
চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে জাহিদ হাসান মাহমুদ
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। নতুন করে কোনো এলাকা প্লাবিত হয়নি। তবে নদী ভাঙনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও মানুষের দুর্ভোগ কমেনি। বিভিন্ন স্থানে ত্রাণের জন্য অপেক্ষায় বন্যার্তরা। এসব এলাকায় দেখা দিয়েছে শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি, ওষুধের সংকট।
গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মা নদীর পানি ৯ সেন্টিমিটার কমেছে। যা বিপদসীমার ৪২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই সময়ে পূর্ণভবায় ৫ সেন্টিমিটার ও মহানন্দায় পানি কমেছে ১ সেন্টিমিটার। উভয় নদীই বর্তমানে বিপদসীমার নিচে রয়েছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম আহসান হাবীব। তিনি আরও জানান, পানি কমতে শুরু করায় দ্রুত প্লাবিত এলাকা থেকে পানি নেমে যাবে। টানা ৭ দিনের পানি বৃদ্ধিতে সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার পদ্মা তীরবর্তী নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ১৩ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। এতে দুই উপজেলায় ২ হাজার ২১২ হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ৪৫টি বিদ্যালয়ে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। বন্ধ হয়ে গেছে বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আর ৯টি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, জেলায় ২৮ টন চাল ও ২৩০ পরিবারকে শুকনা খাবার দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া চার পরিবারকে আট বান্ডিল টিন ও ২৪ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক আব্দুস সামাদ জানিয়েছেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের তালিকা তৈরি করে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা হবে।