
মালয়েশিয়ায় অধ্যয়নরত ১০ হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে ‘গ্র্যাজুয়েট প্লাস’ ভিসার মাধ্যমে উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন কর্মসংস্থানের সুযোগ দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই। বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন মালয়েশিয়ার উচ্চশিক্ষামন্ত্রী দাতুক সেরি ড. জাম্ব্রি আবদুল কাদির। মালয়েশিয়ার কেদাহ রাজ্যের একজন নির্বাহী পরিষদ সদস্যের এমন দাবির কোনও বাস্তব ভিত্তি নেই বলেও গত শুক্রবার জানান উচ্চশিক্ষামন্ত্রী। মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যম দ্য সান ও ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে এ খবর জানিয়েছে। চলতি মাসের শুরুতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস মালয়েশিয়া সফর করেন। কেদাহর শিল্প ও বিনিয়োগ, উচ্চশিক্ষা এবং বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন কমিটির প্রধান হাইম হিলমান আবদুল্লাহ বৃহস্পতিবার রাজ্য পরিষদে দাবি করেন যে, ড. মুহাম্মদ ইউনুস ওই রাজ্য সফরের সময় এমন অনুরোধ করেছিলেন। জিত্রা নির্বাচনী এলাকার এই আইনপ্রণেতা বলেন, জাম্ব্রি ড. ইউনূসের প্রস্তাবটি বিবেচনা করছেন এবং হয়তো তা মেনে নেবেন। তবে জাম্ব্রি সংবাদমাধ্যমগুলোকে বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সফরের সময় মালয়েশিয়ায় দশ হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে কর্মসংস্থানের জন্য গ্রহণ করার বিষয়ে কোনও সমঝোতা স্মারক বা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়নি। এমনকি ড. ইউনূস মালয়েশিয়ায় অধ্যয়নরত ১০ হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে এখানে থেকে কাজ করার অনুমতিও চাননি। আর আমি কখনও বলিনি যে আমি এটি বিবেচনা করতে রাজি আছি। তিনি আরও বলেন, আমরা উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কোনও শিল্পখাতে কতজন কর্মীর প্রয়োজন তা নিয়ে সিদ্ধান্ত দিই না। এ নীতি অন্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত। এর আগে এক বিবৃতিতে জাম্ব্রি উল্লেখ করেন যে, টিকটকে বাংলাদেশি মিডিয়ার বরাতে প্রচারিত তথ্যের ভিত্তিতে এমন মন্তব্য করেছেন হিলমান। ড. হাইম হিলমান আবদুল্লাহকে জনসম্মুখে বক্তব্য দেওয়ার সময় আরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন জাম্ব্রি। তিনি বলেন, একাডেমিক নীতিমালা সততা, যথার্থতা এবং সত্যতার দাবি করে। হিলমান যেন অযথা ভুল তথ্য প্রচার করে এমন বিভ্রান্তিকর ধারণা সৃষ্টি না করেন। মিথ্যা তথ্য দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার মতো ‘কনটেন্ট’ তৈরি করার প্রথা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। জাম্ব্রি বলেন, হিলমান আগে উত্তর মালয়েশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন। তার উচিত যাচাই করা তথ্যের ভিত্তিতে মন্তব্য করা।