ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগে পদ বাণিজ্যে ক্ষুব্ধ প্রধানমন্ত্রী

আপলোড সময় : ০২-০৭-২০২৪ ০৪:৩১:৫২ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ০২-০৭-২০২৪ ০৪:৩১:৫২ অপরাহ্ন
সম্প্রতি দীর্ঘ বিরতির পর ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ মহানগর আওয়ামী লীগের থানা এবং ওয়ার্ডের প্রস্তাবিত কমিটির নাম কেন্দ্রে জমা পড়ে। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কাছে এ কমিটিগুলোর নাম জমা দেয়া হয়। আর এ জমা দেয়ার পরই বির্তকের পাশাপাশি সৃষ্টি হয়েছে চাঞ্চল্য। অভিযোগ উঠেছে, ঢাকা উত্তর এবং দক্ষিণে ওয়ার্ড এবং থানা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠনে নজিরবিহীন পদ-বাণিজ্য হয়েছে।
লাখ লাখ টাকার বিনিময় হয়েছে এবং এর সাথে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা জড়িত। এবিষয়টি জানার পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এনিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু এর মধ্যেই বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার গোচরে এসেছে। তিনি এনিয়ে ক্ষুব্ধ হয়েছেন তার নির্দেশে এই কমিটি গুলো স্থগিত হয়ে আছে।
আওয়ামী লীগের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, এই কমিটি গুলো অনুমোদিত হচ্ছে না। এগুলো বাতিল হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী কারা কারা পদ-বাণিজ্য করেছেন তা খতিয়ে দেখার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম ঢাকা মহানগরের দায়িত্বে আছেন। তিনি এখন দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। তিনি এলে এব্যাপারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিভিন্ন সূত্র থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতি খবর পেয়েছেন, লাখ লাখ টাকার বিনিময়ে কমিটিতে লোক নেয়া হয়েছে। এনিয়ে আওয়ামী  লীগের অন্তত দু’জন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন বলেও জানা গেছে। আওয়ামী লীগের যে দু’জন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এ মহানগরীর কমিটিগুলোর দেখভালের দায়িত্বে আছেন তাদের পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলেছেন এবং কারা কত টাকা খেয়েছে তার হিসেবও বের করতে বলেছেন। পদ-বাণিজ্য করে কমিটিতে নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে সেই কমিটিগুলো আর অনুমোদিত হচ্ছে না। 
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই, আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর উত্তর এবং দক্ষিণে ওয়ার্ড এবং থানা কমিটিগুলো হচ্ছিল না। এনিয়ে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা একাধিকবার ঢাকা মহানগর উত্তর এবং দক্ষিণে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে অনুরোধ করছিলেন। দীর্ঘ অনুরোধের পর অবশেষে তারা কমিটি চূড়ান্ত করে। কিন্তু এখানে দলের ত্যাগী পরীক্ষিত নেতাদের বাদ দিয়ে টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন অনাহূত এবং আগন্তুককে অন্তুর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এমনকি ঢাকা উত্তর এবং দক্ষিণের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ টাকা খেয়ে কমিটিতে নাম ঢুকিয়েছেন এমন অডিও প্রধানমন্ত্রীর হাতে এসেছে। আর একারণে এই বিষয় নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
আওয়ামী লীগের একজন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য স্বীকার করেছেন, ঢাকা মহানগর উত্তর এবং দক্ষিণের থানা এবং ওয়ার্ড কমিটি নিয়ে কিছু সমস্যা হয়েছে। এখানে নিয়োগ বাণিজ্য এবং পদ-বাণিজ্যের কিছু কিছু সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এসেছে। এবং এ অভিযোগগুলো প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। আর একারণে আপাতত কমিটিগুলোকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দেয়া হচ্ছেনা। শুধু অর্থ নয় কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য গাড়ি পর্যন্ত দেয়ার অভিযোগ এসেছে বলে আওয়ামী লীগের একজন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জানিয়েছেন। আর এই বিষয় নিয়ে এখন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা অনুসন্ধান করছেন। অনুসন্ধানের মাধ্যমে যারা দোষী প্রমাণিত হবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে আপাতত যে কমিটিগুলো ঢাকা মহানগরের উত্তর এবং দক্ষিণের পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছিলো সে কমিটিগুলো অনুমোদিত হচ্ছে না। নতুন করে কমিটি কি ঢাকা মহানগরের উত্তর দক্ষিণের নেতৃবৃন্দ করবেন নাকি কেন্দ্র থেকে কমিটিগুলো করা হবে এব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি।
 

সম্পাদকীয় :

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : সৈয়দ এম. আলতাফ হোসাইন।

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক : সৈয়দ মোঃ আতিকুল হাসান।

নির্বাহী সম্পাদক আশীষ কুমার সেন।

ফোন : ৪৯৩৫৭৭৩০ (বার্তা), ৮৩১৫৬৪৯ (বাণিজ্যিক), ফ্যাক্স; ৮৮-০২-৮৩১৪১৭৪

অফিস :

প্রকাশক কর্তৃক রোমাক্স লিমিটেড, তেজগাঁও শিল্প এলাকা থেকে মুদ্রিত।

সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : খলিল ম্যানশন (৩য়, ৫ম ও ৬ষ্ঠ তলা), ১৪৯/এ, ডিআইটি এক্সটেনশন এভিনিউ, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত।

ই-মেইল : [email protected], ওয়েবসাইট : www.dainikjanata.net