
এ বছরের আগস্ট মাসে দেশের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ চোরাচালান পণ্য ও মাদকদ্রব্য জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এসব অভিযানে উদ্ধার করা পণ্যের বাজারমূল্য ১৭৭ কোটি ২১ লাখ ৩০ হাজার টাকা বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। গতকাল রোববার বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজিবির তথ্য অনুযায়ী, আগস্ট মাসে জব্দ হওয়া পণ্যের মধ্যে রয়েছে ১৩ কেজি ৪৪০ গ্রাম স্বর্ণ ও ১৮ কেজি ৭৩০ গ্রাম রূপা। পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ শাড়ি, থ্রিপিস, শার্টপিস, কম্বল, তৈরি পোশাক ও থান কাপড় জব্দ করা হয়। সীমান্ত থেকে আটক হয় কয়েক লাখ কসমেটিকস সামগ্রী, ইমিটেশন গহনা, আতশবাজি, কাঠ, চা পাতা, সুপারি, সার, কয়লা, সুতা, জাল ও অন্যান্য অবৈধ পণ্য। এছাড়া উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মোবাইল ফোন, ডিসপ্লে, চশমা, যানবাহনের যন্ত্রাংশসহ নানা ধরনের পণ্যও উদ্ধার করা হয়। অভিযানে বিভিন্ন যানবাহনও জব্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, পিকআপ, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, নৌকা, সিএনজি, ইজিবাইক, মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেল। সীমান্ত এলাকায় পাচারের কাজে ব্যবহৃত এসব যানবাহনকে বাজেয়াপ্ত করে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। শুধু পণ্যই নয়, আগস্ট মাসে সীমান্ত থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অস্ত্রও উদ্ধার করেছে বিজিবি। উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে দেশি-বিদেশি পিস্তল, রিভলভার, রাইফেল, সাবমেশিন গান (এসএমজি), বিভিন্ন ধরনের ম্যাগাজিন এবং শত শত রাউন্ড গুলি। অভিযানে মাদকদ্রব্য জব্দের পরিমাণও ছিল ব্যাপক। বিজিবি জানিয়েছে, আগস্টে ১২ লাখ ৩৭ হাজারেরও বেশি ইয়াবা ট্যাবলেট, প্রায় পাঁচ কেজি হেরোইন, কয়েক হাজার বোতল ফেনসিডিল, বিদেশি মদ, বাংলা মদ, বিয়ার, গাঁজা, তামাক, এলএসডি, বিভিন্ন ধরনের ট্যাবলেট, ইনজেকশন এবং অবৈধ ওষুধ উদ্ধার করা হয়। অভিযান চলাকালে বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা থেকে মাদক ও চোরাচালান কাজে জড়িত ২০৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ১৬০ জন বাংলাদেশি ও ১১ জন ভারতীয় নাগরিককে আটক করা হয়। একইসঙ্গে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করার সময় ৫৪৬ জন মিয়ানমারের নাগরিককে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।