
পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির বেপরোয়া তাণ্ডবে কক্সবাজার টেকনাফের সাগরে মাছ শিকারে যাওয়া জেলেরা ভয় ও আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। পরিবারের জীবন-জীবিকা নির্বাহ করতে প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে মাছ শিকারে যেতে হচ্ছে তাদের। গত বুধবার বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন সেন্টমার্টিনের ‘সীতা’ ও ‘নাইক্ষ্যংদিয়া’ পয়েন্ট থেকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ৫টি মাছ ধরার ট্রলারসহ বাংলাদেশি ৩০ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। এ নিয়ে টেকনাফ উপকূলজুড়ে বিরাজ করছে উৎকণ্ঠা।
জানা গেছে, টেকনাফ সীমান্তের নাফ নদের জলসীমায় হঠাৎ বেপরোয়া হয়ে উঠেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মি। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, আরাকান আর্মি খাবারসহ প্রয়োজনীয় পণ্য ও মুক্তিপণ হিসেবে টাকা আয়ের জন্যই এমন তৎপরতা চালাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে অপহৃত জেলেদের উদ্ধারে পদক্ষেপ ও নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানিয়েছে ট্রলার মালিক সমিতি।
কক্সবাজারের টেকনাফে বঙ্গোপসাগর থেকে মাছ ধরার সময় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ৫টি মাছ ধরার ট্রলারসহ বাংলাদেশি ৩০ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। গত বুধবার বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন সেন্টমার্টিনের ‘সীতা’ ও ‘নাইক্ষ্যংদিয়া’ পয়েন্ট থেকে তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদ এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফয়েজুল ইসলাম বলেন, এখানে সেন্টমার্টিনের কোন জেলে নাই। যা নিয়ে গেছে তারা সবাই টেকনাফ এবং শাহপরীরদ্বীপ ঘাটের জেলে। তিনি আরও বলেন, মূলত আরাকান আর্মি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তারা প্রতিনিয়ত আমাদের জেলেদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে। তারা এ কাজটি করার মূল কারণ হলো; এখান থেকে তারা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পাচ্ছে না। তাই আমাদের জেলেদের অত্যাচার করছে। তারা চাচ্ছে তাদের সাথে চুক্তি করতে, কিন্তু তারা কোনো প্রতিষ্ঠিত বাহিনী না। বাংলাদেশ সরকার চুক্তি করলে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের সাথে করবে।
স্থানীয়রা জানান, মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। দিনের পর দিন তারা আমাদের জেলেদের ধরে নিয়ে অমানবিক নির্যাতন করে আসছে। এরকম চলতে থাকলে আমাদের না খেয়ে মরণ ছাড়া কোন উপায় থাকবে না। এদের লাগাম টানা উচিত। আমাদের জেলেরা কি মাছ ধরবে নাকি আরাকান আর্মির নির্যাতনের শিকার হবে।
শাহপরীরদ্বীপ এর আব্দুল্লাহ নামে এক জেলে বলেন, আরাকান আর্মি জোরপূর্বক আমাদের ধাওয়া করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। এরকম করতে থাকলে আমাদের না খেয়ে মরে যেতে হবে। তারা হুট করে এসে আমাদের ধাওয়া করে, পরে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে যায়। তাদের এই পিশাচিক নির্যাতন থেকে মুক্তি চাই।
বিজিবি বলছে, অসচেতনতা এবং কিছু চোরাকারবারির সহায়তায় জলসীমান্তের শূন্যরেখা অতিক্রম করে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়ায় নাফ নদ ও সাগর মোহনা থেকে বাংলাদেশি জেলেদের ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ জলসীমায় ঢুকে লোকজন ধরে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ শুধু আরাকান আর্মি কেন, মিয়ানমারের কোনো গোষ্ঠীর নেই। কারণ সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তায় বিজিবির তৎপরতা রয়েছে। নিয়মিত টহল জোরদার করা হয়েছে।
কক্সবাজার সিভিল সোসাইটির সভাপতি আবু মোরশেদ চৌধুরী খোকা বলেন, আরাকান আর্মি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর ওই অঞ্চল গোটা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন রয়েছে। রাখাইনে দেশের অন্য কোনো অঞ্চল থেকে কোনো প্রকার খাবার, পণ্য সরবরাহ করা হচ্ছে না। ফলে রাখাইনে খাদ্যসহ নিত্যপণ্যের তীব্র সংকট তৈরি হয়েছে। এই সংকট নিরসনে বাংলাদেশ থেকে পণ্য সংগ্রহের জন্য অর্থের প্রয়োজন আরাকান আর্মির। তাই নাফ নদে জেলে অপহরণ ও ট্রলার লুট বা চাঁদাবাজিকে অর্থ সংগ্রহের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করছে তারা। এটি বন্ধের জন্য আমাদের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর আরও সতর্ক এবং কৌশলগত অবস্থান জরুরি।
