
অবশেষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের ভোট গণনা হয়েছে ম্যানুয়ালি। তবে ম্যানুয়ালি ভোট গণনা করায় ফলাফল প্রকাশ করতে বিলম্ব হয়। এতে ক্ষোভ বাড়তে থাকে প্রার্থী ও শিক্ষার্থীদের মাঝে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভোট গণনা চলছিল। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে কেন্দ্রীয় সংসদের ভোট গণনা শুরু হয়। জাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনিরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বিকেল ৫টার দিকে ২১টি হল সংসদের ভোট গণনা শেষ হয়। তবে বিজয়ীদের তালিকা এখনো প্রকাশ করা হয়নি। গত বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। পরে বিভিন্ন অসঙ্গতির অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জন করে ছাত্রদলসহ চারটি প্যানেল ও স্বতন্ত্র পাঁচ প্রার্থী। জাকসুতে মোট ভোটার সংখ্যা ১১ হাজার ৮৯৭। এর মধ্যে ছাত্র ছয় হাজার ১১৫ এবং ছাত্রী পাঁচ হাজার ৭২৮ জন। এর প্রায় ৬৭-৬৮ শতাংশ ভোট পড়েছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের ভোট গণনায় এতো দীর্ঘ সময় লাগায় বানচালের ষড়যন্ত্র দেখছে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল।
শুক্রবার বিকেল পাঁচটার দিকে ক্যাম্পাসে সংবাদ সম্মেলনে করেছেন শিবির সমর্থিত প্যানেল ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’ এর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম। তার অভিযাগ, ফল প্রকাশ বানচালের চেষ্টা করছেন বিএনপিপন্থী কয়েকজন শিক্ষক।
সিনেট ভবন এলাকায় হওয়া সংবাদ সম্মেলনে মাজহারুল বলেন, অযৌক্তিকভাবে ওএমআর বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। যেটির গ্লানি আমরা এখনো টানছি। যারা ভোট গণনা করছেন তাদের নাভিশ্বাস উঠে গেছে, অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। মাত্র হল সংসদের ভোট গণনা শেষ হয়েছে, এখনো আরও ভোট গণনা বাকি। আমাদের মনে হয় না আজকের মধ্যে ভোট গণনা শেষ হবে।
সমন্বিত শিক্ষার্থী জোটের এই জিএস প্রার্থী বলেন, আমাদের কিছু গুরুতর অভিযোগ আছে। প্রথমত প্রশাসনের মধ্যে একটি পক্ষ আছে যারা ঠুনকো অজুহাতে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে স্থগিত করতে চায়। ছাত্রদলের ঠুনকো অজুহাতে তারা যেমন ওএমআর বাতিল করেছে, একইভাবে তারা নির্বাচনকেও বানচাল করতে চাচ্ছে।
মাজহারুল ইসলাম অভিযোগ করেন, বিএনপিপন্থী শিক্ষক নজরুল সাহেব, আব্দুস সাত্তার সাহেব এই অব্যাবস্থাপনার জন্য দায়ী। নজরুল স্যার মেয়েদের একটি হলের প্রভোস্ট হয়েও অন্য হলে ঢুকে মব সৃষ্টি করেছেন। নির্বাচন সাময়িক স্থগিত রাখার জন্যও তিনি দায়ী ছিলেন।
???বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্দেশে মাজহারুল ইসলাম বলেন, আজকের মধ্যে যদি ভোট গণনা শেষ এবং ফল ঘোষণা না করা হয়, তাহলে আমরা কঠোর অবস্থান নেব। নির্বাচন বানচালের কোন প্রকার অপপ্রয়াস সফল হতে দেওয়া হবে না।
অধ্যাপক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ও বিএনপিপন্থী শিক্ষক ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি বলেন, শিবিরের জিএস প্রার্থীর অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমরা তিনজন শিক্ষক গতকাল বিকেলে ভোট বর্জন করে বাসায় এসেছি। বাসা থেকে বের হইনি। এখান থেকে কোন ধরনের ষড়যন্ত্র বা পরিকল্পনার সুযোগ নেই।
