ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় ই-কমার্সে ক্ষতি ১৭০০ কোটি টাকা : ই-ক্যাব

আপলোড সময় : ০২-০৮-২০২৪ ১২:১৮:৫৫ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ০২-০৮-২০২৪ ১২:১৮:৫৫ অপরাহ্ন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় দেশের ই–কমার্স ও এফ-কমার্স খাতে প্রতিদিন অন্তত ১২০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। এ হিসাবে ইন্টারনেট বন্ধ হওয়ার পর থেকে গত ১৩ দিনে প্রায় ১৭০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে ই–কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)। গত বুধবার বিকেলে রাজধানীর বনানীতে সংগঠনটির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। ই-ক্যাবের সভাপতি শমী কায়সার জানান, ডিজিটাল মার্কেটার, কনটেন্ট ডেভেলপার, স্টার্টআপ এবং ক্ষয়ক্ষতি বিষয়ে সদস্যদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় প্রথম ১০ দিনেই ক্ষতি হয়েছে ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। লিখিত বক্তব্যে শমী কায়সার আরও বলেন, ইন্টারনেট শাটডাউন, ধীর গতি এবং ফেসবুক–হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম দীর্ঘসময় বন্ধ থাকায় ব্যবসা–বাণিজ্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ই–কমার্স ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এর প্রভাব সুদূরপ্রসারী, যা সরকারও অবগত। উচ্চপর্যায়ের অনেককে আমরা বিষয়টি জানিয়েছি। ই-ক্যাব সভাপতি বলেন, দেশের ২০ লাখ উদ্যোক্তা ইন্টারনেটের ওপর নির্ভরশীল। শুধু ফেসবুকভিত্তিক উদ্যোক্তা রয়েছেন ৫ লাখেরও বেশি। পণ্য সরবরাহে রয়েছেন আরও ৮ লাখ মানুষ। প্রতিবছরই এ সংখ্যা ২৫ শতাংশ হারে বাড়ছে। ফেসবুক চালু করায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, দ্রুত ইন্টারনেট সেবা নিরবচ্ছিন্ন করে দেয়া হোক। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে যাতে এভাবে ইন্টারনেট ও ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করে না দেয়া হয়, সেদিকে সরকারকে নজর রাখতে হবে। শমী কায়সার বলেন, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ফেসবুক কেন্দ্রিক ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা। তাদের অনেকেই ব্যবসা বন্ধ করে দেয়া, কর্মীদের বেতন দিতে না পারার মতো সংকটে পড়েছেন।
তাদের ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য সরকারের কাছে আমরা স্বল্প সুদে ও বিনা জামানতে ঋণ দেয়ার অনুরোধ করছি। কয়েকটি সুপারিশ তুলে ধরে ই-ক্যাব সভাপতি বলেন, যারা ঋণ নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছেন তাদের ঋণ পরিশোধে যেন ৬ মাস সময় দেয়া হয়। আন্তর্জাতিকভাবে ইতিবাচক ব্র্যান্ডিং করার পাশাপাশি বিনা জামানতে ক্ষতিগ্রস্তদের ঋণ দেয়ার ব্যবস্থার দাবি জানানো হয়। এছাড়া এক মাসের জন্য যারা বিজ্ঞাপনের টাকা মেটাকে (ফেসবুক) পরিশোধ করেছেন, সেই টাকা যেন পুরোপুরি কেটে না নেয়া হয় মেটার সঙ্গে সে বিষয়ে যোগাযোগ করতে হবে। বিজ্ঞাপনে ১৫ শতাংশ ভ্যাট সেটি প্রত্যাহার এবং উদ্যোক্তাদের ট্রেড লাইসেন্সের নবায়ন ফি মওকুফের দাবি জানানো হয়।
 

সম্পাদকীয় :

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : সৈয়দ এম. আলতাফ হোসাইন।

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক : সৈয়দ মোঃ আতিকুল হাসান।

নির্বাহী সম্পাদক আশীষ কুমার সেন।

ফোন : ৪৯৩৫৭৭৩০ (বার্তা), ৮৩১৫৬৪৯ (বাণিজ্যিক), ফ্যাক্স; ৮৮-০২-৮৩১৪১৭৪

অফিস :

প্রকাশক কর্তৃক রোমাক্স লিমিটেড, তেজগাঁও শিল্প এলাকা থেকে মুদ্রিত।

সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : খলিল ম্যানশন (৩য়, ৫ম ও ৬ষ্ঠ তলা), ১৪৯/এ, ডিআইটি এক্সটেনশন এভিনিউ, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত।

ই-মেইল : [email protected], ওয়েবসাইট : www.dainikjanata.net