হাসপাতালে আইসিইউর নামে অনৈতিক বাণিজ্য

আপলোড সময় : ২৭-০৭-২০২৪ ১১:১৬:৩২ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ২৭-০৭-২০২৪ ১১:১৬:৩২ অপরাহ্ন
দেশের বেসরকারি হাসপাতালগুলোয় আইসিইউ (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) নিয়ে চলছে রমরমা ব্যবসা। যেখানে সাধারণত সংকটাপন্ন ও জটিল রোগীদের আইসিইউ বা ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে রেখে চিকিৎসা দেয়া হয়। কিন্তু সেখানে স্বজনদের ভুল বুঝিয়ে সাধারণ রোগীদেরও আইসিইউতে নিয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এবং ভিটেমাটি বিক্রি করে আইসিইউর বিল মেটাতে নিঃস্ব হচ্ছেন রোগীর স্বজনরা। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসন অর্থ জরিমানা করলেও সে বিষয়ে তোয়াক্কা করছে না হাসপাতাল-ক্লিনিকগুলো। একই কায়দায় চালিয়ে যাচ্ছে তাদের অর্থ আদায়ের আইসিইউর নামে রমরমা বাণিজ্য। সরকারি হাসপাতালগুলোর কর্মকাণ্ড কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হলেও বেসরকারি হাসপাতালে সম্ভব হচ্ছে না। এতে রোগীদের নাভিশ্বাস বাড়ছে। তবে সরকারি হাসপাতালের একটি আইসিইউ শয্যার জন্য সংকটাপন্ন ৭০-৮০ জন রোগী সিরিয়ালে থাকেন। ফলে জীবন বাঁচাতে স্বজনদের ছুটতে হয় বেসরকারি হাসপাতালে।  আইসিইউ, সিসিইউ এবং এনআইসিইউ নিয়ে অভিযোগ থেকে মুক্ত হতে পারছে না ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা হাসপাতাল-ক্লিনিকগুলোর সঙ্গে দেশের নামিদামি হাসপাতালগুলোও। অহেতুক রোগীদের আইসিইউতে রেখে তারা মোটা অঙ্কের টাকা চার্জ করে থাকে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই রোগীদের রাখা হয় আইসিইউতে। দেশে রোগীর শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় আইসিইউ বেড ও আনুষঙ্গিক খরচ কেমন হবে সে সংক্রান্ত সরকারি কোনো নীতিমালা নেই। তাই এ সেবা খাতকে রীতিমতো বাণিজ্যিক খাতে পরিণত করা হয়েছে। বেসরকারি হাসপাতালগুলো জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা রোগীর স্বজনদের আবেগ পুঁজি করে বেপরোয়াভাবে ভাড়া হাঁকাচ্ছে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের। কোনো বিকল্প না পেয়ে সারা জীবনের জমানো সঞ্চয় ভেঙে এমনকি অনেক ক্ষেত্রে ভিটেমাটি বিক্রি করে প্রিয় মানুষটিকে বাঁচাতে সব উজাড় করে দিচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। তার পরও তাদের কাছ থেকে পাওয়া যাচ্ছে না প্রত্যাশিত সেবা। অথচ এটি মোকাবেলার জন্য সরকারের মনিটরিং নেই বললেই চলে। এতে করে সরকার সাংবিধানিক কর্তব্য পালনে ব্যর্থ হচ্ছে। তাই দেশের মানুষের প্রত্যাশিত সেবা নিশ্চিতে অবৈধ, মানহীন হাসপাতালের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। কোথাও রোগী ঠকানো কিংবা ভোগান্তির অভিযোগ পেলে অভিযান চালাতে হবে। এবং সকলকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদান করা ও সার্বক্ষণিক মনিটরিং ব্যবস্থা করতে হবে।
 

সম্পাদকীয় :

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : সৈয়দ এম. আলতাফ হোসাইন।

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক : সৈয়দ মোঃ আতিকুল হাসান।

নির্বাহী সম্পাদক আশীষ কুমার সেন।

ফোন : ৪৯৩৫৭৭৩০ (বার্তা), ৮৩১৫৬৪৯ (বাণিজ্যিক), ফ্যাক্স; ৮৮-০২-৮৩১৪১৭৪

অফিস :

প্রকাশক কর্তৃক রোমাক্স লিমিটেড, তেজগাঁও শিল্প এলাকা থেকে মুদ্রিত।

সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : খলিল ম্যানশন (৩য়, ৫ম ও ৬ষ্ঠ তলা), ১৪৯/এ, ডিআইটি এক্সটেনশন এভিনিউ, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত।

ই-মেইল : [email protected], ওয়েবসাইট : www.dainikjanata.net