এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে জেল পলাতক আসামিরা

আপলোড সময় : ২৫-০৮-২০২৫ ১১:০৬:১৪ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ২৫-০৮-২০২৫ ১১:০৬:১৪ অপরাহ্ন
* ৫টি কারাগার থেকে দুই হাজারেরও বেশি আসামি পালিয়ে যায়।
* এক বছর পরও ৭২৪ জন পলাতক আসামিদের গ্রেফতার করা যায়নি।
* তাদের মধ্যে বিডিআর বিদ্রোহ মামলার আসামি, বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার আসামি, জঙ্গি মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় আটক হওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ আসামি রয়েছে।
* কেউ কেউ স্বেচ্ছায় ফেরত এলেও এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে অধিকাংশ আসামি।
* এক বছরে পুলিশ ৩৬৩ জনকে পুনরায় গ্রেপ্তার করেছে
 

যদেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনকালে কারাগার থেকে বিপুলসংখ্যক দুর্র্ধষ আসামি পালিয়ে যায়। ওই সময় একযোগে ৫টি কারাগার থেকে দুই হাজারেরও বেশি আসামি পালিয়ে যায়। কিন্তু এক বছর পরও ৭২৪ জন পলাতক আসামিদের গ্রেফতার করা যায়নি। তাদের মধ্যে বিডিআর বিদ্রোহ মামলার আসামি, বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার আসামি, জঙ্গি মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় আটক হওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ আসামি রয়েছে। ওসব আসামি আইন-শৃঙ্খলা বিনষ্টে ভূমিকা রাখতে পারে। কারা অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, গতবছরের জুলাই-আগস্টে আন্দোলনকালে নরসিংদী, শেরপুর, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়া ও কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগার থেকে পালিয়ে যায় মোট ২ হাজার ২৪৪ জন বন্দি। তাদের মধ্যে কেউ কেউ স্বেচ্ছায় ফেরত এলেও এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে অধিকাংশ আসামি। গত এক বছরে পুলিশ ৩৬৩ জনকে পুনরায় গ্রেপ্তার করেছে আর ১৬০ জন স্বেচ্ছায় ফিরে এসেছে। কিন্তু এখনো ৭২৪ জন পলাতক রয়েছে। তাছাড়া ওই সময় নরসিংদী ও শেরপুর কারাগার থেকে ৯৪টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৯ হাজার ১৯০ রাউন্ড গুলি লুট হয়। তার মধ্যে ৬৫টি অস্ত্র ও এক হাজার ৭১২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে। কিন্তু এখনো ২৯টি অস্ত্র ও সাত হাজার ৪৭৮ রাউন্ড গুলির খোঁজ মেলেনি। লুট হওয়া অস্ত্রগুলোর মধ্যে ৩৩টি চাইনিজ রাইফেল, বিডিএইডের ৩৮টি অস্ত্র এবং ২৩টি শটগান রয়েছে।
সূত্র জানায়, কুষ্টিয়া কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া ১০৫ জন বন্দির মধ্যে এখনো নিখোঁজ ১৭ জন। নরসিংদী কারাগার থেকে পালানো ৮৪৬ জনের মধ্যে ১৪২ জন পলাতক আছে। শেরপুরে ৫১৮ জনের মধ্যে ফেরেনি ৩৭৮ জন। সাতক্ষীরা কারাগারের ৫৯৬ জন পলাতকের মধ্যে এখনো নিখোঁজ ৪৩ জন। আর কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারের ২০২ জন বন্দির মধ্যে এখনো গ্রেপ্তার করা যায়নি ১৪১ জনকে। ওই সময় কারাগারে হামলায় ১৬ জন বন্দিনিহত হয়। তারা কাশিমপুর হাই সিকিউরিটিতে ৬ জন, জামালপুরে ৭ জন, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ২ জন এবং চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে একজন প্রাণ হারায়। এসব ঘটনায় কারা কর্তৃপক্ষ ৬টি মামলা দায়ের করেছে। তবে ওসব মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির সম্ভাবনা কম। এদিকে এ প্রসঙ্গে কারা অধিদপ্তরের এআইজি (প্রিজন্স) জান্নাত-উল-ফরহাদ জানান, জেল পলাতকদের বিষয়ে কারা অধিদপ্তরের কাছে কোনো তথ্য নেই। হামলার সময় কারাগারের নথিপত্র জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছিল। আদালত ও থানায় তথ্য থাকার কথা থাকলেও অনেক থানার নথিও পুড়ে গেছে। তাই আদালত যখন তথ্য চান, তখন খোঁজ নিয়ে জানতে হয় আসামি কারাগারে আছে কিনা। বেশির ভাগ পলাতকই সাজাপ্রাপ্ত আসামি। আদালত সাধারণত এ ধরনের মামলাই তলব করেন। তাই পলাতকদের নাম-পরিচয় খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঘটনার পর থেকে মাঝে মধ্যে দু-চারজন গ্রেপ্তার হচ্ছে। তারা আগের মামলার আসামি হিসেবেই আবার কারাগারে ফিরছে। তবে এখনো সব আসামি ধরা সম্ভব হয়নি। চার্জশিট দিলে পলাতকরা আইনি ফাঁকফোকর কাজে লাগাতে পারে। আদালত যদি আংশিক চার্জশিটের নির্দেশ দেন, তবে যে কোনো সময় পুলিশ তা জমা দিতে পারবে।
 

সম্পাদকীয় :

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : সৈয়দ এম. আলতাফ হোসাইন।

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক : সৈয়দ মোঃ আতিকুল হাসান।

নির্বাহী সম্পাদক আশীষ কুমার সেন।

ফোন : ৪৯৩৫৭৭৩০ (বার্তা), ৮৩১৫৬৪৯ (বাণিজ্যিক), ফ্যাক্স; ৮৮-০২-৮৩১৪১৭৪

অফিস :

প্রকাশক কর্তৃক রোমাক্স লিমিটেড, তেজগাঁও শিল্প এলাকা থেকে মুদ্রিত।

সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : খলিল ম্যানশন (৩য়, ৫ম ও ৬ষ্ঠ তলা), ১৪৯/এ, ডিআইটি এক্সটেনশন এভিনিউ, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত।

ই-মেইল : [email protected], ওয়েবসাইট : www.dainikjanata.net