অধ্যাপক নজরুল ইসলাম আরও বলেন, শিবিরের জিএস প্রার্থীর বক্তব্যেই আমরা ষড়যন্ত্র খুঁজে পাচ্ছি। তারা ওএমআর মেশিনে ভোট গণনার জন্য চাপ দিচ্ছেন। এই ওএমআর মেশিন আর ব্যালট জামায়াতের একজন নেতার মাধ্যমে ছাপানো হয়েছে।
এদিকে শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌসের মৃত্যুর ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করেন তিনি। সিনেট ভবনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
?এ সময় তিনি বলেন, কাল যদি ভোট কাউন্ট করে রেজাল্ট দেওয়া যেত তাহলে আমার সহকর্মীর মৃত্যু দেখতে হতো না, আমাদের কান্না করতে হতো না। নির্বাচন কমিশনের অব্যবস্থাপনার কারণে আমার সহকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। আমি তার মৃত্যুর বিচার চাই, প্রশাসনকে এই অব্যবস্থাপনার জন্য দায়ী করছি এবং জান্নাতুল ফেরদৌসের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ দাবি করছি।
?এ রিটার্নিং কর্মকর্তা আরও বলেন, চারুকলা বিভাগের আমাদের আরেক শিক্ষক কাজী মহসিন, তিনি অসুস্থ হয়ে গেছেন। তিনিও একজন রিটার্নিং কর্মকর্তা। তাহলে ভোট কাউন্ট কীভাবে হবে? কেন এই ম্যানুয়াল পদ্ধতির আশ্রয় নেয়া হলো আমার প্রশ্ন। ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে নেওয়ার পরও কেন হলে ভোট কাউন্ট করা হলো না। হলেই যদি ভোট কাউন্ট হতো তাহলে বিভিন্ন হলে রাত দশটার মধ্যে রেজাল্ট হয়ে যেত। পরে নির্বাচন কমিশনে নিয়ে আসলে এগারোটার মধ্যে রেজাল্ট হয়ে যেত।
?সহকর্মীর মৃত্যুর পেছনে অমানুষিক পরিশ্রমের বিষয়টি সামনে এনে তিনি বলেন, আমার যে সহকর্মীর মৃত্যু হয়েছে সেখানে আমিও থাকতে পারতাম। এই অমানুষিক পরিশ্রম আমরা দশ তারিখ থেকে করেছি। সকাল সাতটা থেকে আমরা প্রত্যেকে যার যার হলে গিয়েছি এবং ভোট সুষ্ঠুভাবে কাজ করার জন্য আমরা শতভাগ ইফোর্ট দিয়েছি। আমরা চেষ্টা করেছি সেখানে যেন কোনও অনিয়ম না হয়।
সুলতানা আক্তার আরও বলেন, আমরা জানি এখানে ভোটটা মেশিনের মাধ্যমে কাউন্ট হবে। মতবিনিময়ে বলা হয়েছিল আমরা শুধু ভোট কাস্ট করে সিনেট ভবনে দেব। আমাদের জানানো হয়েছিল, ভোট সিনেট ভবনে কাউন্ট হবে। মেশিনের মাধ্যমে ভোট গণনা হবে যাতে আমাদের কষ্ট লাঘব হয়। আমরা সেটাই মেনে নিয়েছি। কিন্তু ভোটের পরে হঠাৎ করে জানানো হয়েছে ভোট ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে কাউন্ট হবে আমাদের সেখানে থাকতে হবে।
?ভাট গণনার জন্য শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌসকে ফোন করে ডেকে আনা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তিনি হয়তো স্ট্রেস নিয়ে ঘুমাতে পারেননি, যেমন আমিও ঘুমাতে পারিনি। আমি যতটুকু জানি-তিনি তাড়াহুড়া করে এসেছেন। তাকে ফোন দেয়া হয়েছিল। তিনি অসুস্থতার কারণে ফোন ধরতে পারেননি। তাকে ফোন দিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। তার আরেক সহকর্মী যিনি প্রীতিলতা হলে ছিলেন তিনি আমাকে জানিয়েছেন যে, তাড়াহুড়ো করে তিনতলায় উঠতে গিয়ে তিনি দরজার সাথে ধাক্কা খেয়ে পড়ে যান। সম্ভবত তার কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি মারা যান।
?ম্যানুয়ালি ভোট গণনার পরিবর্তন চেয়ে এই শিক্ষিকা বলেন, একটি মাত্র ব্যালটের মাধ্যমে হল সংসদের ভোট কাউন্ট হয়েছে। কিন্তু জাকসুতে আমাদের একজন ভোটারের তিনটা করে ভোট কাউন্ট করতে হবে, যদি ৮০০০ ভোট কাস্ট হয়ে থাকে। তাহলে মোট ২৪ হাজার ভোট কাউন্ট করতে হবে। ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে এটা কীভাবে সম্ভব? আমরা এই পদ্ধতির পরিবর্তন চাই। আমরা এই শারীরিক ও মানসিক চাপ নিতে পারছি না।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের ভোট গণনায় এতো দীর্ঘ সময় লাগায় বানচালের ষড়যন্ত্র দেখছে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল।
শুক্রবার বিকেল পাঁচটার দিকে ক্যাম্পাসে সংবাদ সম্মেলনে করেছেন শিবির সমর্থিত প্যানেল ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’ এর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম। তার অভিযাগ, ফল প্রকাশ বানচালের চেষ্টা করছেন বিএনপিপন্থী কয়েকজন শিক্ষক।
সিনেট ভবন এলাকায় হওয়া সংবাদ সম্মেলনে মাজহারুল বলেন, অযৌক্তিকভাবে ওএমআর বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। যেটির গ্লানি আমরা এখনো টানছি। যারা ভোট গণনা করছেন তাদের নাভিশ্বাস উঠে গেছে, অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। মাত্র হল সংসদের ভোট গণনা শেষ হয়েছে, এখনো আরও ভোট গণনা বাকি। আমাদের মনে হয় না আজকের মধ্যে ভোট গণনা শেষ হবে।
সমন্বিত শিক্ষার্থী জোটের এই জিএস প্রার্থী বলেন, আমাদের কিছু গুরুতর অভিযোগ আছে। প্রথমত প্রশাসনের মধ্যে একটি পক্ষ আছে যারা ঠুনকো অজুহাতে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে স্থগিত করতে চায়। ছাত্রদলের ঠুনকো অজুহাতে তারা যেমন ওএমআর বাতিল করেছে, একইভাবে তারা নির্বাচনকেও বানচাল করতে চাচ্ছে।
মাজহারুল ইসলাম অভিযোগ করেন, বিএনপিপন্থী শিক্ষক নজরুল সাহেব, আব্দুস সাত্তার সাহেব এই অব্যাবস্থাপনার জন্য দায়ী। নজরুল স্যার মেয়েদের একটি হলের প্রভোস্ট হয়েও অন্য হলে ঢুকে মব সৃষ্টি করেছেন। নির্বাচন সাময়িক স্থগিত রাখার জন্যও তিনি দায়ী ছিলেন।
???বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্দেশে মাজহারুল ইসলাম বলেন, আজকের মধ্যে যদি ভোট গণনা শেষ এবং ফল ঘোষণা না করা হয়, তাহলে আমরা কঠোর অবস্থান নেব। নির্বাচন বানচালের কোন প্রকার অপপ্রয়াস সফল হতে দেওয়া হবে না।
অধ্যাপক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ও বিএনপিপন্থী শিক্ষক ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি বলেন, শিবিরের জিএস প্রার্থীর অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমরা তিনজন শিক্ষক গতকাল বিকেলে ভোট বর্জন করে বাসায় এসেছি। বাসা থেকে বের হইনি। এখান থেকে কোন ধরনের ষড়যন্ত্র বা পরিকল্পনার সুযোগ নেই।
অধ্যাপক নজরুল ইসলাম আরও বলেন, শিবিরের জিএস প্রার্থীর বক্তব্যেই আমরা ষড়যন্ত্র খুঁজে পাচ্ছি। তারা ওএমআর মেশিনে ভোট গণনার জন্য চাপ দিচ্ছেন। এই ওএমআর মেশিন আর ব্যালট জামায়াতের একজন নেতার মাধ্যমে ছাপানো হয়েছে।
এদিকে শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌসের মৃত্যুর ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করেন তিনি। সিনেট ভবনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
?এ সময় তিনি বলেন, কাল যদি ভোট কাউন্ট করে রেজাল্ট দেওয়া যেত তাহলে আমার সহকর্মীর মৃত্যু দেখতে হতো না, আমাদের কান্না করতে হতো না। নির্বাচন কমিশনের অব্যবস্থাপনার কারণে আমার সহকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। আমি তার মৃত্যুর বিচার চাই, প্রশাসনকে এই অব্যবস্থাপনার জন্য দায়ী করছি এবং জান্নাতুল ফেরদৌসের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ দাবি করছি।
?এ রিটার্নিং কর্মকর্তা আরও বলেন, চারুকলা বিভাগের আমাদের আরেক শিক্ষক কাজী মহসিন, তিনি অসুস্থ হয়ে গেছেন। তিনিও একজন রিটার্নিং কর্মকর্তা। তাহলে ভোট কাউন্ট কীভাবে হবে? কেন এই ম্যানুয়াল পদ্ধতির আশ্রয় নেয়া হলো আমার প্রশ্ন। ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে নেওয়ার পরও কেন হলে ভোট কাউন্ট করা হলো না। হলেই যদি ভোট কাউন্ট হতো তাহলে বিভিন্ন হলে রাত দশটার মধ্যে রেজাল্ট হয়ে যেত। পরে নির্বাচন কমিশনে নিয়ে আসলে এগারোটার মধ্যে রেজাল্ট হয়ে যেত।
?সহকর্মীর মৃত্যুর পেছনে অমানুষিক পরিশ্রমের বিষয়টি সামনে এনে তিনি বলেন, আমার যে সহকর্মীর মৃত্যু হয়েছে সেখানে আমিও থাকতে পারতাম। এই অমানুষিক পরিশ্রম আমরা দশ তারিখ থেকে করেছি। সকাল সাতটা থেকে আমরা প্রত্যেকে যার যার হলে গিয়েছি এবং ভোট সুষ্ঠুভাবে কাজ করার জন্য আমরা শতভাগ ইফোর্ট দিয়েছি। আমরা চেষ্টা করেছি সেখানে যেন কোনও অনিয়ম না হয়।
সুলতানা আক্তার আরও বলেন, আমরা জানি এখানে ভোটটা মেশিনের মাধ্যমে কাউন্ট হবে। মতবিনিময়ে বলা হয়েছিল আমরা শুধু ভোট কাস্ট করে সিনেট ভবনে দেব। আমাদের জানানো হয়েছিল, ভোট সিনেট ভবনে কাউন্ট হবে। মেশিনের মাধ্যমে ভোট গণনা হবে যাতে আমাদের কষ্ট লাঘব হয়। আমরা সেটাই মেনে নিয়েছি। কিন্তু ভোটের পরে হঠাৎ করে জানানো হয়েছে ভোট ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে কাউন্ট হবে আমাদের সেখানে থাকতে হবে।
?ভাট গণনার জন্য শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌসকে ফোন করে ডেকে আনা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তিনি হয়তো স্ট্রেস নিয়ে ঘুমাতে পারেননি, যেমন আমিও ঘুমাতে পারিনি। আমি যতটুকু জানি-তিনি তাড়াহুড়া করে এসেছেন। তাকে ফোন দেয়া হয়েছিল। তিনি অসুস্থতার কারণে ফোন ধরতে পারেননি। তাকে ফোন দিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। তার আরেক সহকর্মী যিনি প্রীতিলতা হলে ছিলেন তিনি আমাকে জানিয়েছেন যে, তাড়াহুড়ো করে তিনতলায় উঠতে গিয়ে তিনি দরজার সাথে ধাক্কা খেয়ে পড়ে যান। সম্ভবত তার কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি মারা যান।
?ম্যানুয়ালি ভোট গণনার পরিবর্তন চেয়ে এই শিক্ষিকা বলেন, একটি মাত্র ব্যালটের মাধ্যমে হল সংসদের ভোট কাউন্ট হয়েছে। কিন্তু জাকসুতে আমাদের একজন ভোটারের তিনটা করে ভোট কাউন্ট করতে হবে, যদি ৮০০০ ভোট কাস্ট হয়ে থাকে। তাহলে মোট ২৪ হাজার ভোট কাউন্ট করতে হবে। ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে এটা কীভাবে সম্ভব? আমরা এই পদ্ধতির পরিবর্তন চাই। আমরা এই শারীরিক ও মানসিক চাপ নিতে পারছি না।