
জনতা ডেস্ক
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের সাম্প্রতিক আগ্রাসনের প্রধানতম লক্ষ্য ছিল হামাসকে হারানো। কিন্তু টানা আট মাস ধরে অভিযান চালিয়ে ৩৭ হাজারের বেশি নিরীহ ফিলিস্তিনিকে হত্যার পর এখন তারা বলছে, স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীটিকে নির্মূল করা সম্ভব নয়। ইসরাইলি সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র গত বুধবার বলেছেন, হামাস একটি আদর্শ। আর কোনো আদর্শকে নির্মূল করা যায় না। ইসরাইলি কোনো কর্মকর্তার মুখ থেকে এ ধরনের কথা এটিই প্রথমবার শোনা গেলো।
গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের আচমকা হামলার পর গাজায় অভূতপূর্ব আগ্রাসন শুরু করে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। এই অভিযানে তারা হামাসের প্রতিপত্তি নির্মূলে ব্যর্থ হলেও ডেকে এনেছে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ। গত আট মাসে ইসরাইলের হামলায় অন্তত ৩৭ হাজার ৩৯৬ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন আরও ৮৫ হাজারের বেশি মানুষ। ইসরাইলি সম্প্রচারমাধ্যম চ্যানেল ১৩’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, আমরা হামাসকে নির্মূল করতে যাচ্ছি, এটি হলো মানুষের চোখে ধুলো দেওয়া। আমরা বিকল্প ব্যবস্থা দিতে না পারলে হামাস শেষ পর্যন্ত টিকে থাকবে। তার কথায়, হামাস হলো একটি আদর্শ। আর আমরা কোনো আদর্শকে নির্মূল করতে পারি না। উচ্চপদস্থ একজন সেনা কর্মকর্তার এমন মন্তব্যে বিতর্কের ঝড় উঠেছে ইসরাইলে। এরই মধ্যে তার ওই মন্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয়। নেতানিয়াহু বারবার বলে এসেছেন, হামাস পরাজিত না হওয়া পর্যন্ত তাদের গাজা আক্রমণ শেষ হবে না। তার কার্যালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে ইসরাইলের রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা যুদ্ধের অন্যতম লক্ষ্য হিসেবে হামাসের সামরিক ও সরকারি সক্ষমতা ধ্বংস করাকে নির্ধারণ করেছে। ইসরাইলি সামরিক বাহিনী অবশ্যই এর প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। বিতর্কের মুখে পরে নিজেদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, রিয়ার অ্যাডমিরাল হাগারি হামাসকে ‘একটি আদর্শ হিসেবে’ সম্বোধন করেছিলেন এবং তার বিবৃতি ‘পরিষ্কার ও স্পষ্ট’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। অন্য যেকোনো দাবি বক্তব্যটিকে প্রসঙ্গের বাইরে নিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে ইসরাইলি আগ্রাসনে ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরের অবস্থা দিনে দিনে খারাপ হচ্ছে বলে সতর্ক করেন জাতিসংঘের শীর্ষ কর্মকর্তা ভলকার তুর্ক। জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে ভলকার তুর্ক ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীর এবং গাজা উপত্যকার অধিবাসীদের দুর্বিষহ অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ভলকার তুর্ক বলেন, ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমে ফিলিস্তিনিদের পরিস্থিতি নাটকীয়ভাবে খারাপ হচ্ছে। ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরে অক্টোবর থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত ইসরাইলি হামলায় নিহত হয়েছে ৫২৮ জন ফিলিস্তিনি। এদের মধ্যে ১৩৩ জনই শিশু। ইসরাইলি সেনাবাহিনীর বেশিরভাগ হামলাই মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন করে চালানো হচ্ছে বলে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন। পশ্চিম তীরের বেসামরিকদের ওপর আগ্রাসনের পরিমান দিন দিন বাড়ছে। ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, পশ্চিম তীরের রামাল্লা এবং এল-বিরহ গভর্নরেটের বেশ কয়েকটি শহর ও গ্রামে ঝড়ের সময় ইসরাইলি সেনাবাহিনী ৫ জন ফিলিস্তিনিকে গ্রেফতার করে। এছাড়া এ সময় তারা সেখানকার কৃষি জমিতে বসতি স্থাপনকারীদের ওপর আক্রমণ চালায়।
