ভারতের সুবিধাবঞ্চিত গোষ্ঠীর অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার জন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পাবলিক ইন্টারেস্ট লিটিগেশন (পিআইএল) অনুসারে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন। সেই পিআইএলে-ই দেশটির সুপ্রিম কোর্টে চলমান এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ বাতিলের আবেদন করা হয়। সেই আবেদন গতকাল বৃহস্পতিবার বাতিল করে দিয়েছেন বিচারক জেকে মহেশ্বরি ও বিজয় বিষ্ণয়ের বেঞ্চ। সংবাদমাধ্যম ‘হিন্দুস্তান টাইমস’ জানিয়েছে, ম্যাচ বাতিলের আবেদন নিয়ে গত শুক্রবার শুনানির জন্য রাখা হলে বিচারক মহেশ্বরি বলেন, ‘এত তাড়াহুড়ো কিসের? এটি কেবলই একটি ম্যাচ, ঠিকভাবে হতে দিন।’ এরপর আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের আইনজীবি জানান যে, আগামী রোববার ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচ, তাই এর আগেই শুনানি না হলে রায় ফলপ্রসূ হবে না। প্রত্যুত্তরে বিচারক জানান, ‘রোববার ম্যাচ হবে? তা নিয়ে আমরা কী করতে পারি? সেটা হতে দিন। ম্যাচ চালু রাখা উচিত।’ এদিকে ম্যাচ বাতিলের পক্ষে আইনজীবী বারবার অনুরোধ জানিয়ে বলেছেন, আবেদনটি শক্তিশালী হোক বা দুর্বল, অন্তত তা শোনা উচিত। কিন্তু বেঞ্চ তা প্রত্যাখ্যান করেছে। বিচারপতি মহেশ্বরীর প্রতিক্রিয়া ছিল এমন, ‘প্রতিদিনই একপক্ষ, অন্যপক্ষৃ একরকম খেলা চলছেৃ এক বলৃ’ এবং এর মাধ্যমে কার্যত তিনি মামলার ইতি টানার ঘোষণা দেন। আবেদনকারী চারজন আইনের শিক্ষার্থী যুক্তি ছিল, কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা এবং ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর এত অল্প সময় পরই পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলা ভারতের ‘জাতীয় স্বার্থবিরোধী’। এর আগে চার শিক্ষার্থীর করা আবেদন নিয়ে সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, উর্বশী জৈনের নেতৃত্বে চারজন আইনের শিক্ষার্থী এই পিটিশন করেছেন। পিটিশনে দাবি করা হয়, গত এপ্রিলে ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলার সেই ভয়াবহ ঘটনা ও ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর ক্রিকেট মাঠে ভারত-পাকিস্তানের মুখোমুখি হওয়াটা একটু দ্রুতই হয়ে যায়। আর তাতে জাতীয় মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয় এবং ভারতের সাধারণ নাগরিক থেকে সৈন্যদের আত্মদানকেও উপেক্ষা করা হয়।