ইতিহাসে প্রথমবার মিস ইউনিভার্স সুন্দরী প্রতিযোগিতায় ফিলিস্তিনের প্রতিনিধি হিসেবে অংশ নিতে যাচ্ছেন দুবাই প্রবাসী নাদিন আয়ুব। চলতি বছরে প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে মানুষের মাঝে গাজার আর্তনাদ পৌঁছে দেবেন তিনি। আমিরাত-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ন্যাশনাল’-র প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, প্রথমবারের মতো ফিলিস্তিনের নারী বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছেন। ৭৪ তম আসরের এ আয়োজন আগামী ২১ নভেম্বর থাইল্যান্ডের কেন্দ্রীয় শহর পাক ক্রেটে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে। দুবাই প্রবাসী নাদিন আয়ুব মূলত পশ্চিমতীরের রামাল্লার বাসিন্দা। ২০২২ সালে তিনি মিস ফিলিস্তিন নির্বাচিত হন। সেই বছরই তিনি প্রথম ফিলিস্তিনি হিসেবে মিস আর্থ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে শীর্ষ পাঁচে জায়গা করে নেন। তবে গাজায় চলমান মানবিক সংকটের কারণে তিনি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া থেকে বিরতি নেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নাদিন একটি স্ট্যাটাস দেন। তার আপলোড করা ছবিতে দেখা যায়, ফিলিস্তিনি ডিজাইনার হিবা আবদেলকরিমের তৈরি তাতরিজ সূচিকর্মযুক্ত ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরেছেন তিনি। ক্যাপশনে লেখেন, ‘মিস ইউনিভার্সে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত যুদ্ধ মিশনের অংশ। এর মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের মানবিক দিক তুলে ধরতে চাই। বিশ্ব জানুক, ফিলিস্তিনি নারীরা শুধু দৃঢ় ও সুন্দরই নন, তারা নেতা, উদ্ভাবক ও পরিবর্তনকারী।’ নাদিন আরও লেখেন, ‘গাজা যখন হৃদয়বিদারক পরিস্থিতি পার করছে, আমি সেই মানুষের কণ্ঠ বহন করছি, যারা নীরব হতে রাজি নয়। আমি প্রতিটি ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুর প্রতিনিধিত্ব করছি, যাদের দৃঢ়তা বিশ্বকে দেখতে হবে। আমরা শুধু আমাদের দুঃখ নই, আমরা দৃঢ়তা, আশা এবং সেই মাতৃভূমির হৃৎস্পন্দন, যা আমাদের বুকের ভেতরে বেঁচে আছে।’ সাহিত্য ও মনোবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশুনা করেছেন নাদিন। পাশাপাশি ‘মিস ফিলিস্তিন’ সংগঠনের সামাজিক ও দাতব্য প্ল্যাটফর্ম ‘সাইদাত ফিলাস্তিন’-এর মাধ্যমে নারীদের নিয়ে কাজ করেন। পরিবেশ সচেতনতা নিয়েও কাজ করেন। ফিলিস্তিনি নারীদের পরিবেশ-অ্যাডভোকেসি ও ডিজিটাল মিডিয়ার প্রশিক্ষণও দেন এ সুন্দরী।