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের সাম্প্রতিক আগ্রাসনের প্রধানতম লক্ষ্য ছিল হামাসকে হারানো। কিন্তু টানা আট মাস ধরে অভিযান চালিয়ে ৩৭ হাজারের বেশি নিরীহ ফিলিস্তিনিকে হত্যার পর এখন তারা বলছে, স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীটিকে নির্মূল করা সম্ভব নয়। ইসরাইলি সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র গত বুধবার বলেছেন, হামাস একটি আদর্শ। আর কোনো আদর্শকে নির্মূল করা যায় না। ইসরাইলি কোনো কর্মকর্তার মুখ থেকে এ ধরনের কথা এটিই প্রথমবার শোনা গেলো।
গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের আচমকা হামলার পর গাজায় অভূতপূর্ব আগ্রাসন শুরু করে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। এই অভিযানে তারা হামাসের প্রতিপত্তি নির্মূলে ব্যর্থ হলেও ডেকে এনেছে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ। গত আট মাসে ইসরাইলের হামলায় অন্তত ৩৭ হাজার ৩৯৬ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন আরও ৮৫ হাজারের বেশি মানুষ। ইসরাইলি সম্প্রচারমাধ্যম চ্যানেল ১৩’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, আমরা হামাসকে নির্মূল করতে যাচ্ছি, এটি হলো মানুষের চোখে ধুলো দেওয়া। আমরা বিকল্প ব্যবস্থা দিতে না পারলে হামাস শেষ পর্যন্ত টিকে থাকবে। তার কথায়, হামাস হলো একটি আদর্শ। আর আমরা কোনো আদর্শকে নির্মূল করতে পারি না। উচ্চপদস্থ একজন সেনা কর্মকর্তার এমন মন্তব্যে বিতর্কের ঝড় উঠেছে ইসরাইলে। এরই মধ্যে তার ওই মন্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয়। নেতানিয়াহু বারবার বলে এসেছেন, হামাস পরাজিত না হওয়া পর্যন্ত তাদের গাজা আক্রমণ শেষ হবে না। তার কার্যালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে ইসরাইলের রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা যুদ্ধের অন্যতম লক্ষ্য হিসেবে হামাসের সামরিক ও সরকারি সক্ষমতা ধ্বংস করাকে নির্ধারণ করেছে। ইসরাইলি সামরিক বাহিনী অবশ্যই এর প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। বিতর্কের মুখে পরে নিজেদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, রিয়ার অ্যাডমিরাল হাগারি হামাসকে ‘একটি আদর্শ হিসেবে’ সম্বোধন করেছিলেন এবং তার বিবৃতি ‘পরিষ্কার ও স্পষ্ট’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। অন্য যেকোনো দাবি বক্তব্যটিকে প্রসঙ্গের বাইরে নিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে ইসরাইলি আগ্রাসনে ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরের অবস্থা দিনে দিনে খারাপ হচ্ছে বলে সতর্ক করেন জাতিসংঘের শীর্ষ কর্মকর্তা ভলকার তুর্ক। জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে ভলকার তুর্ক ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীর এবং গাজা উপত্যকার অধিবাসীদের দুর্বিষহ অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ভলকার তুর্ক বলেন, ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমে ফিলিস্তিনিদের পরিস্থিতি নাটকীয়ভাবে খারাপ হচ্ছে। ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরে অক্টোবর থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত ইসরাইলি হামলায় নিহত হয়েছে ৫২৮ জন ফিলিস্তিনি। এদের মধ্যে ১৩৩ জনই শিশু। ইসরাইলি সেনাবাহিনীর বেশিরভাগ হামলাই মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন করে চালানো হচ্ছে বলে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন। পশ্চিম তীরের বেসামরিকদের ওপর আগ্রাসনের পরিমান দিন দিন বাড়ছে। ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, পশ্চিম তীরের রামাল্লা এবং এল-বিরহ গভর্নরেটের বেশ কয়েকটি শহর ও গ্রামে ঝড়ের সময় ইসরাইলি সেনাবাহিনী ৫ জন ফিলিস্তিনিকে গ্রেফতার করে। এছাড়া এ সময় তারা সেখানকার কৃষি জমিতে বসতি স্থাপনকারীদের ওপর আক্রমণ চালায়।