
রাজধানীর হাজারীবাগ গণকটুলি সিটি কলোনীতে রমরমা মাদকের হাট। প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার মাদক বেচাকেনা হয় এই হাটে। গত কয়েক দিন আগে গণকটুলি সিটি কলোনী এলাকায় সেনা বাহিনী অভিযান চালিয়ে মাদক সম্রাট সামাদের বাসা থেকে ৯ কেজি গাঁজা নগদ ১২ লাখ টাকাসহ তার ছেলে সোহেলকে গ্রেফতার করে। এ অভিযানের পর ও থোমে নেই গনকটুলি সিটি কলোনীর মাদক ব্যবসা।
সূত্র জানায়, গণকটুলি এলাকার কুখ্যাত মাদক সম্রাট সামাদের নিয়ন্ত্রণে ১২/১৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ চক্র রয়েছে। এদের মধ্যে সামাদের ছেলে সোহেল রয়েছে। রোজিনা, রোজি, আননি, ফজলু, মহাজন, রমজান আলী, বিলকিস-এর মেয়ে স্বপ্না, নার্গিস ও তামান্না। প্রতিদিন কয়েক লাখ টাকার মাদক বিক্রি হয় এই গণকটুলি সিটি করোনী বাজারে।
নাম না বলার মতে সিটি কলোনীর এক বাসিন্দা জানান, এক সময়ে গণকটুনিতে মাদকের ব্যবসা করতো সাবা। সাবার মা ও ছিলেন একজন কুখ্যাত মাদকেরব্যবসায়ী। এছাড়া নারায়গঞ্জের টান বাজারের সর্দারনী ছিলেন সাবার মা। তাদের পুরো পরিবারের সদস্যরাই সারা ঢাকা সিটিতে মাদক সরবরাহ করতেন।
সূত্র জানান, কিছুদিন আগে গণকটুনি সিটি কলোনীতে প্রকাশ্যে ইয়াবা বিক্রি করতে গিয়ে মাদক সম্রাগ্রী সাবা সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়। পরে সাবাকে হাজারীবাগ থানায় হস্তান্তর করা হয়। সাবা গ্রেফতারের পর পুরো সিটি কলোনী ফজলু মহাজন, সোহেল, নার্গিস ও আনলি ব্যবসাটি তাদের নিয়ন্ত্রণে নেন। ওদের সাথে আরো যোগদান করে ১৫/২০ জনের একটি মাদক বিক্রির দল।
অবৈধ এই মাদকের ব্যবসা থেকে প্রতিদিন থানা পুলিশের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা সাপ্তাহিক নজরানা নিচ্ছেন। এছাড়া রাজনৈতিক দলের কতিপয় নেতারা ও নিয়মিত চাঁদা নিচ্ছেন। তবে আগে সে ব্যবসাটি স্থায়ীভাবে বিক্রি হত এখন তা না হয়ে ভ্রাম্যমান। কেউ ভ্যানে আবার কেউ পাকেটে পটেকে করে ইয়াবা বিক্রি করছে।এ ব্যাপারে মাদক সম্রাট সামাদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায় নাই।