বাংলাদেশে এখন ভিনদেশি ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের ভিড়। সর্বশেষ সংযোজন পিচ কিওরেটর (বিসিবির ভাষায়- হেড অব টার্ফ ম্যানেজমেন্ট) টনি হেমিং ও জাতীয় দলের নতুন পাওয়ার হিটিং কোচ জুলিয়ান উড এখন ঢাকায়, ক্রিকেটারদের নিয়ে কাজও করছেন। আম্পায়ারদের ইনস্ট্রাক্টর সায়মন টাফেলও আসছেন শীঘ্রই। এদিকে আজ সোমবার আসছেন আরেক ইংলিশ, অ্যালেক্স মার্শাল। যুক্তরাজ্যের এই সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা আসছেন বিসিবির অ্যান্টি করাপশন ইউনিটের (আকু) পরামর্শক হিসেবে। বিসিবির এক দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, অ্যালেক্স মার্শাল মূলত বিসিবির দুর্নীতি দমন রোধে নিযুক্ত আকুর কর্মকর্তাদের পরামর্শক হিসেবে কাজ করবেন ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে। প্রাথমিকভাবে তার সঙ্গে এক বছরের জন্য চুক্তি করেছে বিসিবি। এ সময় বাংলাদেশের ক্রিকেটকে দুর্নীতিমুক্ত করার কাজ তদারক করবেন মার্শাল। ঢাকায় আসার পর প্রথমেই জাতীয় দল ও জাতীয় পর্যায়ের ক্রিকেটারদের সঙ্গে বসবেন অ্যালেক্স মার্শাল। দুর্নীতি দমন রোধে ক্রিকেটারদের করণীয় সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা দিতে বাংলাদেশে আসার পরদিনই ফ্রন্টলাইন ক্রিকেটারদের ক্লাস নেবেন তিনি। বিসিবির এক দায়িত্বশীল শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শুধু ক্রিকেটারদের ক্লাস নেওয়াই নয়। ক্রিকেটার, সংগঠক, বিসিবি কর্মকর্তা ও স্টাফদের সঙ্গেও বসবেন অ্যালেক্স মার্শাল। ক্রিকেটে দুর্নীতিবাজদের দৌরাত্ম দিনদিন বেড়েই চলেছে। ম্যাচ ও স্পট-ফিক্সিং রোধে সবারই পরিষ্কার ধারণা ও সচেতনতা দরকার। এই ধারণা ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যেই ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে অ্যালেক্স মার্শালের কথা বলার উদ্যোগ নিয়েছে বিসিবি। বলে রাখা ভালো, অ্যালেক্স মার্শাল কর্মজীবনে যুক্তরাজ্যের পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি আইসিসি দুর্নীতি দমন সংস্থার প্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। এখন সেই পদ থেকে অবসর নিয়েছেন তিনি। ক্রিকেটীয় দুর্নীতি দমন রোধে এই দক্ষ ও অভিজ্ঞ ব্রিটিশ কর্মকর্তার শরণাপন্ন হয়েছে বিসিবি।