
গাজীপুরের শ্রীপুরে শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন আল মুজাহিদ ওরফে সুমন বাহিনীর পাঁচটি টর্চার সেল গুঁড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ। এ সময় তার তিন সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে উপজেলার বরমী ইউনিয়নের পাঠানটেক, বড়নল, কোষাদিয়া, বরকুল ও নান্দিয়াসাঙ্গুন গ্রামের সুমনের নিয়ন্ত্রণাধীন পাঁচটি টর্চার সেলে অভিযান চালিয়ে গুঁড়িয়ে দেয় পুলিশ। মামুন আল মুজাহিদ ওরফে সুমন উপজেলার বরমী ইউনিয়নের পাঠানটেক গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। স্থানীয়রা জানান, সুমন বাহিনীর টর্চার সেলে রাতভর চলতো মাদকের আড্ডা। নিরপরাধ মানুষকে ধরে এনে মারধর করে টাকা আদায় করা হতো। শ্রীপুর থানার ওসি মহম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, গত রবিবার সন্ত্রাসী সুমন ও রাজিবকে পুলিশ রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদে সুমন স্বীকার করে উপজেলার বরমী ইউনিয়নের পাঠানটেক, বড়নল, কোষাদিয়া, বরকুল ও নান্দিয়াসাঙ্গুন এলাকায় সুমনের পাঁচটি আস্তানা রয়েছে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওইসব আস্তানায় তল্লাশি করে একটি এয়ারগান ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এয়ারগানকে রাইফেল হিসেবে ব্যবহার করে মানুষদেরকে ভয়ভীতি দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করতো। আস্তানাগুলো থেকে সুমন বাহিনীর তিন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতাররা হলেন- উপজেলার বরমী ইউনিয়নের কাঁঠালিয়া গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে আশরাফুল ইসলাম (১৮), পোসাদিয়া গ্রামের তমিজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুল শাহীদ (৩৫) ও বড়নল গ্রামের মৃত হাসেমের ছেলে কফিল উদ্দিন (৬৫)। দুপুরে তাদেরকে গাজীপুর আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। প্রসঙ্গত, গত ২৮ আগস্ট সন্ধ্যায় উপজেলা কাওরাইদ ইউনিয়নের নান্দিয়াসাংগুন এলাকার ত্রিমোহনী ব্রিজ থেকে শীর্ষ সন্ত্রাসী মুজাহিদ ওরফে সুমনকে (৩৫) আটক করে পুলিশ। আটকের পর তাকে থানায় নিয়ে আসার পথে কয়েক দফা হামলা চালায় তার সহেযাগী সন্ত্রসীরা। ওই দিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে শ্রীপুর পৌরসভার শ্রীপুর-মাওনা সড়কের টেংরা মোড়ে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) ও থানা পুলিশের ব্যবহৃত দুটি গাড়িতে হামলা করে ভাঙচুর চালায়। এক পর্যায়ে মোটরসাইকেল মহড়া দিয়ে পুলিশের কাছ থেকে শীর্ষ সন্ত্রাসী সুমনকে ছিনিয়ে নেয় তার সহযোগীরা। তিন দিন পর রোববার রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে দুই সহযোগীসহ সুমনকে গ্রেফতার করে