সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য ধ্বংস ও শামুক পাচারে নতুন আতঙ্ক

আপলোড সময় : ১৬-০৯-২০২৫ ১১:৫৪:০৫ পূর্বাহ্ন , আপডেট সময় : ১৬-০৯-২০২৫ ১১:৫৪:০৫ পূর্বাহ্ন
শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) থেকে এম কামরুজ্জামান সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের পাঁয়তারা চলছে নতুন কৌশলে। মাছ ও অন্যান্য জলজ প্রাণী ধ্বংসে জাল-জালিয়াতি কিংবা অবৈধ শিকারই নয়, এখন সুন্দরবন সংলগ্ন নদী ও খাল থেকে শামুক নিধনের ঘটনাও ব্যাপক আকারে ঘটছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অর্থের লোভ দেখিয়ে বনসংলগ্ন এলাকার মানুষকে কাজে লাগিয়ে ট্রলার ও নৌকায় ভরে শামুক সংগ্রহ করছেন। এরপর পাচারের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রি করা হচ্ছে এসব শামুক। চিংড়ি মাছ আহরণে ব্যবহৃত হচ্ছে বিষাক্ত পদার্থ এতে নদী-খালের পানিতে থাকা ছোট মাছ, চিংড়ির রেণু, কাঁকড়া এবং অন্যান্য জলজ প্রাণীর মৃত্যু ঘটছে। ধীরে ধীরে জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের মুখে পড়ছে সুন্দরবন ও উপকূলীয় এলাকা। শামুক সংগ্রহে নদীর তলদেশ খনন করায় প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন পরিবেশবিদরা। সুন্দরবনে মাছ ধরা জেরার বলেন, অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা কিছু অসাধু জেলেদের এ কাজে লাগাচ্ছে। পাচার চক্র দিনের পর দিন নদী খাল থেকে শামুক কুড়িয়ে ট্রাকে ভরে পাচার করছে। অথচ আমরা জেলেরা তিন মাস মাছ শিকার বন্ধ রেখে নদী রক্ষা করি, কিন্তু এভাবে শামুক নিধন আমাদের পরিশ্রমকেও ব্যর্থ করে দিচ্ছে। উপকূলবাসীরা মনে করেন, শামুক নদী ও খালের পানির গুণগত মান বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। পাশাপাশি এটি মাছ ও অন্যান্য জলজ প্রাণীর খাদ্য হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। কিন্তু নির্বিচারে শামুক নিধনের ফলে শুধু জীববৈচিত্র্যই নয়, জেলেদের ভবিষ্যৎ জীবিকাও মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে। এ বিষয়ে সচেতন মহল দ্রুত কঠোর আইন প্রয়োগের দাবি জানিয়েছেন। তারা বলছেন, অবৈধভাবে শামুক নিধন ও পাচার বন্ধ না করলে অচিরেই সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। স্থানীয়দের প্রশ্ন জলজ প্রাণীর আশ্রয়স্থল সুন্দরবন ধ্বংস হতে থাকলেও প্রশাসন এখনো নীরব কেন। এ বিষয়ে বুড়িগোয়ালিনী স্টেশনের স্টেশন কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান বলেন, বনবিভাগের সদস্যরা সুন্দরবনে নিয়মিত টহল দেয়া সময় সুন্দরবন থেকে অবৈধভাবে সম্পদ আহরণ এবং অবৈধ কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ উদ্ধার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসাসহ প্রতিনিয়ত আমাদের স্মাটটহল টিমসহ কয়েকটি টহলদল সুন্দরবনের বিভিন্ন অংশে প্রতিনিয়ত টহল কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। তিনি আরো বলেন, সুন্দরবন অথবা সুন্দরবন সংলগ্ন নদী খাল হতে অবৈধ উপায়ে শামুক নিধন বিষয়টি আমাদের নজরে নিয়েছি এবং প্রতিনিয়ত বন বিভাগের পক্ষ থেকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে তাছাড়া আপনারা দেখেছেন মাঝেমধ্যে আমরা অভিযান চালিয়ে শামুক উদ্ধার করে নদীতে অবমুক্ত কেেরছি, এমনকি আমাদের টহল জোরদার করা হয়েছে যাতে করে কোনো অসাধুচক্র সুন্দরবন থেকে অবৈধ উপায়ে কোনোভাবেই সুন্দরবনের সম্পদ আহরণ করতে না পারে এবং পাচার করতে না পারে।

সম্পাদকীয় :

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : সৈয়দ এম. আলতাফ হোসাইন।

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক : সৈয়দ মোঃ আতিকুল হাসান।

নির্বাহী সম্পাদক আশীষ কুমার সেন।

ফোন : ৪৯৩৫৭৭৩০ (বার্তা), ৮৩১৫৬৪৯ (বাণিজ্যিক), ফ্যাক্স; ৮৮-০২-৮৩১৪১৭৪

অফিস :

প্রকাশক কর্তৃক রোমাক্স লিমিটেড, তেজগাঁও শিল্প এলাকা থেকে মুদ্রিত।

সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : খলিল ম্যানশন (৩য়, ৫ম ও ৬ষ্ঠ তলা), ১৪৯/এ, ডিআইটি এক্সটেনশন এভিনিউ, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত।

ই-মেইল : [email protected], ওয়েবসাইট : www.dainikjanata.net