আত্রাইয়ে পানির নিচে প্রায় দেড় হাজার বিঘা জমির আমন ধান

আপলোড সময় : ১১-০৮-২০২৫ ১০:২৬:৩১ পূর্বাহ্ন , আপডেট সময় : ১১-০৮-২০২৫ ১০:২৬:৩১ পূর্বাহ্ন
আত্রাই (নওগাঁ) থকে মো. কাজী রহমান উত্তরের উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানি এবং একটানা ভারী বৃষ্টিপাতে বেড়ে গেছে নদ-নদীর পানি। আত্রাই উপজেলার নিন্মাঞ্চলে মাঠের রোপনকৃত প্রায় দেড় হাজার বিঘা (৩৩ শতকে এক বিঘা) জমির আমন ধান পানির নিচে ডুবে গেছে। কৃষকরা বলছেন, ২/১ দিনের মধ্যে মাঠ থেকে পানি নামা শুরু হলে হয়তো খুব বেশি ক্ষতি হবেনা। কিন্তু সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দ্রুতই পানি নেমে যাওয়ার সম্ভবনা কম। বরং বৃষ্টিপাত হলে পানি আরো বাড়তে পারে। ফলে আমন আবাদে চরম ক্ষতির মুখে পরেছেন এই উপজেলার কৃষকরা। আত্রাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রসেনজিৎ তালুকদার বলেন, চলতি মৌসুমে এই উপজেলায় ৬ হাজার ৪৯৫ হেক্টর জমিতে আমন ধান রোপণ করেছেন কৃষকরা। এর মধ্যে ভারী বৃষ্টিপাতে এবং উত্তরের উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে মনিয়ারী, বিশা ও ভোঁপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠ প্লাবিত হয়েছে। গত শনিবার পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় দেড় হাজার বিঘা জমির আমন ধান পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। যদি ২/১ দিনের মধ্যে পানি কমতে থাকে তাহলে কিছুটা ধান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আত্রাই উপজেলার মনিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সম্রাট হোসেন বলেন, তিনি এই মৌসুমে প্রায় ৯০ বিঘা জমিতে আমন ধান রোপণ করেছেন। কিন্তু নদী থেকে মাঠে পানি প্রবেশ করায় এবং একটানা ভারী বৃষ্টিপাতে সবগুলো ধান ডুবে গেছে। এসব ধান পানির নিচে পঁচন ধরেছে। ফলে পানি নেমে গেলেও ধান হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এতে প্রায় ৬ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। মনিয়ারী গ্রামের কৃষক আ. আলিম জানান, তিনি এবার প্রায় ১০ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে ধান রোপণ করেছেন। পানিতে সবগুলো জমির ধান ডুবে নষ্ট হয়ে গেছে। এতে প্রায় ৬০ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পূর্নবাসনের দাবি জানান। সাহেবগঞ্জ গ্রামের কৃষক মুজাম বলেন, পাঁচুপুর ইউনিয়নের অনেক জমি পানির নিচে তলিয়ে আছে। কোথাও আবার কালভাট বন্ধ করে রেখেছে। এর ফলে অনেক কৃষক বিপদে আছে। এবিষয়ে কেউ কোনো ব্যবস্থাও গ্রহণ করছে না। এদিকে নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী প্রবীর কুমার পাল বলেন, একটানা ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে উত্তরের উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে নদ-নদীতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত শনিবার দুপুর ১২টা নাগাদ আত্রাই রেলওয়ে স্টেশন এলাকা পয়েন্টে বিপদ সিমার ৬২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। যদি আর বৃষ্টিপাত না হয় তাহলে ২/১ দিনের মধ্যে পানি কমা শুরু হবে। আর যদি বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকে তাহলে নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে থাকবে।

সম্পাদকীয় :

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : সৈয়দ এম. আলতাফ হোসাইন।

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক : সৈয়দ মোঃ আতিকুল হাসান।

নির্বাহী সম্পাদক আশীষ কুমার সেন।

ফোন : ৪৯৩৫৭৭৩০ (বার্তা), ৮৩১৫৬৪৯ (বাণিজ্যিক), ফ্যাক্স; ৮৮-০২-৮৩১৪১৭৪

অফিস :

প্রকাশক কর্তৃক রোমাক্স লিমিটেড, তেজগাঁও শিল্প এলাকা থেকে মুদ্রিত।

সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : খলিল ম্যানশন (৩য়, ৫ম ও ৬ষ্ঠ তলা), ১৪৯/এ, ডিআইটি এক্সটেনশন এভিনিউ, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত।

ই-মেইল : [email protected], ওয়েবসাইট : www.dainikjanata.net