
ইন্দোনেশিয়ায় আঘাত হেনেছে একটি ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প, যার ফলে কমপক্ষে ২৯ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা বিএনবিপি। ভূমিকম্পটি গতকাল রোববার ভোরে আঘাত হানে ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপে। দেশটির স্থানীয় সময় অনুযায়ী, ভোররাতে ভূকম্পনটি অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৬, এবং এটি ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে উৎপন্ন হয় বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ভূমিকম্পের প্রভাবে পসো অঞ্চল এবং এর আশপাশে তীব্র কম্পন অনুভূত হয়। অনেক ঘরবাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে এবং স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কে ঘর ছেড়ে বাইরে ছুটে আসেন। বিএনবিপি জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। তবে আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং উদ্ধার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। প্রশান্ত মহাসাগরের ভূমিকম্প-বহুল অঞ্চল ‘রিং অব ফায়ারে’ অবস্থিত হওয়ায় ইন্দোনেশিয়ায় প্রায়ই ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত এবং সুনামির মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটে থাকে। এর আগে ২০০৯ সালে, পাদাংয়ে ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্পে ১,১০০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারান। ২০০৪ সালে, সুমাত্রার উপকূলে ৯.১ মাত্রার ভূমিকম্প ও পরবর্তী সুনামিতে ইন্দোনেশিয়ায় প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার মানুষ মারা যান। ভূতাত্ত্বিক বিশ্লেষকদের মতে, ইন্দোনেশিয়ার নিচ দিয়ে একাধিক টেকটোনিক প্লেটের সংঘর্ষ ঘটে বলে সেখানে প্রায়ই বড় মাত্রার ভূমিকম্প দেখা যায়। একই ঝুঁকিতে রয়েছে জাপান, ফিলিপাইন ও মালয়েশিয়ার মতো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশও। উল্লেখ্য, সুলাওয়েসির ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ হিসাব এখনো পাওয়া যায়নি। স্থানীয় প্রশাসন ও উদ্ধার সংস্থাগুলো দুর্গত এলাকায় তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য জরুরি সহায়তার ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিএনবিপি।