
দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিপুল টাকার আর্থিক অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ মোট ৩৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্থিক অনিয়ম ঘটে। তার মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বোচ্চ ৭ কোটি ৪৮ লাখ টাকা আর্থিক অনিয়ম হয়েছে। দেশের ৩৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ১৪৬ কোটি ৪৫ লাখ টাকা আর্থিক অনিয়ম হয়েছে। ওসব টাকা আদায় করে সরকারি কোষাগারে জমা করা সুপারিশ করা হয়েছে। ২০২১-২২ ও ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এ আর্থিক অনিয়ম ঘটে। শিক্ষা অডিট অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, আর্থিক অনিয়ম দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে থেমে নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারে বাস করা সত্ত্বেও শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের বেতন-বিল থেকে নির্ধারিত হারের কম বাড়ি ভাড়া কর্তন করায় ৩০ কোটি ৮৫ লাখ ৯১ হাজার টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। আর বিভিন্ন সরবরাহকারীর বিল থেকে নির্ধারিত হারে ভ্যাট কর্তন না করায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ৮ কোটি ৪৪ লাখ ৮১ হাজার টাকা সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন স্তরের শিক্ষক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অগ্রিম বেতন-ভাতা দিয়ে তা সমন্বয় না করার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ৪৬ কোটি ৫২ লাখ ৬৪ হাজার টাকা সরকারের রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে। টেস্ট রিপোর্ট ছাড়াই ঠিকাদারকে বিল পরিশোধ করায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ১৭ কোটি ৬২ লাখ ৭৭ হাজার টাকা অনিয়মিত ব্যয় হয়েছে। আর আর্থিক ক্ষমতা অর্পণ আইন লঙ্ঘন করে প্রাধিকারভুক্ত গাড়ি মেরামত বাবদ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ১ কোটি ৮০ লাখ ৯২ হাজার টাকা অতিরিক্ত ব্যয় করা হয়েছে। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ক্যাশ বইয়ের হিসাবের সঙ্গে ব্যাংক হিসাবের গরমিল করা হয়েছে ২০ কোটি ৮৪ লাখ ১৭ হাজার টাকা। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক-কর্মকর্তাদের প্রাপ্যতার চেয়ে অতিরিক্ত সম্মানী প্রদান করা হয়েছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ৭ লাখ ৩৭ হাজার টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। আর এক খাতের জন্য টাকা ছাড় করে অন্য খাতে ব্যয় করেছে কোনো কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ২০ কোটি ২৭ লাখ ৬ হাজার টাকা আর্থিক অসঙ্গতি ও ক্ষতি হয়েছে।
সূত্র জানায়, কোয়ার্টারে বাস করেও ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তারা দেননি বিশ্ববিদ্যালয় নির্ধারিত হারে বাড়ি ভাড়া। সেক্ষেত্রে চাকরি আদেশ- ২০১৫ লঙ্ঘন করা হয়েছে। তাতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ৩০ কোটি ৮৫ লাখ ৯১ হাজার টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরো বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন আর্থিক অনিয়ম হয়েছে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বোচ্চ ৯ কোটি ৫৬ লাখ ৭৯ হাজার টাকার অনিয়ম হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়ম হয়েছে ৫ কোটি ৭৫ লাখ ১৬ হাজার টাকা। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ কোটি ৮৬ লাখ টাকা, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ৭ কোটি ২ লাখ ৫৬ হাজার টাকা, গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকার, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ কোটি ২২ লাখ টাকার আর্থিক অনিয়ম হয়েছে।
সূত্র আরো জানায়, শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দেয়া অগ্রিম অর্থ সমন্বয় না করায় সরকারের ৪৬ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। সেক্ষেত্রে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সব থেকে বেশি ২০ কোটি ২৩ লাখ ৫৪ হাজার টাকা আর্থিক অনিয়ম হয়েছে। তাছাড়া যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪ কোটি ৭৪ লাখ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪ কোটি ৪৫ লাখ টাকা, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকার আর্থিক অনিয়ম হয়েছে। আর বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরো কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক খাতের জন্য অর্থ ছাড় করে অন্য খাতে ব্যয় করায় আর্থিক অনিয়ম হয়েছে। এক খাতের জন্য অর্থ ছাড় করে অন্য খাতে ব্যয় করায় নিয়মে সব থেকে এগিয়ে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ১৭ কোটি ৮ লাখ টাকার আর্থিক অনিয়ম হয়েছে। তাছাড়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকার অনিয়ম হয়েছে। তাছাড়া ক্যাশ বইয়ের হিসাবের সঙ্গে ব্যাংক হিসাবের গরমিল গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সব থেকে বেশি। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে এ খাতে ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকা আর্থিক অনিয়ম হয়েছে। তাছাড়া যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকা, শাহবাগে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ কোটি ২৭ লাখ টাকার আর্থিক অনিয়ম হয়েছে। আর্থিক অসঙ্গতি থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আপত্তিকৃত টাকার জন্য ব্যাংক রিকন্সিলিয়েশন করে নিরীক্ষা অফিসে প্রমাণক প্রেরণ করতে বলা হয়েছে।
এদিকে শিক্ষা অডিট অধিদপ্তরের প্রতিবেদনের সুপারিশে বলা হয়েছে, আপত্তিকৃত ওসব টাকা আদায় করে বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলে জমা করতে হবে। একই সঙ্গে ওসব আর্থিক অনিয়মের পুনরাবৃত্তি রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বিভিন্ন সরবরাহকারীর বিল হতে নির্ধারিত হারে ভ্যাট কর্তন না করায় সরকারের রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে প্রায় সাড়ে ৮ কোটি টাকা।
অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আর্থিক অনিয়ম নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ জানান, অসঙ্গতির ব্যাপারে শিক্ষা অডিট অধিদপ্তরকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ব্যাখা দেবে। তাছাড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে কোনো নির্দেশনা এলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, আর্থিক অনিয়ম দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে থেমে নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারে বাস করা সত্ত্বেও শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের বেতন-বিল থেকে নির্ধারিত হারের কম বাড়ি ভাড়া কর্তন করায় ৩০ কোটি ৮৫ লাখ ৯১ হাজার টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। আর বিভিন্ন সরবরাহকারীর বিল থেকে নির্ধারিত হারে ভ্যাট কর্তন না করায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ৮ কোটি ৪৪ লাখ ৮১ হাজার টাকা সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন স্তরের শিক্ষক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অগ্রিম বেতন-ভাতা দিয়ে তা সমন্বয় না করার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ৪৬ কোটি ৫২ লাখ ৬৪ হাজার টাকা সরকারের রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে। টেস্ট রিপোর্ট ছাড়াই ঠিকাদারকে বিল পরিশোধ করায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ১৭ কোটি ৬২ লাখ ৭৭ হাজার টাকা অনিয়মিত ব্যয় হয়েছে। আর আর্থিক ক্ষমতা অর্পণ আইন লঙ্ঘন করে প্রাধিকারভুক্ত গাড়ি মেরামত বাবদ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ১ কোটি ৮০ লাখ ৯২ হাজার টাকা অতিরিক্ত ব্যয় করা হয়েছে। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ক্যাশ বইয়ের হিসাবের সঙ্গে ব্যাংক হিসাবের গরমিল করা হয়েছে ২০ কোটি ৮৪ লাখ ১৭ হাজার টাকা। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক-কর্মকর্তাদের প্রাপ্যতার চেয়ে অতিরিক্ত সম্মানী প্রদান করা হয়েছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ৭ লাখ ৩৭ হাজার টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। আর এক খাতের জন্য টাকা ছাড় করে অন্য খাতে ব্যয় করেছে কোনো কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ২০ কোটি ২৭ লাখ ৬ হাজার টাকা আর্থিক অসঙ্গতি ও ক্ষতি হয়েছে।
সূত্র জানায়, কোয়ার্টারে বাস করেও ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তারা দেননি বিশ্ববিদ্যালয় নির্ধারিত হারে বাড়ি ভাড়া। সেক্ষেত্রে চাকরি আদেশ- ২০১৫ লঙ্ঘন করা হয়েছে। তাতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ৩০ কোটি ৮৫ লাখ ৯১ হাজার টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরো বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন আর্থিক অনিয়ম হয়েছে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বোচ্চ ৯ কোটি ৫৬ লাখ ৭৯ হাজার টাকার অনিয়ম হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়ম হয়েছে ৫ কোটি ৭৫ লাখ ১৬ হাজার টাকা। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ কোটি ৮৬ লাখ টাকা, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ৭ কোটি ২ লাখ ৫৬ হাজার টাকা, গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকার, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ কোটি ২২ লাখ টাকার আর্থিক অনিয়ম হয়েছে।
সূত্র আরো জানায়, শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দেয়া অগ্রিম অর্থ সমন্বয় না করায় সরকারের ৪৬ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। সেক্ষেত্রে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সব থেকে বেশি ২০ কোটি ২৩ লাখ ৫৪ হাজার টাকা আর্থিক অনিয়ম হয়েছে। তাছাড়া যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪ কোটি ৭৪ লাখ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪ কোটি ৪৫ লাখ টাকা, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকার আর্থিক অনিয়ম হয়েছে। আর বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরো কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক খাতের জন্য অর্থ ছাড় করে অন্য খাতে ব্যয় করায় আর্থিক অনিয়ম হয়েছে। এক খাতের জন্য অর্থ ছাড় করে অন্য খাতে ব্যয় করায় নিয়মে সব থেকে এগিয়ে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ১৭ কোটি ৮ লাখ টাকার আর্থিক অনিয়ম হয়েছে। তাছাড়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকার অনিয়ম হয়েছে। তাছাড়া ক্যাশ বইয়ের হিসাবের সঙ্গে ব্যাংক হিসাবের গরমিল গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সব থেকে বেশি। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে এ খাতে ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকা আর্থিক অনিয়ম হয়েছে। তাছাড়া যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকা, শাহবাগে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ কোটি ২৭ লাখ টাকার আর্থিক অনিয়ম হয়েছে। আর্থিক অসঙ্গতি থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আপত্তিকৃত টাকার জন্য ব্যাংক রিকন্সিলিয়েশন করে নিরীক্ষা অফিসে প্রমাণক প্রেরণ করতে বলা হয়েছে।
এদিকে শিক্ষা অডিট অধিদপ্তরের প্রতিবেদনের সুপারিশে বলা হয়েছে, আপত্তিকৃত ওসব টাকা আদায় করে বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলে জমা করতে হবে। একই সঙ্গে ওসব আর্থিক অনিয়মের পুনরাবৃত্তি রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বিভিন্ন সরবরাহকারীর বিল হতে নির্ধারিত হারে ভ্যাট কর্তন না করায় সরকারের রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে প্রায় সাড়ে ৮ কোটি টাকা।
অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আর্থিক অনিয়ম নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ জানান, অসঙ্গতির ব্যাপারে শিক্ষা অডিট অধিদপ্তরকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ব্যাখা দেবে। তাছাড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে কোনো নির্দেশনা এলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।