি বহাল থাকবে।
 

সম্পাদকীয় :

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : সৈয়দ এম. আলতাফ হোসাইন।

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক : সৈয়দ মোঃ আতিকুল হাসান।

নির্বাহী সম্পাদক আশীষ কুমার সেন।

ফোন : ৪৯৩৫৭৭৩০ (বার্তা), ৮৩১৫৬৪৯ (বাণিজ্যিক), ফ্যাক্স; ৮৮-০২-৮৩১৪১৭৪

অফিস :

প্রকাশক কর্তৃক রোমাক্স লিমিটেড, তেজগাঁও শিল্প এলাকা থেকে মুদ্রিত।

সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : খলিল ম্যানশন (৩য়, ৫ম ও ৬ষ্ঠ তলা), ১৪৯/এ, ডিআইটি এক্সটেনশন এভিনিউ, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত।

ই-মেইল : [email protected], ওয়েবসাইট : www.dainikjanata.net