
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী বলেছেন, আমাদের এই সরকারের কাছে অনেক প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু মনে হচ্ছে, শিক্ষাটা অগ্রাধিকার থেকে ছুটে গেছে। কোথায় গেছে বলতে পারি না, আপনারাও জানেন। কিছু কিছু সিদ্ধান্ত, কিছু কিছু কাজ তারা করেছেন, যা সাধারণ মানুষের কোনো কাজে আসবে না। গতকাল সোমবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত ‘শিক্ষা ও জনস্বাস্থ্য’ বিষয়ক সংলাপে অংশ নি?য়ে তিনি এসব কথা ব?লেন।
রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, আমরা শুধু পুনর্গঠন চাইছি না, আমরা রূপান্তর চাইছি শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে। রূপান্তর শুধু বই ছাপালেই বা শিক্ষাক্রম পরিবর্তন করলে আসবে না। শিক্ষার্থীদের নীতিবান মানুষ তৈরি করতে হবে। শিক্ষার্থীকে পরীক্ষার্থী বানিয়ে নয়, শিক্ষার্থীকে মানুষ করতে হবে।
জিল্লুর রহমান বলেন, বর্তমানে দেশে সংস্কার একটি বহুল আলোচিত বিষয়। কিন্তু শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাত নিয়ে তেমন একটি আলোচনা হয়নি। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের মৌলিক চাহিদাগুলোর দিকে তেমন একটা মনোযোগও দেওয়া হয়নি। দেশে বিভিন্ন সংস্কার কমিশন তৈরি করা হলেও শিক্ষাবিষয়ক সংস্কার কমিশন তৈরি হয়নি। দেশে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করে কীভাবে অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা যায় এ বিষয়ে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, গত ১৩ মাস ধরে শিক্ষা নিয়ে দেশে কেউ কথা বলে না। পরীক্ষা নিয়েও কিছু একটা বলে না। কোভিডের সময় দেখলাম অটোপাস দেওয়া হয়েছে। এসব আমাদের শিক্ষার মানকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে আল্লাহ জানে। কয়েক বছর আগে দেখলাম নিরীক্ষকদের চিঠি দেওয়া হয়েছে নাম্বার বাড়িয়ে দেওয়ার জন্যে। এসব আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য মারাত্মক হুমকি। তি?নি বলেন, আমাদের আজকের যে অধঃপতন, এর জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী নীতিনির্ধারকরা আর আমাদের যারা জড়িত ছিল। এদেশের বড় সমস্যা শিক্ষিত মানুষ। অশিক্ষিত গরিব মানুষ এদেশের সমস্যা না। ওরা কেউ এই চেয়ারে বসে না, আমরা যারা এই চেয়ারে বসি তারা দায়ী। জাহিদ হোসেন বলেন, বিশেষায়িত স্বাস্থ্য সেবার আমাদের যে স্তরগুলো আছে, এগুলো নিয়ে কাজ করতে হবে। এদেশে সরকারি খাতের পাশাপাশি শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে বেসরকারি খাত বিগত ৩০-৪০ বছরে বেশ উন্নতি করেছে। সেটাকে কীভাবে আরো মানসম্মত করা যায় তা নিয়ে কাজ করতে হবে।
অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, বর্তমানে আমাদের দেশে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার হ-য-ব-র-ল অবস্থা। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য কমিশন করুন এবং কুদরত-ই খুদা শিক্ষা কমিশন বাস্তবায়ন করুন। সবার একটি দাবি হলো শিক্ষা কমিশন চাই, যেটি এই সরকারে নেই।
ড. মোহাম্মদ মুশতাক হোসেন বলেন, বর্তমান সরকার একটি স্বাধীন স্বাস্থ্য কমিশনের কথা প্রস্তাব করেছে। স্বাধীন স্বাস্থ্য কমিশনটি হলে, স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনাগুলো তাদের নিজস্ব উদ্যোগে বাস্তবায়ন করতে পারে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, আইইডিসিআর-এর উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ মুশতাক হোসেন, জাতীয় পার্টির মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, গণফোরাম-এর সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান, জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাসনিম জারা, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর ড. মামুন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্সেস-এর সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. নিজাম উদ্দিন আহমেদ, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল, বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, জি-নাইনের সাধারণ সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্থ, সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী গোলাম সারোয়ার মিলন, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. শওকত আরা হোসাইন, জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের চেয়ারম্যান ড. সরদার এ. নাঈম, আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট ড. ডি কে শিল অর্পণ প্রমুখ। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ-এর সভাপতি জিল্লুর রহমান।
রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, আমরা শুধু পুনর্গঠন চাইছি না, আমরা রূপান্তর চাইছি শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে। রূপান্তর শুধু বই ছাপালেই বা শিক্ষাক্রম পরিবর্তন করলে আসবে না। শিক্ষার্থীদের নীতিবান মানুষ তৈরি করতে হবে। শিক্ষার্থীকে পরীক্ষার্থী বানিয়ে নয়, শিক্ষার্থীকে মানুষ করতে হবে।
জিল্লুর রহমান বলেন, বর্তমানে দেশে সংস্কার একটি বহুল আলোচিত বিষয়। কিন্তু শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাত নিয়ে তেমন একটি আলোচনা হয়নি। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের মৌলিক চাহিদাগুলোর দিকে তেমন একটা মনোযোগও দেওয়া হয়নি। দেশে বিভিন্ন সংস্কার কমিশন তৈরি করা হলেও শিক্ষাবিষয়ক সংস্কার কমিশন তৈরি হয়নি। দেশে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করে কীভাবে অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা যায় এ বিষয়ে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, গত ১৩ মাস ধরে শিক্ষা নিয়ে দেশে কেউ কথা বলে না। পরীক্ষা নিয়েও কিছু একটা বলে না। কোভিডের সময় দেখলাম অটোপাস দেওয়া হয়েছে। এসব আমাদের শিক্ষার মানকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে আল্লাহ জানে। কয়েক বছর আগে দেখলাম নিরীক্ষকদের চিঠি দেওয়া হয়েছে নাম্বার বাড়িয়ে দেওয়ার জন্যে। এসব আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য মারাত্মক হুমকি। তি?নি বলেন, আমাদের আজকের যে অধঃপতন, এর জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী নীতিনির্ধারকরা আর আমাদের যারা জড়িত ছিল। এদেশের বড় সমস্যা শিক্ষিত মানুষ। অশিক্ষিত গরিব মানুষ এদেশের সমস্যা না। ওরা কেউ এই চেয়ারে বসে না, আমরা যারা এই চেয়ারে বসি তারা দায়ী। জাহিদ হোসেন বলেন, বিশেষায়িত স্বাস্থ্য সেবার আমাদের যে স্তরগুলো আছে, এগুলো নিয়ে কাজ করতে হবে। এদেশে সরকারি খাতের পাশাপাশি শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে বেসরকারি খাত বিগত ৩০-৪০ বছরে বেশ উন্নতি করেছে। সেটাকে কীভাবে আরো মানসম্মত করা যায় তা নিয়ে কাজ করতে হবে।
অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, বর্তমানে আমাদের দেশে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার হ-য-ব-র-ল অবস্থা। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য কমিশন করুন এবং কুদরত-ই খুদা শিক্ষা কমিশন বাস্তবায়ন করুন। সবার একটি দাবি হলো শিক্ষা কমিশন চাই, যেটি এই সরকারে নেই।
ড. মোহাম্মদ মুশতাক হোসেন বলেন, বর্তমান সরকার একটি স্বাধীন স্বাস্থ্য কমিশনের কথা প্রস্তাব করেছে। স্বাধীন স্বাস্থ্য কমিশনটি হলে, স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনাগুলো তাদের নিজস্ব উদ্যোগে বাস্তবায়ন করতে পারে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, আইইডিসিআর-এর উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ মুশতাক হোসেন, জাতীয় পার্টির মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, গণফোরাম-এর সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান, জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. তাসনিম জারা, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর ড. মামুন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্সেস-এর সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. নিজাম উদ্দিন আহমেদ, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল, বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, জি-নাইনের সাধারণ সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্থ, সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী গোলাম সারোয়ার মিলন, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. শওকত আরা হোসাইন, জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের চেয়ারম্যান ড. সরদার এ. নাঈম, আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট ড. ডি কে শিল অর্পণ প্রমুখ। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ-এর সভাপতি জিল্লুর রহমান।