কোচ পেপ গার্দিওলার অধীনে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের সপ্তম মৌসুম শুরু করেছে ম্যানচেস্টার সিটি। শিরোপা পুনরুদ্ধার করার মিশনে প্রথম ম্যাচে উলভসকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে আকাশী-নীলরা। উলভসের মাঠে শুরু থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণে ছিল ম্যানসিটি। ১৯ মিনিটে বার্নার্দো সিলভার ক্রসে আরলিং হালান্ডের হেড গোলপোস্টের ওপর দিয়ে যায়। এরপর কিছুটা বিপদ তৈরি করে উলভস। দুইবার ম্যানসিটির জালে বল ফেলে তারা। তবে স্বাগতিকদের কোনো গোলই কার্যকর হয়নি। মুনেতসি ও বেলেগার্দের দুটি গোলই অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায়। এরপর মাত্র তিন মিনিটের ব্যবধানে ম্যানসিটির জার্সিতে মাত্রই অভিষিক্ত তিজানি রেইনডার্সের জাদুকরী মুহূর্তে খেলা ঘুরে যায়। প্রথমে তার চিপ করা পাসে রিকো লুইস বল বাড়ান হালান্ডকে, যিনি সহজে গোল করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই রেইনডার্স নিজেই গোল করেন দুর্দান্ত নিচু শটে, অস্কার ববের সহায়তায়। এতে ম্যানসিটি এগিয়ে যায় ২-০ গোলে। বিরতির পর উলভস কিছু সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি। বরং ৬০ মিনিটে ট্র্যাফোর্ডের লম্বা পাস থেকে আক্রমণ শুরু করে রেইনডার্স, বল আদান-প্রদানের পর আবারও হালান্ডকে অ্যাসিস্ট দেন। হালান্ড বক্সের বাইরে থেকে নিখুঁত শটে স্কোরলাইন বাড়ান ৩-০ তে। যা নরওয়েজিয়ান ফরোয়ার্ডের দ্বিতীয় গোল। শেষ দিকে বদলি নামা রায়ান শেরকি মাত্র ৮ মিনিট পরেই দুর্দান্ত দূরপাল্লার শটে চতুর্থ গোল করেন। তাতে বড় জয় নিশ্চিত হয় ম্যানসিটির। ম্যাচ শেষে গার্দিওলা বলেন, প্রথমার্ধ দারুণ ছিল। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা ট্রানজিশনে তাদের পরাস্ত করেছি। তবে ওরা অনেক সময় ভালো খেলেছে। সিজনের শুরুতে এটাই স্বাভাবিক। ফলটা ভালো, তবে এর বেশি কিছু না। রেইনডার্স তার অভিষেক নিয়ে বলেন, আমি সবসময় হাসিমুখে খেলতে নামি। প্রতিটি মিনিট উপভোগ করি। আমাদের মূল লক্ষ্য প্রিমিয়ার লিগ জয় করা। গত মৌসুমে আমরা সেটা হারিয়েছি। এখন আমি গর্বিত যে বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্লাবের হয়ে খেলছি। এই গর্ব ও আনন্দটাই আমি ভক্তদের দেখাতে চাই। এদিকে ম্যাচ শুরুর আগে ও চলাকালীন সময়ে উলভস তাদের সাবেক স্ট্রাইকার দিয়োগো জোতাকে স্মরণ করে নানা শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে। গত মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়।