জানা গেছে, টেকনাফ সীমান্তের নাফ নদের জলসীমায় হঠাৎ বেপরোয়া হয়ে উঠেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মি। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, আরাকান আর্মি খাবারসহ প্রয়োজনীয় পণ্য ও মুক্তিপণ হিসেবে টাকা আয়ের জন্যই এমন তৎপরতা চালাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে অপহৃত জেলেদের উদ্ধারে পদক্ষেপ ও নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানিয়েছে ট্রলার মালিক সমিতি।
কক্সবাজারের টেকনাফে বঙ্গোপসাগর থেকে মাছ ধরার সময় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ৫টি মাছ ধরার ট্রলারসহ বাংলাদেশি ৩০ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। গত বুধবার বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন সেন্টমার্টিনের ‘সীতা’ ও ‘নাইক্ষ্যংদিয়া’ পয়েন্ট থেকে তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদ এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফয়েজুল ইসলাম বলেন, এখানে সেন্টমার্টিনের কোন জেলে নাই। যা নিয়ে গেছে তারা সবাই টেকনাফ এবং শাহপরীরদ্বীপ ঘাটের জেলে। তিনি আরও বলেন, মূলত আরাকান আর্মি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তারা প্রতিনিয়ত আমাদের জেলেদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে। তারা এ কাজটি করার মূল কারণ হলো; এখান থেকে তারা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পাচ্ছে না। তাই আমাদের জেলেদের অত্যাচার করছে। তারা চাচ্ছে তাদের সাথে চুক্তি করতে, কিন্তু তারা কোনো প্রতিষ্ঠিত বাহিনী না। বাংলাদেশ সরকার চুক্তি করলে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের সাথে করবে।
স্থানীয়রা জানান, মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। দিনের পর দিন তারা আমাদের জেলেদের ধরে নিয়ে অমানবিক নির্যাতন করে আসছে। এরকম চলতে থাকলে আমাদের না খেয়ে মরণ ছাড়া কোন উপায় থাকবে না। এদের লাগাম টানা উচিত। আমাদের জেলেরা কি মাছ ধরবে নাকি আরাকান আর্মির নির্যাতনের শিকার হবে।
শাহপরীরদ্বীপ এর আব্দুল্লাহ নামে এক জেলে বলেন, আরাকান আর্মি জোরপূর্বক আমাদের ধাওয়া করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। এরকম করতে থাকলে আমাদের না খেয়ে মরে যেতে হবে। তারা হুট করে এসে আমাদের ধাওয়া করে, পরে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে যায়। তাদের এই পিশাচিক নির্যাতন থেকে মুক্তি চাই।
বিজিবি বলছে, অসচেতনতা এবং কিছু চোরাকারবারির সহায়তায় জলসীমান্তের শূন্যরেখা অতিক্রম করে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়ায় নাফ নদ ও সাগর মোহনা থেকে বাংলাদেশি জেলেদের ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ জলসীমায় ঢুকে লোকজন ধরে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ শুধু আরাকান আর্মি কেন, মিয়ানমারের কোনো গোষ্ঠীর নেই। কারণ সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তায় বিজিবির তৎপরতা রয়েছে। নিয়মিত টহল জোরদার করা হয়েছে।
কক্সবাজার সিভিল সোসাইটির সভাপতি আবু মোরশেদ চৌধুরী খোকা বলেন, আরাকান আর্মি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর ওই অঞ্চল গোটা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন রয়েছে। রাখাইনে দেশের অন্য কোনো অঞ্চল থেকে কোনো প্রকার খাবার, পণ্য সরবরাহ করা হচ্ছে না। ফলে রাখাইনে খাদ্যসহ নিত্যপণ্যের তীব্র সংকট তৈরি হয়েছে। এই সংকট নিরসনে বাংলাদেশ থেকে পণ্য সংগ্রহের জন্য অর্থের প্রয়োজন আরাকান আর্মির। তাই নাফ নদে জেলে অপহরণ ও ট্রলার লুট বা চাঁদাবাজিকে অর্থ সংগ্রহের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করছে তারা। এটি বন্ধের জন্য আমাদের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর আরও সতর্ক এবং কৌশলগত অবস্থান জরুরি।