স্ত্রীসহ ৩ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড

পুরান ঢাকায় ব্যবসায়ী হত্যা

আপলোড সময় : ১৮-১০-২০২৪ ১২:৩৯:২৩ পূর্বাহ্ন , আপডেট সময় : ১৮-১০-২০২৪ ১২:৪২:১০ পূর্বাহ্ন
রাজধানীর পুরান ঢাকায় ব্যবসায়ী জামিল হোসেন (৩২) হত্যার মামলায় নিহতের স্ত্রী মৌসুমী জামিলসহ তিন জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া একজনকে ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং দুই জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ মোরশেদ আলম এই রায় ঘোষণা করেন। আমৃত্যু দণ্ড পাওয়া অপর আসামিরা হলো- নিহতের ভায়রা জুয়েল রানা ওরফে তানভীর ও ‘ভাড়াটে খুনি’ শফিকুল আলম ওরফে কসাই শফিক। ঘটনা জেনেও পুলিশকে না জানানোয় আসামি ইমরান ওরফে সুলতানকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তবে ইতোমধ্যে ১০ মাস কারাগারে থাকায় মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। খালাস পেয়েছেন ইউনুস ও এরফান নামে দুই জন। এদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি এই রায়ে বিরুদ্ধে আপিল করার কথাও জানান। রায় ঘোষণার সময় আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। পরে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় নিহতের স্ত্রী মৌসুমীকে আদালতে কান্নাকাটি করতে দেখা গেছে। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ঢাকার সোয়ারীঘাটে গাম ও স্কচটেপের কারখানা ছিল জামিলের। ওয়াটার ওয়ার্কস রোডের ৫৯ নম্বর বাসার দ্বিতীয় তলায় স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন জামিল। জুয়েল রানা ওরফে তানভীর জামিলের ভায়রা। তার সঙ্গে পরকিয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে মৌসুমীর। এর জেরে ২০১৬ সালের ২ মে জুয়েল ও মৌসুমীসহ অন্যরা জামিলকে গলা কেটে হত্যা করে। হত্যার পর জামিলকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে প্রচার করে মৌসুমী। এ নিয়ে চকবাজার থানায় একটি জিডি করা হয়। এরপর পুলিশ মৌসুমীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার বক্তব্যে অসংলগ্নতা পাওয়া যায়। পরে তাকেসহ স্বজনদের নিয়ে রহমতগঞ্জের বাসায় যাওয়া হয়। এ সময় বাসা তালাবদ্ধ ছিল। পুলিশ চাবি চাইলে তা হারিয়ে ফেলেছেন বলে দাবি করেন মৌসুমী। এরপর তালা ভেঙে ঘরে ঢুকতেই দুর্গন্ধ পাওয়া যায়। একপর্যায়ে খাটের নিচে বস্তায় ভরে রাখা জামিলের গলা কাটা লাশ উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় পরদিন জামিলের বড় বোন শাহিদা পারভীন চকবাজার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ৩১ অক্টোবর ছয় জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম। মামলাটির বিচার চলাকলীন সময়ে ১৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে গ্রেপ্তার চার জন আসামি আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।
 

সম্পাদকীয় :

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : সৈয়দ এম. আলতাফ হোসাইন।

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক : সৈয়দ মোঃ আতিকুল হাসান।

নির্বাহী সম্পাদক আশীষ কুমার সেন।

ফোন : ৪৯৩৫৭৭৩০ (বার্তা), ৮৩১৫৬৪৯ (বাণিজ্যিক), ফ্যাক্স; ৮৮-০২-৮৩১৪১৭৪

অফিস :

প্রকাশক কর্তৃক রোমাক্স লিমিটেড, তেজগাঁও শিল্প এলাকা থেকে মুদ্রিত।

সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : খলিল ম্যানশন (৩য়, ৫ম ও ৬ষ্ঠ তলা), ১৪৯/এ, ডিআইটি এক্সটেনশন এভিনিউ, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত।

ই-মেইল : [email protected], ওয়েবসাইট : www.dainikjanata.net